

কম্বোডিয়ার সঙ্গে থাইল্যান্ডের সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এ সংঘর্ষ উপকূলীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় কারফিউ জারি করেছে থাইল্যান্ড। রোববার দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রাত প্রদেশে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের জারি করা কারফিউ ত্রাত প্রদেশের পাঁচটি জেলায় কার্যকর হবে। এসব এলাকা কোহ কং প্রদেশের সীমান্তবর্তী। তবে জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ কোহ চ্যাং ও কোহ কুড এই কারফিউয়ের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এর আগে থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় সাকেও প্রদেশেও কারফিউ জারি করা হয়েছিল, যা এখনো বহাল রয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ চলতি বছর একাধিকবার মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়েছে। মে মাসে এক সীমান্ত সংঘর্ষে এক কম্বোডিয়ান সেনা নিহত হওয়ার পর আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সংঘাতে উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সুরাসান্ত কংসিরি বলেন, সামগ্রিকভাবে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। যদিও কম্বোডিয়া শনিবার আবারও যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তিনি জানান, থাইল্যান্ড কূটনৈতিক সমাধানের জন্য প্রস্তুত, তবে আলোচনায় বসার আগে কম্বোডিয়াকে শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে।
শনিবার থাই সেনাবাহিনী জানায়, তারা একটি সেতু ধ্বংস করেছে। এ সেতু ব্যবহার করে কম্বোডিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ভারী অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠাত। পাশাপাশি কম্বোডিয়ার উপকূলীয় কোহ কং প্রদেশে আগে থেকে মোতায়েন করা আর্টিলারির লক্ষ্যবস্তুতে অভিযান চালানো হয়েছে। অন্যদিকে, কাম্বোডিয়া অভিযোগ করেছে যে থাইল্যান্ড বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে।
গত সোমবার থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাদের ৮১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তের একাধিক স্থানে ভারী অস্ত্র দিয়ে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ করছে। এটি জুলাই মাসে পাঁচ দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর সবচেয়ে তীব্র লড়াই বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছিল।
মন্তব্য করুন