ভারি বৃষ্টিতে সৃষ্ট ভারতের আসামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি নেই। রাজ্যটিতে অন্তত দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, সড়ক-মহাসড়ক। বিপৎসীমার ওপরে বইছে নদীর পানি। এর মধ্যে নতুন করে বৃষ্টির পূর্ভাবাস দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। সঙ্গে যোগ হয়েছে ভূমিধস আতঙ্ক।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৫ জেলা বন্যার পানির নিচে। বন্যাকবলিত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বনাথ, লখিমপুর, হোজাই, বোঙ্গাইগাঁও, নলবাড়ি, তামুলপুর, উদালগুড়ি, দারাং, ধেমাজি, হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জ, গোয়ালপাড়া, নগাঁও, চিরাং ও কোকরাঝাড়। তবে করিমগঞ্জের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এখানকার প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বহু নিচু ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। হাজারো একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। কাঁচা ঘর ধসে পড়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে গেছেন।
বন্যার সঙ্গে অঞ্চলটিতে ভূমিধস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর এলাকায় একটি ভূমিধসের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তারা একই পরিবারের সদস্য। মঙ্গলবার রাতে গাইনাচোড়া গ্রামে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। করিমগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার পার্থ প্রতিম দাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্গত এলাকায় পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত আছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা চলছে।
মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমাল রাজ্যে আঘাত হানার পর থেকে আসামে এ নিয়ে ৩০ জন মারা গেলেন।
আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (এএসডিএমএ) জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা করিমগঞ্জ। সেখানে ১ লাখ ৫২ হাজার ১৩৩ জন বন্যায় পানিবন্দি। এই দুর্যোগে এখন পর্যন্ত হাজারো হেক্টর ফসলি জমি, ৫৪ হাজার ৮৭৭টি গবাদি পশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ২৪টি রাজস্ব সার্কেলের ৪৭০টি গ্রাম জলমগ্ন। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে স্কুল-কলেজের নিচতলা। তাই বন্ধ রাখা হয়েছে অসংখ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।