এবার আইফেল টাওয়ারের চূড়ায় চড়ে বসেছেন দুই মাতাল। নিরাপত্তারক্ষীদের ফাঁকি দিয়ে সোমবার (২৮ আগস্ট) তারা টাওয়ারের চূড়ায় ওঠেন। এ সময় তারা সেখানে ঘুমিয়েও পড়েন।
বুধবার (৩০ আগস্ট) টাওয়ারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার দুই আমেরিকান দর্শনার্থী টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পড়েন। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে তারা সেখানে ঘুমিয়েও পড়েন। পরের দিন টাওয়ার খোলার সময় বিষয়টি নিরাপত্তাকর্মীদের নজরে আসে।
প্যারিসের প্রসিকউটির এএফপিকে বলেন, ওই দুই ব্যক্তি মাতাল হওয়ার কারণে তারা সেখানে আটকে পড়েছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টাওয়ারের নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত সংস্থা সেতে জানিয়েছে, ওই দুই মাতালকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী একটি জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়। জায়গাটি সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। তারা সেখানে থাকলেও কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, রোববার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ওই দুই ব্যক্তি টাওয়ারে প্রবেশ করেন। এরপর তারা নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে বেয়ে বেয়ে টাওয়ারের চূড়ায় উঠে পড়েন। এরপর তাদের চিহ্নিত করে ভয়ংকর উচ্চতায় থেকে নামাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি বিশেষ দলকে ডাকা হয়।
সেতে জানিয়েছে, ওই দুই মাতালকে নামিয়ে আনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্যারিসের একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের উদ্ধারের জন্য সোমবার এক ঘণ্টা দেরিতে খোলা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ আগস্ট ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ারে বোমা আতঙ্কের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে বোমা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই ঘটনাস্থল থেকে দর্শনার্থীদের সরিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে ২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সম্ভব্য বোমা হামলার আশঙ্কায় আইফেল টাওয়ার দর্শকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনুসন্ধান চালিয়ে কোনো বোমা পাওয়া না যাওয়ায় পর দিন আবারো তা খুলে দেওয়া হয়।
টাওয়ারটি ১৮৮৭ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু হয়। এটি শেষ হয় ১৮৮৯ সালের ৩১ মার্চ। ১৮৮৯ সালে এ দৃষ্টিনন্দন টাওয়ার দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার ওই বছর ২০ লাখ দর্শনার্থী পরিদর্শন করেন।
মন্তব্য করুন