রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান সংঘাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্র। উভয় পক্ষ সংঘাত নিরসনের জন্য ‘নির্দিষ্ট প্রস্তাব’ পেশ না করলে এমন কড়া সিদ্ধান্ত আসতে পারে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
মুখপাত্র ব্রুস জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তাকে বলেছেন- ‘এখন আমরা এমন একটি সময়ে আছি যেখানে উভয় পক্ষকে এই সংঘাত কীভাবে শেষ করা যায় সে বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করতে হবে।’
ব্রুস বলেন, এখান থেকে আমরা কীভাবে এগিয়ে যাব, সেটি এখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর সিদ্ধান্ত। যদি কোনো অগ্রগতি না হয়, আমরা এই প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পিছু হটব।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ট্রাম্প, রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কিয়েভ এবং মস্কোকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে চাপ দিয়ে আসছেন। তাদের প্রস্তাবে রাজি করাতে উভয় পক্ষকে নানা ধরনের হুমকিও দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে রাশিয়া সোমবার একতরফাভাবে ৮-১০ মে তিন দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয় উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। এ উপলক্ষে যুদ্ধবিরতি এলেও পুতিন মানবিক উদ্দেশ্য উল্লেখ করেছেন।
তবে ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্থায়ী যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। জেলেনস্কি টেলিগ্রামে একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, আরেকটি হেরফেরের চেষ্টা। কোনো কারণে সবাইকে ৮ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে যুদ্ধবিরতির জন্য? শুধু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্যারেডের জন্য নীরব থাকতে হবে?
ইউক্রেনীয় নেতা বলেন, আমরা মানুষের জীবনের মূল্য দিই, প্যারেডের নয়। তাই আমরা বিশ্বাস করি এবং বিশ্ব বিশ্বাস করে, ৮ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনো কারণ নেই।
জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, যে কোনো যুদ্ধবিরতি অস্থায়ী নয় বরং অন্তত ৩০ দিনের জন্য তাৎক্ষণিক, পূর্ণ এবং শর্তহীন হওয়া উচিত। যাতে তা নিরাপদ এবং নিশ্চিত হয়।
তিনি বলেন, এটিই সেই ভিত্তি যা প্রকৃত কূটনীতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। রাশিয়ান সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে বলেও জেলেনস্কি অভিযোগ করেন।
মন্তব্য করুন