ইসরায়েলি সরকার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ৫ হাজার ৭০০ নতুন বসতি স্থাপনের পরিককল্পনা করেছে। এ ঘটনায় যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ওই বিবৃতি দেন। সেখানে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
যা বলা হয়েছে বিবৃবিতে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, বসতির ক্রমাগত সম্প্রসারণ শান্তির জন্য বাধা, সেই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের চেষ্টাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। আমরা ইসরায়েল সরকারকে এই সিদ্ধান্তগুলো প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।
বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংসতার নিন্দা জানান তারা। সেই সঙ্গে সহিংসতার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
এ অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখা হবে বলে বিবৃতি উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ইসরায়েলি বসতির সম্প্রসারণের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে নিন্দা জানায় স্পেন।
গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিটি পাঁচ হাজার সাতশর বেশি নতুন বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেয়। তবে বাড়িগুলো কখন নির্মাণ শুরু হবে তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের গুলিতে চার নতুন ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী নিহত হয়েছেন। বসত গাড়া নতুন ইসরায়েলিদের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের এমন সহিংসতা দিনে দিনে বাড়ছে।
গত বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। নেতানিয়াহুর জাতীয়তাবাদী-ধর্মীয় জোট পশ্চিম তীরে ইসরায়েলিদের উপস্থিতি বাড়ানোর অঙ্গীকার করেছে।
ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বিরোধী গ্রুপ ‘পিস নাউ’-এর মতে, গত ছয় মাসে এই অঞ্চলে ১৩ হাজারেরও বেশি বসতি স্থাপন করা হয়েছে, যা গত বছরের পুরো সময়ের তুলনায় তিন গুণ।
ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। দেশটির সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ওয়াশিংটন ইসরায়েলের এই পরিকল্পনায় ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’।
মন্তব্য করুন