বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রমজান মাসে দুর্দশায় সিরিয়ানরা

স্থানীয় একটি বাজারে ক্রেতারা। ছবি : সংগৃহীত
স্থানীয় একটি বাজারে ক্রেতারা। ছবি : সংগৃহীত

রমজান মাসের চাঁদ উঠে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের অন্যতম দেশ সিরিয়ার আকাশ যেন এখনও অন্ধকার। বছরের পর বছর যুদ্ধ-সংঘাতে দেশটির মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। বাশার আল আসাদ সরকারের পতন হলেও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি সিরিয়ানদের। অনেক সিরিয়ান অনাহারে-অর্ধহারে দিন পার করছেন। রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং নগদ টাকার অভাবে দুর্দশা বাড়ার শঙ্কায় সিরিয়ানরা।

দ্য নিউইয়র্ক টামসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রেতাদের পকেটে আগের মতো টাকা নেই। অথচ বাজার ভরে গেছে নিত্যপণ্যে। একজন ক্রেতার ভাষায়, আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই। বাজারে এখন সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু কেনার উপায় নেই। কারণ সিরিয়ার অর্থনীতির অবস্থা এখন আর কারও অজানা নয়। অবশ্য ফলমূলের দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে এলেও রুটির দাম বেড়েছে কয়েকগুণ।

আগে যে রুটি ছিল ৪০০ সিরিয়ান পাউন্ড, সেগুলোই এখন বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার সিরিয়ান পাউন্ডে। ওই রুটি সাইজেও বড় ছিল। কিন্তু এখন সেগুলোর আকার ছোট করে দাম বাড়ানো হয়েছে। তাই এই রুটি দিয়ে সারা দিনের খোরাক হয় না। দোকানদাররাও বুঝতে পারছেন ক্রেতাদের অবস্থা। কারও পকেটেই পর্যাপ্ত টাকা নেই। ঠিকমতো বেতনও পাচ্ছেন না অনেকে। কিন্তু রমজানে তো আর না খেয়ে থাকা যায় না!

সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন বয়স্ক মানুষজন। তাদের অনেকেরই আয়ের কোনো মাধ্যম নেই। কেউ কেউ শুধু পেনশনের ওপর নির্ভরশীল। তাই নিত্যপণ্য বাড়তি দামে কেনার মতো অবস্থা নেই তাদের। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এমন পণ্যের দাম আরও হাতের নাগালে ছিল। তাই কিনতে চেয়েও নিত্যপণ্য ঘরে আনতে পারছেন না অনেক সিরিয়ান, কারণ দাম খুব বেশি।

অপরদিকে খেজুরসহ কয়েকটি পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় কমলেও নগদ টাকার অভাবে কিনতে পারছেন না সিরিয়ানরা। গেল বছর দেশটিতে খেজুরের দাম ছিল ৪০ থেকে ৬০ হাজার সিরিয়ান পাউন্ড। যদিও এ বছর দাম কম। ২০ থেকে ৩০ হাজার সিরিয়ান পাউন্ডেই পাওয়া যাচ্ছে খেজুর। অবশ্য ৫০ হাজার সিরিয়ান পাউন্ডেও খেজুর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সেগুলোর জোগান কম। দাম কমেছে ওয়ালনাটেরও। এ বছর ৬০ থেকে ৬৫ হাজার সিরিয়ান পাউন্ডে মিলছে এক কেজি ওয়ালনাট। অথচ আগে ওয়ালনাটের দাম ছিল প্রতি কেজি ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার সিরিয়ান পাউন্ড।

এসবের দাম কমলেও কেনার সামর্থ্য নেই বহু সিরিয়ানের। তারা যুদ্ধে বিধ্বস্ত। অনেকে আহত এবং স্বজনহারা। তাই খাবারের দিকে তাকিয়েই রমজান কাটাতে হবে সেসব ভাগ্যাহত সিরিয়ানদের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের নির্ভরতায় সশস্ত্র বাহিনী

সিরামিক এক্সপো ২০২৫ প্রারম্ভে - ডিবিএল সিরামিকস সৌজন্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

জেলে বসেই অনার্সে ফার্স্ট, ১২ বছর পর মাস্টার্সেও প্রথম স্থান—কে এই শিবির নেতা?

ভাতিজার লাথিতে প্রাণ গেল চাচার

বহিষ্কৃত ৭৪ নেতাকে ‍নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত

কর্মবিরতির ঘোষণা শিক্ষকদের / প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা ঘিরে অনিশ্চয়তা

মা ও দুই শিশুর মরদেহ পৃথক স্থানে দাফন, মামলা হয়নি এখনো

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে : সেলিমা রহমান

বিশ্বকাপ ড্র ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন আনল ফিফা

গোলাম রাব্বানীর ছাত্রত্ব ও এক পদ বাতিল করল ঢাবি

১০

সাভারে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল

১১

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না সার

১২

দাঁড়িয়ে থাকা মোটরসাইকেলে অটোর ধাক্কা, স্কুলশিক্ষক নিহত

১৩

প্রতিটি ইউনিয়নে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের ঘোষণা 

১৪

ইসলামেই আসবে সত্যিকারের মুক্তি : চরমোনাই পীর

১৫

হাসিনার লকারে শুধু পাটের ব্যাগ, যৌথ লকারে সোনার নৌকা-গয়না

১৬

রাজশাহীতে আর কোনো পুকুর ভরাট হবে না : বিভাগীয় কমিশনার

১৭

বিপিএলে নোয়াখালীর প্রধান কোচ হচ্ছেন সুজন

১৮

ব্যালটে যেমন দেখা যাবে এনসিপির শাপলা কলি প্রতীক

১৯

বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর ইন্টেরিয়র ডিজাইন ২০২৫ উদযাপন

২০
X