চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সয়াবিন উৎপাদন হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সয়াবিন উৎপাদন বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। সেই সুবাদে ফলনও হয়েছে ভালো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. জাকির হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগ থেকে জেলায় ৬ হাজার ৭০০ সয়াবিন চাষিকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সয়াবিনের উৎপাদন বাড়াতে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছি। প্রতি হেক্টরে গড়ে ২ দশমিক ২ টন সয়াবিন হয়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি সয়াবিনের দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। সে হিসাবে জেলায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সয়াবিন উৎপাদন হয়েছে। আর ৬০০ কোটি টাকার সয়াবিনকেন্দ্রিক বাণিজ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সয়াবিন দিয়ে পশু এবং মাছের খাদ্য তৈরি হয়। ফলে বিভিন্ন ফিড কোম্পানির কাছে এর চাহিদা রয়েছে। তারা কৃষকদের কাছ থেকে সয়াবিন কিনে নিচ্ছে। এতে ভালো দাম পাচ্ছেন চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, লক্ষ্মীপুরে এবার ৪১ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে আবাদ হয় ৩৮ হাজার হেক্টরে।
সবচেয়ে বেশি সয়াবিন আবাদ হয়েছে রামগতিতে। এ উপজেলায় এর চাষ হয়েছে সাড়ে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে। পরের অবস্থান কমলনগরের। এ উপজেলায় আবাদ হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার হেক্টরে। সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৩০০, রায়পুরে ৬ হাজার ২০০ এবং রামগঞ্জে ১০০ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদ হয়েছে।
জেলায় এবার ৮৩ হাজার ২০০ টন সয়াবিন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে মাঠ থেকে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি সয়াবিন কাটা হয়েছে।
মন্তব্য করুন