জর্ডান উপত্যকায় পরিকল্পিত সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সময়ে এলাকায় ভারী সামরিক যানবাহনের চলাচল এবং সেনাসদস্যদের গতিবিধি দেখা যাবে। খবর আলজাজিরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এটি একটি পূর্বনির্ধারিত অনুশীলন এবং এর সঙ্গে সরাসরি কোনো নিরাপত্তা হুমকির সম্পর্ক নেই। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি ইসরায়েলের একটি কৌশলগত বার্তা হতে পারে। বিশেষ করে যখন অঞ্চলটি উত্তেজনার মধ্যে রয়েছে।
মাত্র দুদিন আগেই ইসরায়েল ও ইরান একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তিকে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস হিসেবে দেখলেও, পরিস্থিতি যে এখনো ভঙ্গুর, তা মনে করিয়ে দিচ্ছে এ মহড়া।
জর্ডান উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরেই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনীর তৎপরতা নজরে রেখেছে আন্তর্জাতিক মহলও। সাম্প্রতিক সময়ে এই অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার এবং সামরিক প্রস্তুতি নিয়েও ইসরায়েলের উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কর্মকর্তাদের মধ্যে আগামী সপ্তাহে আলোচনার পরিকল্পনা রয়েছে। ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক যুদ্ধের পর ঘোষিত যুদ্ধবিরতি এখন পর্যন্ত কার্যকর রয়েছে।
ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের ১২ দিনের হামলায় অন্তত ৬২৭ জন ইরানি নিহত এবং প্রায় ৪ হাজার ৮৭০ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইরানের প্রতিরোধমূলক পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৮ জন।
মন্তব্য করুন