বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ৪ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরতে পারেন। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের অনুমতি পেলে ওইদিন তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও চলছে। বেগম জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য সহযোগিতা চেয়ে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে সেটা সম্ভব না হলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বিমানের বিজনেস ক্লাসে করে দেশে ফিরতে পারেন। বিএনপির মিডিয়া সেল ও খালেদা জিয়ার পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে দেশে আনার জন্য সহযোগিতা চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেয়েছে কি না এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কী ধরনের সহযোগিতা করবে—গতকাল পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের কাছে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চান। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ওটা নিয়ে তারা কাজ করছেন।
খালেদা জিয়া কবে দেশে ফিরবেন—এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের এক সদস্য বলেন, আগামী ৪ মে দেশে ফিরতে পারেন। তবে সেটা ম্যাডামের সুস্থতার ওপর নির্ভর করছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গত ৭ জানুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। পরদিন ৮ জানুয়ারি সকালে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বেগম জিয়াকে দ্য লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানে ভর্তি হন তিনি। এই হাসপাতালটির লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জন প্যাট্রিক কেনেডির নেতৃত্বাধীন মেডিকেল বোর্ডের অধীনে বেগম জিয়া চিকিৎসাধীন ছিলেন। লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকার পর ছাড়পত্র পেলে গত ২৫ জানুয়ারি লন্ডনের কিংস্টনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় ওঠেন খালেদা জিয়া। বাসায় থেকে লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।
মন্তব্য করুন