গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুলাই) কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে এ চুক্তির ঘোষণা দেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস। খবর শাফাক নিউজের।
চুক্তির আওতায় গাজায় প্রতিদিন খাদ্য ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত সীমান্ত ক্রসিং পুনরায় চালু করা হবে এবং জর্ডান ও মিশরের মাধ্যমে স্থলপথে সহায়তা প্রবেশের পথ সক্রিয় করা হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব ব্যবস্থা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কার্যকর হবে। সহায়তা যেন হামাসের হাতে না পৌঁছে, তা নিশ্চিত করতে নজরদারি ব্যবস্থাও জোরদার করা হবে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশল নিয়ে ইইউ অভ্যন্তরীণ আলোচনা চালিয়ে আসছিল। জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএর বরাতে ব্রাসেলসের কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, ব্যর্থ হলে বিকল্প চাপ প্রয়োগের জন্য ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে একটি প্রস্তাবনা পেশ করেন কায়া কাল্লাস।
চলতি বছরের জুন মাসে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের পর তৈরি করা ওই প্রস্তাবে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সুবিধা স্থগিত রাখা, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ, ইইউ’র ‘হরাইজন’ গবেষণা তহবিল কর্মসূচিতে ইসরায়েলের অংশগ্রহণ বাতিলসহ বিভিন্ন বিকল্প পদক্ষেপের কথা বলা হয়।
এ ছাড়া প্রস্তাবে ইসরায়েলি নাগরিকদের প্রবেশের শর্ত কঠোর করা এবং গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও সুপারিশ করা হয়। ইইউ-ইসরায়েল এয়ার ট্রান্সপোর্ট চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে উন্মুক্ত আকাশসীমা চালু রয়েছে, তা বাতিল করার বিষয়টিও আলোচনায় আসে।
বিশেষ করে ইইউর একটি অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় উঠে এসেছে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান ২০০০ সালের ইইউ-ইসরায়েল অ্যাসোসিয়েশন চুক্তির মানবাধিকার সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করেছে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি অবনতির মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ চুক্তিকে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
মন্তব্য করুন