

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের শিরোনাম করা হয়েছে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রপন্থি নেতার হাসপাতালে মৃত্যুর পর সহিংস বিক্ষোভ। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভোরে বাংলাদেশের রাজধানীতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির ২০২৪ সালের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের এক তরুণ নেতা সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘোষণার পর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকার রাস্তায় নেমে আসে। তারা তার খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
আলজাজিরার শিরোনামে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার মৃত্যু। এতে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদি মারা গেছেন। তাকে হত্যার চেষ্টায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চিকিৎসকদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হাদি তার আঘাতের কারণে মারা গেছেন।
দ্য হিন্দুর শিরোনামে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ শনিবার জাতীয় শোক দিবস পালন করবে এবং শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকল উপাসনালয়ে শরিফ ওসমান হাদির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হবে। তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সিঙ্গাপুরে মারা গেছেন। হাদিকে ১২ ডিসেম্বর অজ্ঞাত হামলাকারীরা গুলি করে। এই সপ্তাহের শুরুতে তাকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন, তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড, ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি, সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে, বারনামা, বিবিসিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
মন্তব্য করুন