মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নাতনিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নানা আজগরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নানা আজগরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আজগর সিংগাইর থানার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় মুদি দোকানদার ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া নাতনিকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করে স্থানীয় মৃত কালু পরামানিকের ছেলে চিহ্নিত মাদককারবারি আল আমিন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় নানা আজগর। আলামিনের খোঁজে পুলিশ আসার খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আল আমিনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, চাপাতি দিয়ে হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে হত্যা করে।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক রাকিব আল শুভ বলেন, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের ছেলে লিয়াকত বলেন, আমার বাবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে রয়েছে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেলেও পুলিশ জানিয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার জন্য।
সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিঞা বলেন, আজগর নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার খবরে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে মরদেহ সিংগাইর থানায় হস্তান্তর করেছে।
সিংগাইর থানার ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। ইভটিজিংয়ের অপরাধে আল আমিনকে আসামি করে মঙ্গলবার থানায় মামলা করা হয় এবং হত্যার ঘটনায় আলামিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫/৬ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন