

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই অভ্যুত্থানের সংগঠক শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে আজ সকালেও রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে ফের বিক্ষোভ করছেন ছাত্র-জনতা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর ৭টার দিকে বিভিন্ন পেশার মানুষকে শাহবাগে অবস্থান করতে দেখা যায়। ভোরে লোকজনের সংখ্যা তুলনামূলক কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়তে থাকে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চত্বর ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে কয়েকশ শিক্ষার্থী জড়ো হন। ডাকসুর নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগে এসে চলমান আন্দোলনে যুক্ত হয়।
আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমসহ জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতারা বিক্ষোভে অংশ নেন।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ একটি দল দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে সন্ত্রাসীরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। তবে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য করুন