বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মাইন বিছানো দেশে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। পূর্ণ উদ্যমে এসব মাইন অপসারণ করতে গেলেও অন্তত ৭৫৭ বছর লাগবে।
শনিবার (২২ জুলাই) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে শত শত বছর এবং বিলিয়ন ডলার লাগতে পারে।
স্লোভাকিয়াভিত্তিক থিংক-ট্যাংক গ্লোবসেকের দেয়া তথ্যানুসারে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যকার সংঘাতের কারণে ১ লাখ ৭৩ হাজার বর্গকিলোমিটারেরও বেশি এলাকা সক্রিয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনের ৬৭ হাজার বর্গমাইল এলাকা মাইন ও অবিস্ফোরিত গোলাবারুদে ঢেকে রয়েছে। এসব কারণেই মূলত ইউক্রেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাইনক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই বিশাল এলাকা আমেরিকার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়ের সমান।
ইউক্রেনে বিপুলসংখ্যক মাইনের এই অবস্থাকে গত ৩০ বছরের মধ্যে নজিরবিহীন বলে অভিহিত করেছেন ব্রিটিশ এনজিও মাইন্স অ্যাডভাইজরি গ্রুপের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর গ্রেগ ক্রোথার। তিনি বলেন, বিশ্বের আর কোথাও এই অবস্থা নেই।
বিভিন্ন মাইন অপসারণবিষয়ক সংস্থার অনুমানের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, এই মাইনগুলো অপসারণ করতে গেলে অন্তত ৭৫৭ বছর লাগবে। এমনকি ৫ শতাধিক মাইন অপসারণ দল নিয়োগ যদি অনবরত কাজ করে যায় তারপরও এই সময় লাগবে।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, এই মাইনগুলো অপসারণে পরবর্তী ১০ বছরে অন্তত ৩ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার লাগবে। যেখানে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন মাইন অপসারণের জন্য মাত্র সাড়ে ৯ কোটি ডলার সহায়তা দেবে।
মন্তব্য করুন