ইউসুফ আরেফিন
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৪, ০২:৫৩ এএম
আপডেট : ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

‘বঞ্চনার’ আওয়াজ সব দপ্তর সংস্থায়

বিক্ষোভ অব্যাহত
বাংলাদেশ সচিবালয়। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ সচিবালয়। ছবি : সংগৃহীত

টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা হাসিনা সরকারের আমলে সরকারি প্রতিটি দপ্তর ও সংস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বঞ্চিত রাখার অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় পদায়ন ও পদোন্নতি বঞ্চনা, যৌক্তিক নিয়োগ নীতিমালা তৈরি না করা কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ঠিক না করেই ইচ্ছামতো দলীয় লোক নিয়োগ দিয়ে বৈষম্যের পাহাড় তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। ফলে তাদের পতনের পরই বঞ্চিতরা অধিকার আদায়ে মাঠে নেমেছেন। এ আন্দোলন প্রশাসনের হৃৎপিণ্ড বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে একেবারেই ইউনিয়ন পর্যায়ের সরকারি দপ্তর ও সংস্থায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ সুযোগে দাবি পূরণের তালিকায় অতীতে দুর্নীতির দায়ে পদোন্নতিবঞ্চিতরাও ঢুকে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এই বিপুলসংখ্যক লোকবলের দাবি-দাওয়া পূরণ করা নিয়ে কঠিন অবস্থার মুখে পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তারা আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণের দিকে হাঁটছেন বলে জানা গেছে।

সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, ৫৮টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের অধীন ৩৫৩টি অধিদপ্তর আছে। এসব অধিদপ্তরের অধীনেও বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা আছে। আট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও ৬৪ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট নানা প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় প্রতিটিতেই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা দাবিতে আন্দোলনে রয়েছেন। তাদের মধ্যে কারও কারও যৌক্তিক দাবিগুলো সরকার বিবেচনা করছে। তবে অনেকে আবার কিছু অযৌক্তিক দাবি নিয়েও মাঠে নেমেছেন। সবার দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়। সবার দাবি পূরণ করতে গেলে রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

কর্মকর্তারা আরও জানান, শুধু সরকারি, আধাসরকারি কিংবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানেই নয়, বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানেও দাবি-দাওয়া চাওয়ার হিড়িক পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মো. ফিরোজ মিয়া কালবেলাকে বলেন, স্বাধীনতার পর সরকার পরিবর্তনের ফলে এমন বিশৃঙ্খলা আর দেখা যায়নি। এটা নজিরবিহীন। দাবি-দাওয়া চাওয়ার একটা নিয়ম আছে। সবাই যেভাবে একযোগে মাঠে নেমে গেছে, তা মোটেও ঠিক হয়নি। এ ক্ষেত্রে সরকারেরও ভুল আছে। দাবি-দাওয়ার আন্দোলনকারীদের বিষয়ে শুরুতেই সুচিন্তিতভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার ছিল। এখন সবাই মাঠে। তাদের মাঠ থেকে তোলাও কঠিন।

তিনি বলেন, সবার দাবি একসঙ্গে পূরণ না করে সময় নিয়ে যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করে বৈষম্য দূর করতে হবে। দাবি পূরণ করতে গিয়ে ফের আবার বৈষম্য তৈরি করা যাবে না।

ফিরোজ মিয়া আরও বলেন, আজকের এমন অচলাবস্থার জন্য বিগত সরকারগুলোই দায়ী। কারণ তারা দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি ও নিয়োগের কাজগুলো করেছেন। সামনের দিনগুলোতে যেন নতুন করে এমন বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, সেজন্য প্রশাসন সংস্কার সবচেয়ে বেশি জরুরি।

দাবি আদায়ে এগিয়ে প্রশাসন ক্যাডার: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পরের দিনই রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবে জরুরি সভায় বসেন প্রশাসন ক্যাডারের বঞ্চিত কর্মকর্তারা। সেখান থেকেই তারা পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সরব হতে থাকেন। তারা পর্যায়ক্রমে তাদের পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি নিচ্ছেন।

গত ১৩ আগস্ট পদোন্নতি ‘বঞ্চিত’ ১১৭ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। যখন থেকে তারা পদোন্নতির যোগ্য হয়েছিলেন, তখন থেকে পদোন্নতি কার্যকর হবে। তারা বকেয়া বেতন-ভাতাও পাবেন। ১৮ আগস্ট আরেক দফায় পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হন ২০১ জন কর্মকর্তা। এভাবে প্রশাসন ক্যাডারসহ কয়েকটি ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন। অন্যান্য ক্যাডারের পদোন্নতির বিষয়টিও আলোচনায় আছে।

এদিকে, মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসন তৈরির লক্ষ্যে প্রশাসন ক্যাডার ব্যতীত ২৫ ক্যাডারের পদোন্নতিবঞ্চিত নবম থেকে ২২তম বিসিএসের উপসচিবদের পিএসসির মেধাতালিকা অনুযায়ী নিজ নিজ ব্যাচের সঙ্গে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে যুগ্ম সচিব পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন পদবঞ্চিত উপসচিবরা। পদোন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

স্মারকলিপিতে তারা লিখেছেন, সচিবালয়ে সরকারের নীতিনির্ধারণী কার্য সম্পাদনের জন্য উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সিনিয়র সার্ভিস পুল গঠন করা হয়। ‘সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা ২০০২’ অনুযায়ী প্রশাসন ক্যাডার থেকে ৭৫ শতাংশ এবং অন্য ২৫টি ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে এ পুল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য সংখ্যা ৪ হাজার ৮৯৯ জন এবং অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের সদস্য সংখ্যা ৪৬ হাজার ২৩ জন।

পরবর্তী সময়ে পদোন্নতি, অর্থাৎ যুগ্ম সচিব ও তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পিএসসির সুপারিশকৃত নিজ নিজ ব্যাচের সম্মিলিত মেধাতালিকা, সরকারি চাকরি আইন, পদোন্নতি বিধিমালা, সুপ্রিম কোর্টের রায় কোনো কিছুই মানা হয় না। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন ক্যাডারের সব কর্মকর্তার নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে পদোন্নতি নিশ্চিত থাকলেও অন্য ২৫টি ক্যাডারের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক কোটা আরোপ করে প্রশাসন ক্যাডারের অনেক জুনিয়র ব্যাচের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারমূলক নামমাত্র ১০ থেকে ১২ শতাংশ পদোন্নতি দেওয়া হয়। এ কারণে ২৫ ক্যাডারের ১৩ থেকে ২২ ব্যাচের অত্যন্ত মেধাবী, দক্ষ ও যোগ্য দুই শতাধিক কর্মকর্তাকে জ্যেষ্ঠতা হারিয়ে পদোন্নতি বঞ্চিত হয়ে তাদের অনেক জুনিয়র কর্মকর্তার অধীনে কাজ করতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন গোটা জনপ্রশাসন মেধাহীন ও দক্ষ জনবলশূন্য হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে জনপ্রশাসনে চেইন অব কমান্ডও পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।

৪ দাবি গ্রাম পুলিশের: বেতন বৈষম্য থেকে মুক্তি এবং চাকরি জাতীয়করণ করে পুলিশ সদস্যদের মতো রেশন ও পেনশন সুবিধার দাবিতে মাঠে নেমেছে ‘বেতন বৈষম্যবিরোধী গ্রাম পুলিশ সমন্বয় কমিটি’। তারা বলছেন, আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাসে সাড়ে ৬ হাজার টাকা পাই। যেখানে চালের কেজি ৬০-৭০ টাকা। আমরা বছরেও এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারি না। সন্তানদের পড়াশোনা করাতেও কষ্ট হয়।

সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক লাল মিয়া বলেন, আমরা সরকারের দেওয়া পোশাক পরে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অন্যান্য বাহিনীর মতো দায়িত্ব পালন করে থাকি। সাত দিনের মধ্যে আমাদের সব দাবি মানতে হবে।

গ্রাম পুলিশদের পক্ষে ৪ দফা দাবিও তুলে ধরেন তিনি। দাবিগুলো হচ্ছে অন্যান্য বাহিনীর মতো বিশেষভাবে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের মতো গ্রাম পুলিশ সদস্যদের জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড নির্ধারণ এবং পুলিশের এসআইর মতো দফাদারদের জাতীয় বেতন স্কেল গ্রেড নির্ধারণ করতে হবে; পুলিশ সদস্যদের মতো রেশন-পেনশনসহ সব সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করতে হবে; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রাম পুলিশ সদস্যদের পরিচালনা করতে হবে এবং ২০০৮-২০১০ সালের প্রজ্ঞাপন ও ২০১১ সালের জাতীয় বেতন স্কেল গেজেট অনুযায়ী ২০০৮ সাল থেকে সমস্ত বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে।

মানববন্ধনে বেতারের কর্মচারীরা: বৈষম্য নিরসনের দাবিতে মাঠে নেমেছেন বাংলাদেশ বেতারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নিজস্ব শিল্পী ও কলাকুশলীরা। গতকাল সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বেতারের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন থেকে ৬ দফা দাবি জানান তারা। এগুলো হচ্ছে বেতারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি বঞ্চনার অবসান করা; ব্যাচভিত্তিক পদোন্নতিসহ উপসচিব পদে ন্যায্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি নিশ্চিত করা; একীভূত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডার বাস্তবায়ন করা; বেতার থেকে নিজস্ব মহাপরিচালক নিয়োগ করা; নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি বাতিলপূর্বক পুনঃসংশোধন করা এবং বেতারের নিজস্ব শিল্পীদের পদ স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ।

শাহবাগে স্বাস্থ্যকর্মীরা: চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডাররা (সিএইচসিপি)। তাদের দাবি, ১৩ বছর ধরে তারা একই বেতনে চাকরি করছেন। বিগত সরকারের সময়ে চাকরি স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ অবস্থায় দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা। গতকাল সকাল থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন এই স্বাস্থ্যকর্মীরা।

তারা জানান, ২০১১ সাল থেকে চাকরিতে যোগদান করেন। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ইনক্রিমেন্ট পাননি কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়োজিত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি)। দীর্ঘ বছর চাকরি করেও সিএইচসিপিদের রাজস্ব বা স্থায়ীকরণ হতে দেননি দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তারা। সারা দেশে প্রায় ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। আর কর্মরত আছেন সমপরিমাণ সিএইচসিপি। যাদের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা পান অবহেলিত মানুষ।

চাকরি স্থায়ী করার দাবি: পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি (এফএসডি) কর্তৃক নিয়োগকৃত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের পরিবার কল্যাণ সহকারীর শূন্য ইউনিটে কর্মরত ১ হাজার ১৫৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর (মহিলা) চাকরি স্থায়ীকরণের একদফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা স্বেচ্ছাসেবী (মহিলা) দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

ভুক্তভোগীরা বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন ফিল্ড সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের ৪০টি জেলার ৮২টি উপজেলায় আমরা ১১৫৫ জন পরিবার পরিকল্পনা মহিলা ‘স্বেচ্ছাসেবী’ ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত ছিলাম। বাংলাদেশের দুর্গম অঞ্চলে পরিবার কল্যাণ সহকারীর স্বল্পতার কারণে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রায় ১২ বছর ধরে আমরা রাজস্ব খাতে কর্মরত ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদের অনুরূপ দায়িত্ব পালন করে আসছি। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় ১২,০০,০০০ জন সক্ষম দম্পতিকে রেজিস্ট্রারে লিখিত ও ট্যাবে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা নিশ্চিত করা, গর্ভবর্তী মায়েদের তালিকা প্রস্তুত ও তাদের প্রতিষ্ঠানিক নিরাপদ প্রসব সেবা নিশ্চিত করা, মা ও শিশু পুষ্টি সেবা নিশ্চিত করা, কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যসেবা, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবার পরিকল্পনা সামগ্রী গ্রহণ এবং ঘরে ঘরে তা পৌঁছে দেওয়া, স্থায়ী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণকারী রেফার করা। অর্থাৎ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা দুর্গম অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ আমরা করে আসছি। আমাদের কার্যক্রমের ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তা ছাড়া করোনা মহামারির সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব কাজের পাশাপাশি কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান ক্যাম্পে সেবা দিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকঢোল পিটিয়ে বেদখলে থাকা জমি উদ্ধার 

‘আর একটা পাথর সরানো হলে জীবন ঝালাপালা করে দেব’

আমাদের দাবি না মানলে নির্বাচন হবে না : জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি

মানুষ ভাত পাচ্ছে না আর উপদেষ্টারা হাঁসের মাংস খুঁজতে বের হচ্ছেন : আলাল

বিচারককে ‘ঘুষ’, বারে আইনজীবীর সদস্যপদ স্থগিত

ট্রাক প্রতীক নিয়ে নিজ এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন আবু হানিফ 

শিক্ষককে ছুরি মারা সেই ছাত্রী এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে

নথি সরিয়ে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি, কর্মকর্তা বরখাস্ত

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর প্রাসঙ্গিকতা

আগামী সরকারে থাকবেন কিনা জানালেন ড. ইউনূস

১০

বাঁশের পাতার নিচে মিলল ৩৭ হাজার ঘনফুট সাদাপাথর

১১

একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল

১২

‘সবার উপরে ভাত’ নাটকের কোটি ভিউজ উদযাপন

১৩

‘এক পায়ে পাড়া দিয়ে, আরেক পা টেনে ছিঁড়ে ফেলবো’

১৪

সিলেটে পাথর লুটে জড়িত ৪২ জনের নাম প্রকাশ

১৫

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের তৃতীয় হার

১৬

নির্বাচনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সমর্থন ও সহযোগিতা চাইলেন তারেক রহমান

১৭

পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কত বছর লাগবে, জানালেন প্রেস সচিব

১৮

স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লেন বিসিএস ক্যাডারের ৬ কর্মকর্তা

১৯

চাকরি দিচ্ছে এসিআই, আবেদন করুন এখনই

২০
X