গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে যাওয়া ‘গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা’তে থাকা আটক কর্মীরা ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেছেন।
শুক্রবার (০৩ আক্টোবর) আন্তর্জাতিক ‘গাজার অবরোধ ভাঙার কমিটি’ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হামলার শিকার হওয়া ফ্লোটিলা জাহাজে থাকা বেশ কয়েকজন কর্মী আটক হওয়ার পরপরই খোলামেলা অনশন শুরু করেছেন কর্মীরা।
এদিকে গাজায় ত্রাণবাহী ফ্লোটিলা আটকের ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, মানবাধিকার কর্মীরা গাজায় আক্রমণের শিকার ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে এগিয়েছিলেন, আর তাদের ওপর আন্তর্জাতিক জলসীমায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) একেপি পার্টির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এরদোয়ান বলেন, এই হামলা আবারও প্রমাণ করেছে যে, ইসরায়েল সরকার গণহত্যাকারী নেতাদের উন্মাদনা দিয়ে গাজায় মানবতাবিরোধী অপরাধ ঢাকার চেষ্টা করছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের বর্বরতাও প্রকাশ পেয়েছে।
এর আগে ইস্তাম্বুলের প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয় ঘোষণা দেয়, আটক তুর্কি নাগরিকদের গ্রেপ্তারের ঘটনায় তদন্ত শুরু হবে। তুর্কি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় থাকা ২৪ জন তুর্কি নাগরিককে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি নৌবাহিনী মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজামুখী প্রায় ৪৪টি জাহাজে হামলা চালিয়ে সেগুলোর অধিকাংশ জব্দ করে। এ সময় ৫০টিরও বেশি দেশের ৪৫০ জনের বেশি কর্মীকে আটক করে। ফ্লোটিলার লক্ষ্য ছিল গাজার ওপর ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ ভেঙে সেখানে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজার ২০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার সতর্ক করে বলছে, গাজা এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সেখানে দুর্ভিক্ষ ও রোগবালাই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
মন্তব্য করুন