চীনে উদ্বেগজনক হারে কমছে বিয়ের সংখ্যা। যার কারণে ক্রমবর্ধমান জন্মহার নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করছে চীন। এবার তরুণদের বিয়ে করতে উৎসাহিত করতে পুরস্কারের উদ্যোগ নিল দেশটি। ঘোষণায় বলা হয়েছে, ২৫ বছর বা তার কম বয়সী কোনো তরুণী বিয়ে করলে নতুন দম্পতিকে নগদ এক হাজার ইউয়ান পুরস্কার দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের পূর্বাঞ্চলের চ্যাংসান কাউন্টি উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দিয়েছে।
কাউন্টির অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টের নোটিশে বলা হয়, উপযুক্ত বয়সে বিয়ে এবং গর্ভধারণের জন্য এ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব দম্পতির সন্তান আছে, তাদের জন্যও বিভিন্ন ধরনের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
চীনের আইনানুযায়ী, ছেলেদের বিয়ের বৈধ বয়স ২২ বছর এবং মেয়েদের ২০ বছর। কিন্তু দেশটিতে এ বয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিয়ের কোনো চিন্তাভাবনা দেখা যায় না। আর এ কারণে জন্মহারে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে।
গত ৬০ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা কমে গেছে। জন্মহার খুবই কম হওয়ায় দেশটিতে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। অন্যদিকে বেড়ে গেছে বয়স্কদের সংখ্যা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে চীন। এরপর জন্মহার বাড়াতে তারা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
২০২২ সালে চীনে মাত্র ৬০ লাখ ৮০ হাজার বিয়ে হয়, যা ১৯৮৬ সালের পর সর্বনিম্ন। ২০২১ সালে যে সংখ্যক বিয়ে হয়েছিল ২০২২ সালে সে তুলনায় ৮ লাখ কম বিয়ে হয়েছিল। আবার বিয়ে হলেও শিশু লালন-পালনের ব্যয় ও নানা কারণে সন্তান নিতে চান না চীনা নারীরা।
জানা যায়, শিশু লালন পালনে অতিরিক্ত খরচ এবং কর্মজীবন স্থগিত হওয়ার হুমকির কারণে অনেক নারী অধিক সন্তান জন্মদান বা সন্তান নিতে অনাগ্রাহ দেখাচ্ছে। লিঙ্গ বৈষম্য এবং ঐতিহ্যগত ইতিহাসগুলোও এখনো সারা দেশে ব্যাপক চলমান।
ধারণা করা হয়, ভোক্তাদের অনাস্থা ও চীনের অর্থনীতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগই তরুণদের বিয়ে করতে এবং সন্তান ধারণ করতে নিরুৎসাহিত করছে।
মন্তব্য করুন