ব্রিটিশ শাসিত তুর্কস অ্যান্ড কাইকোস দ্বীপপুঞ্জের একটি জনপ্রিয় নাইটস্পটে বন্দুকধারীদের হামলায় তিন যুবক নিহত এবং আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক ইতিহাসে ব্রিটিশ ভূখণ্ডে এটিই সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলা।
সিএনএন জানায়, রোববার ভোরে প্রোভিডেনসিয়ালেস দ্বীপে গুলি চালানোর ঘটনায় কমপক্ষে চারজন সন্দেহভাজন জড়িত ছিল। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ কমিশনার ফিটজ বেইলি তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি এ ঘটনাকে গভীরভাবে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন।
দ্বীপপুঞ্জের প্রিমিয়ার চার্লস ওয়াশিংটন মিসিক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা এখন গ্যাংল্যান্ড ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছি। এই গ্যাং সহিংসতার বেশির ভাগই আমাদের হাইতিয়ান সম্প্রদায়ের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে হচ্ছে।
তিনি হাইতিয়ান সম্প্রদায়কে পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ জানেন যে কীভাবে তুর্কস অ্যান্ড কাইকোস দ্বীপপুঞ্জে বন্দুক পাচার করা হচ্ছে। এখানে যা ঘটছে তা আমরা আগে কখনও দেখিনি। এটি এমন পরিস্থিতি নয় যা আমাদের মেনে নেওয়া উচিত।
দ্বীপপুঞ্জ অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে অভিযান চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল।
আনুমানিক ১০,৯০০ হাইতিয়ান তুর্কস এবং কাইকোস দ্বীপপুঞ্জে বাস করে, যা এই অঞ্চলের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক অফিস অনুসারে, প্রায় ৮০% হাইতিয়ান প্রোভিডেনসিয়ালেসে বাস করে এবং ২০% এর স্থায়ী বসবাসের অধিকার রয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আনিয়া উইলিয়ামস বলেছেন, আহত চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের সুরক্ষার জন্য প্রোভিডেনসিয়ালেসের হাসপাতালটি লকডাউন করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন