গত ১৩ জুন থেকে ইরানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পাল্টা জবাবও দিয়ে যাচ্ছে ইরান। এই ১১ দিনে ইসরায়েলের হামলায় ইরানে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ জন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ জুন) ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইসারায়েলি হামলায় তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
তবে ইরানের একটি মানবাধিকার সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্টস ইন ইরান’ নিহত মানুষের সংখ্যা এর প্রায় দ্বিগুণ বলে মনে করে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসেইন কেরমানপুর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এর এক পোস্টে বলেছেন, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানে হামলা শুরু করার পর থেকে কমপক্ষে ১৩ শিশু নিহত হয়েছে, দুই মাসের শিশুও রয়েছে নিহতের তালিকায়।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি হামলায় ৪৪ জন নারীও নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন অন্তঃসত্ত্বা।
অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শুক্রবার থেকে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং প্রায় ৬০০ জন আহত হয়েছে।
১১ দিন পেরিয়ে গেলেও ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইরানের ওপর হামলার তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে দাবি ইসরায়েলের। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, ইরানে ‘নজিরবিহীন শক্তি’ দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরায়েল ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনার প্রবেশপথে হামলা চালিয়েছে। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) সদরদপ্তরেও হামলা চালানো হয়েছে দাবি আইডিএফের।
ইরানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় তেহরানের ইভিন কারাগারে আঘাত হেনেছে।
এদিকে ইসরায়েলের ওপর একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। বড় ধরনের এই হামলার পরই ইসরায়েলে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। এর জেরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাবিষয়ক উপমন্ত্রী সাঈদ খতিবজাদে জানিয়েছেন, ইরান যতদিন প্রয়োজন, ততদিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের অন্যায় ও অযৌক্তিক হামলার জবাব দিতে ইরান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
মন্তব্য করুন