পরীক্ষার প্রশ্ন কিনে প্রস্তুতি, একজনের পরীক্ষা অন্যজন দেওয়া, ভাইবা বোর্ডে মামুর জোরে পাস কিংবা টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার মতো বিষয়গুলোর সঙ্গে আমরা এতদিন পরিচিত ছিলাম। তবে এবার খবর মিলেছে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিসিএস পরীক্ষার ক্যাডার না হয়েও ক্যাডার পদে চাকরি পেয়েছেন ২১ জন। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিয়ে এরই মধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
জানা গেছে, ২৯তম বিসিএসের নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার ১৩ মাস পর এই ভুয়া ক্যাডারদের নিয়োগের সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয় গেজেট। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সিনিয়র সচিব আবদুস সোবহান সিকদার সেই গেজেট প্রকাশ করেন।
এরই মধ্যে সেই ২১ জন কর্মকর্তাকে শনাক্ত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের নিয়োগের বৈধতা অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ২৯তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও গেজেট বিজ্ঞপ্তির প্রায় ১৩ মাস পর নিয়মবহির্ভূতভাবে নন-ক্যাডার হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের বিভিন্ন ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, নিয়োগপ্রাপ্ত ২১ জনের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের পাঁচজন, আনসার ক্যাডারে একজন, শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারে চারজন, ইকোনমিক ক্যাডারে দুজন, পরিবার পরিকল্পনা দুজন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে একজন, পুলিশ ক্যাডারে দুজন, কর ক্যাডারে তিনজন ও সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে একজন নিয়োগ পেয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইংয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল হক কালবেলাকে বলেন, এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে আর তা প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রথমে তাকে ডিসমিস করা হয়। এরপর এন্টি করাপশনে মামলা হয়। সরকারি পাওনা আদায় করা হয়।
মন্তব্য করুন