‘এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই’—ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে ফের আলোচনায় এসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। বিষয়টি নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তবে উমামা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় এনসিপির কর্মকাণ্ড নিয়ে তাকে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় এবং অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন তিনি। তাই ফেসবুকেই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
সোমবার রাতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে উমামা বলেছেন, ‘সবার উদ্দেশ্যে একটা ছোট ঘোষণা। আমি নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। আমার অনেক পরিচিত ব্যক্তিবর্গ এই দলটির সঙ্গে আছেন। ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। তাই এনসিপি-সংক্রান্ত পরামর্শ, সাংগঠনিক আলাপ বা প্রস্তাবনা আমার কাছে উপস্থাপন না করার অনুরোধ রইল। এতে আপনার, আমার দুজনেরই সময় বাঁচবে।’
উমামা ফাতেমা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। পরে প্ল্যাটফর্মটির সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করা হলে উমামা মুখপাত্রের দায়িত্ব পান। তখন তিনি ছাত্র ফেডারেশনের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে (এনসিপি) ছিলেন না তিনি। এ নিয়েও ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেই থাকতে চান তিনি। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন তিনি।
স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে উমামা ফাতেমা কালবেলাকে বলেন, আমি এনসিপিতে না থাকা সত্ত্বেও সবসময় প্রশ্নের মুখোমুখি হই। যে কোনো বিষয়ে সাংবাদিকদের অনেকে আমার কাছে জানতে চান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক সময় বিব্রতকর প্রশ্ন শুনতে হয়। তাই আমার মনে হয়েছে বিষয়টি অবগত করা দরকার। সেজন্যই মূলত স্ট্যাটাস দিয়ে জানালাম।
এর আগে এনসিপিতে যোগ না দেওয়ার বিষয়ে উমামা কালবেলাকে বলেছিলেন, আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র হয়েছিলাম কারণ দেশে একটা গণআন্দোলন হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান কিছু সংকট তৈরি করেছিল সোসাইটির মধ্যে। যেমন গণঅভ্যুত্থান কোশ্চেনগুলোকে রেইস করা, নারীরা যেখানে সাইড হয়ে গেল, সেটাকে সামনে নিয়ে আসা, আওয়ামী লীগের বিচারের প্রশ্নটাকে সামনে নিয়ে আসা, অভ্যুত্থানের গণআকাঙ্ক্ষার প্রশ্নগুলোকে তুলে ধরা। আমি মূলত এ কারণেই মুখপাত্র হিসেবে ছিলাম। কিন্তু এখন যেটা দেখছি, এ প্রশ্নগুলোকে যথেষ্ট অ্যাড্রেস করা হয়নি এবং এগুলোকে অ্যাড্রেস করার মাধ্যমে নিজ নিজ রাজনীতির পথ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে যেটা আমার কাছে খুব একটা ভালো মনে হয়নি। বরং আমি মনে করি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে থেকেই আমি বেশি ইম্প্যাক্ট ক্রিয়েট করতে পারব। রাজনীতি আসলে একটা ম্যারাথন রেস। রাজনীতিতে আসলে শেষ বলে কিছু নেই।
মন্তব্য করুন