ইউরোপের জনগণের প্রতি জলবায়ু নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করে বেশি বেশি সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ইউরোপের নেতারা জনগণকে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। অথচ তারা জনসংখ্যা কমে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে পুরোপুরি উপেক্ষা করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরি সরকার আয়োজিত দেশটির রাজধানী বুদাপেস্টে দুদিনব্যাপী জনমিতিক শীর্ষ সম্মেলনে অরবান এই আহ্বান জানান। জনসংখ্যার হার বাড়ানোর চেষ্টায় হাঙ্গেরি বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। তার মধ্যে এই শীর্ষ সম্মেলন উল্লেখযোগ্য।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান বলেন, ‘পুরো ইউরোপ ভয়ে কাঁপছে এবং এই ভয় আমাদের পরাজিতদের তালিকায় নিয়ে যাচ্ছে। আমরা বারবার বলছি, আমাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং আমরা এর মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ করছি।
মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের যেসব দেশ জন্মহার বাড়ানোর চেষ্টা করছে, হাঙ্গেরি সেগুলোর একটি।
একটি হিসাব বলছে, ইউরোপের দেশগুলো যদি অভিবাসী ছাড়া তাদের স্বাভাবিক জনসংখ্যা বজায় রাখতে চায় তবে মহাদেশটির প্রত্যেক নারীকে গড়ে ২ দশমিক ১ জন করে শিশু জন্ম দিতে হবে। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যা হ্রাস এবং বয়স্ক নাগরিকদের সংখ্যা বৃদ্ধি দেশগুলোতে বয়স্কদের ভাতার বিষয়টি কীভাবে মেটানো হবে সে বিষয় নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন হাজির করেছে দেশগুলোর সামনে।
ভিক্টর অরবান বলেন, ‘পশ্চিমা এলিটরা কার্বন কোটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন এবং জনমিতির প্রশ্নকে বারবার উপেক্ষা করছেন।’
এ সময় তিনি বেশি বেশি সন্তান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তাদের বরং ভীত হওয়া উচিত সামনে যে ধ্বংসযজ্ঞ আসছে, তা থেকে বাঁচতে হলে জনসংখ্যার প্রয়োজন হবে।’
মন্তব্য করুন