নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িসহ দোকানের ভেতর ঢুকে পড়েছেন এক নারী চালক। এই দুর্ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, গাড়িটি দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। তখন হঠাৎ করে গ্লাস দিয়ে আবৃত করা দোকানটিতে ধাক্কা দিয়ে গাড়িটি ভেতরে ঢুকে যায়।
ওই সময় সেখানে ছিলেন দোকানের এক কর্মী। তাকেও গাড়িটি সজোরে ধাক্কা মারে। তবে ভাগ্যক্রমে ওই কর্মী বড় ধরনের কোনো আঘাত পাননি। ঘটনার পরপরই তাকে দুই পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
সম্প্রতি সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিজান প্রদেশের সামতাহ শহরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ।
সৌদির সংবাদমাধ্যম আল মার্সদ জানিয়েছে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন একজন নারী। কখন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে এ ব্যাপারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষও কিছু জানায়নি।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের আল খার্জ সাউথে প্রায় একই ধরনের দুর্ঘটনা চালিয়েছিলেন এক নারী চালক। ওই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছিল ওই নারী চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতে বসে থাকা আরও কয়েকজন নারীকে সজোরে ধাক্কা দেন।
দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শনিবার দেশটির তাবুক শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের মরুভূমির রাস্তায় শ্রমিকদের বহনকারী একটি পিকআপ ট্রাক উল্টে যায়। ওই দুর্ঘটনায় চার প্রবাসী শ্রমিক প্রাণ হারান। যাদের সবাই আরব দেশের নাগরিক বলে জানিয়েছিল স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সৌদি আরবে রাস্তার নিয়ম ভঙ্গ করলে জরিমানা, লাইসেন্সের পয়েন্ট এমনকি ড্রাইভিং নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। চালক এবং সামনের সিটের যাত্রীর জন্য সিট বেল্ট বাধ্যতামূলক। ১০ বছরের কম বয়সী শিশুকে গাড়িতে একা রাখা যাবে না।
ওভারটেক করার সময় সামনের যানবাহনটির বাম পাশ দিয়ে যেতে হবে। রাস্তার মাঝখানে দুটি শক্ত লাইন থাকলে চালক ওভারটেক করতে পারবে না। পুলিশ চাওয়ামাত্র লাইসেন্স ও আকামা দেখাতে হবে। নম্র ও ভদ্র আচরণ করতে হবে। পুলিশকে কখনও ঘুষ দেওয়া যাবে না।
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ উচ্চগতি। শহরাঞ্চল ও শহরের বাইরে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০ থেকে ৭০ কিমি এবং হাইওয়েতে ১২০ কি.মি নির্ধারণ করা আছে।
এই সীমা অতিক্রম করলে ৯০০ রিয়াল জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে ৬টি ট্রাফিক বিধি লঙ্ঘন পয়েন্ট যুক্ত হয়। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোতে গতিসীমা নজরদারির জন্য স্পিড ক্যামেরা বসানো রয়েছে।
মন্তব্য করুন