থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেখা হচ্ছে। জোটটির মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে দুই দেশের এ শীর্ষ নেতার দেখা হলেও তারা একান্তে কোনো সাইডলাইন বৈঠক করবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বিমসটেক কার্যালয়ে মহাসচিব ইন্দ্র মনি পান্ডে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান। জোটটির মহাসচিব বলেন, আগামী ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বসবে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগদানে সম্মত হয়েছেন। সাইডলাইনে শীর্ষ নেতাদের একে অপরের সঙ্গে বৈঠক সদস্য দেশগুলো পারস্পরিক আলোচনা করে ঠিক করবে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেখানে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গতকালের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিমসটেক মহাসচিব বলেন, সার্ক ও বিমসটেক দুটিই আঞ্চলিক সংস্থা। এই দুই সংস্থার সঙ্গে কোনো পারস্পরিক দ্বন্দ্ব নেই। একই দেশ একাধিক ফোরামে থেকে কাজ করতে পারে। একাধিক দেশ সার্ক ও বিমসটেকের সদস্য, আবার কেউ কেউ আসিয়ানের সদস্য। এ ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।
অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বিমসটেক সহযোগিতা পাচ্ছে বলে জানান মহাসচিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিমসটেককে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। সে অনুযায়ী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বিমসটেকে আমরা যথাযথ সহযোগিতা পাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকেও আমরা সম্মান করি।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিকাকের সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনসহ সদস্যরা।