কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২১ পিএম
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নতুন করে লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের অনুরোধ

পুরোনো ছবি।
পুরোনো ছবি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা নতুন করে ১ লাখ ১৩ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর (ইউনাইটেড নেশনন্স রিফিউজি এজেন্সি)।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) এই অনুরোধটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে পেশ করেছে সংস্থাটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

বাংলাদেশ সরকারের রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা সংস্থা রিফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিয়েশন কমিশনের মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আনাদোলুকে বলেন, ইউএনএইচসিআর গত সপ্তাহে এক চিঠির মাধ্যমে এ অনুরোধ জানিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা নতুন প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার আশ্রয়ের প্রয়োজন রয়েছে।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, এসব নতুন রোহিঙ্গাদের একটি বড় অংশ ইতোমধ্যেই কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরের আশপাশে অস্থায়ী তাঁবু গেড়ে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় স্কুল, মসজিদ ও অন্যান্য অবকাঠামোয়। এদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি হয়ে উঠেছে।

এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় একটি পত্রিকার তথ্যের বরাত দিয়ে আনাদোলু জানায়, নতুন আগত রোহিঙ্গারা প্রায় ২৯ হাজার ৬০৭টি পরিবারের সদস্য, যাদের মধ্যে গত সপ্তাহেই বাংলাদেশে এসেছে ১ হাজার ৪৪৮টি পরিবার। অধিকাংশই রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা এবং নাফ নদ পেরিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।

তবে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ইউএনএইচসিআরের অনুরোধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি। কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, আমরা এখনো সাড়া দিইনি। কারণ ক্রমাগত রোহিঙ্গাদের ঢল বাড়তে থাকলে আমাদের দেশে তাদের পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে পড়বে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করলে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তারা কক্সবাজারের কুতুপালংসহ বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় পায়। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় তখন থেকেই চলছে তাদের জন্য খাদ্য, চিকিৎসা ও শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম। বর্তমানে শুধু কুতুপালং শিবিরেই বসবাস করছে প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গা।

সম্প্রতি রাখাইনে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে। রাজধানী সিতওয়ে ব্যতীত রাজ্যের প্রায় পুরো এলাকাই বর্তমানে এই বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। ফলে নতুন করে সৃষ্ট সহিংসতা থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গাদের আরও একটি বড় ঢল বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী / ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত

নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তি বাধা দূর করতে হবে

সাড়ে সাত হাজার চিকিৎসকের পদোন্নতি আটকে

বগা সেতু বাস্তবায়নে উপদেষ্টার সঙ্গে ড. মাসুদের বৈঠক

মানবিক সহায়তা করিডোর বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের বিবৃতি

আর্সেনালকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা পিএসজির

স্বাস্থ্য পরামর্শ / ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জীবনযাপনে পরিবর্তন প্রয়োজন

ঢাবির বাসে হামলা, বিচার চায় ছাত্রদল-শিবির-ছাত্রফ্রন্ট

শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে— স্লোগানে ফরিদপুরে মিছিল

বিশ্লেষণ / ভারত কি এবার সত্যিই আক্রমণ করবে? 

১০

মেস থেকে জবি শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার

১১

মুরাদনগরে পুলিশি হয়রানি বন্ধ ও এসপি-ওসির প্রত্যাহার দাবি

১২

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার প্রেমিকাকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার!

১৩

যুদ্ধে যেতে বাধ্য রাশিয়ায় পাচার হওয়া ১০ বাংলাদেশি, নিহত ৩

১৪

মাটির নিচে পাওয়া মর্টার শেল বিস্ফোরণ, অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

১৫

বরিশালে একযোগে ১১ পুলিশ পরিদর্শকে বদলি

১৬

পালানোর সময় ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল বিএনপি

১৭

সিলেটে ঘর থেকে সিসিক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার

১৮

এনসিপির পদ ছাড়লেন কেন্দ্রীয় সদস্য রিদওয়ান হাসান

১৯

ছাত্রদল নেতার ঘরে আ.লীগ নেতা

২০
X