রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সহজ জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন তৃতীয়বারের মতো এবং সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এবং সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষণা অনুযায়ী, রাজশাহীর ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। আর সিলেটে ১৯০টি কেন্দ্রের মধ্যে
নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। অন্যদিকে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট। রাজপথের প্রধান বিরোধী বিএনপি জোট শুরুতেই এসব সিটি নির্বাচন বর্জন করে। আর বরিশাল সিটিতে নিজ দলের মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় অন্যতম প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন। এরপর এসব সিটির ভোট একরকম আনুষ্ঠানিকতায় রূপ নেয়। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের নিশ্চিত জয়ের ব্যাপারে আভাস দেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা।
এদিকে জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় গতকাল রাতে রাজশাহী নগরীর রাণীবাজারের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নগরবাসীর কাছে যে ওয়াদাগুলো করেছি। সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করব। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা চাইব। আর সিলেটে জয়ের পর নগরীর মির্জা জাঙ্গালের একটি হোটেলের সামনে সাংবাদিকদের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিলেটকে স্মার্ট ও সুন্দর নগরী হিসেবে গড়ে তুলব। তবে সবার আগে সিলেট শহরকে ক্লিন সিটি বানাতে চাই। আর এ বিষয়ে আমি সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সহযোগিতা চাই।
এর আগে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদানসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হয়। সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর পর দুই সিটির কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের কিছুটা উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি কমতে দেখা যায়। বিশেষ করে রাজশাহীতে সকাল থেকেই ভোটার উপস্থিতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। দিনশেষে উভয় সিটিতে গড়ে ৪০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন, যা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গাজীপুর এবং খুলনা ও বরিশালের চেয়েও অনেক কম। আগের সিটি নির্বাচনগুলোর মতো রাজশাহী ও সিলেটেও কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণে ধীরগতিও লক্ষ করা গেছে, যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। তবে দুই সিটি নির্বাচনের সার্বিক পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ নির্বাচন আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন অফিসে বসে সিসি ক্যামেরায় পুরো ভোট পর্যবেক্ষণ করে কমিশন।
রাজশাহীতে বৃষ্টি বাধা: দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন নিবাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত রাজশাহী সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকা এবং সর্বশেষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন করার পাশাপাশি বৃষ্টির বাগড়ায় ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা অনেকটাই শঙ্কায় ছিলেন। ভোট শুরুর তিন ঘণ্টা পর সকাল ১১টায় রাজশাহীর আকাশে শুরু হয় মেঘের ঘনঘটা। শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। প্রায় পৌন ১ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভোটার ও ভোট গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা কিছুটা সময় ভোগান্তিতে পড়েন। যারা ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাদের কেউ ছাতা মাথায় কিংবা বৃষ্টিতে ভিজেই ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করেন। কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে ধীরগতি ও জটিলতা ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ভোটার ও জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন।
নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী মো. রুহুল আমিন টুনুর নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অন্য কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বাবুর কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালিয়ে চেয়ার ভাঙচুর করে। হামলায় ওই ওয়ার্ডের গোয়ালপাড়া এলাকার জয়েন উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আলীর (টুনুর সমর্থক) পা ভেঙে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান কাউন্সিলর প্রার্থী টুনু।
সকালের দিকে শহরের কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও দুপুরের দিকে উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। ভোটকেন্দ্রগুলোতে পুরুষ ভোটারের থেকে নারী ভোটারের উপস্থিতি বেশি ছিল। কয়েকটি কেন্দ্রে সরেজমিন দেখা গেছে, সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিকেল পৌনে ৩টায় ৫০.১ শতাংশ ভোট পড়ে। ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিকেল ৩টায় ভোট পড়ে ৪৮ শতাংশ। নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুল কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টায় ২০ শতাংশ ভোট পড়ে। বিকেল সোয়া ৩টায় ওই কেন্দ্রে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়ে বলে কেন্দ্রটির দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. সারওয়ারে কাওসার জানান। এ ছাড়া নগরীর ১৪ ১৬, ১৯, ২১ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্রে দেখা যায়, কেন্দ্রগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। তবে অধিকাংশ কেন্দ্রেই পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন ও কাউন্সিলর পদে ১১১ জন এবং নারী কাউন্সিলর পদে ৪৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা হলেন নৌকা প্রতীকে খায়রুজ্জামান লিটন, হাতপাখা প্রতীকে হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (ভোট বর্জন করেছেন), লাঙ্গল প্রতীকে সাইফুল ইসলাম স্বপন এবং গোলাপ ফুল প্রতীকে লতিফ আনোয়ার। সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭, নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন।
সকাল সোয়া ৯টায় রাজশাহী শহরের ১৪নং ওয়ার্ডের স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দেন নৌকার প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। সকাল ১০টায় নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের মথুরডাঙ্গা আটকোষী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন। এ সময় হঠাৎ ওই কেন্দ্রে মেয়র প্রার্থী লিটনের সঙ্গে তার দেখা হয়ে যায়। পরে তারা উভয়ে একে অন্যকে জড়িয়ে কোলাকুলি করেন।
ইসির প্রতি অলৌকিক বিশ্বাসে পোলিং এজেন্ট দেননি জাকের পার্টির প্রার্থী: নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও দেশের মানুষের প্রতি অলৌকিক বিশ্বাস স্থাপন করে ১৫৫ কেন্দ্রের কোনোটিতেই পোলিং এজেন্ট দেয়নি জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী লতিফ আনোয়ার। পোলিং এজেন্ট না থাকলেও ভোটে কোনো সমস্যা হয়নি জানিয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি। দুপুর ১২টায় রাজশাহী মুসলিম হাইস্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর জাকের পার্টির এই মেয়র প্রার্থী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সিসিকের বর্ধিত এলাকায় ভোটার উপস্থিতি বেশি : নগরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে বিপরীতমুখী চিত্র। কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন এবং কিছু কেন্দ্র ছিল একেবারেই কম উপস্থিতি। সিলেট নগরে এবার ৪২টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে নতুন ১৫টি ওয়ার্ডে এবারই প্রথম ভোট হয়। নতুন অন্তর্ভুক্ত ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বেশি, তবে পুরোনো ২৭ ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলোতে সে তুলনায় ছিল কম ভোটার উপস্থিতি। এসব ওয়ার্ডের কয়েকটি কেন্দ্র আবার ফাঁকা দেখা গেছে। তবে ভোটকেন্দ্র ফাঁকা থাকলেও বাইরে ভিড় লক্ষ করা যায়। নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের আম্বরখানা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্র প্রায় ফাঁকা। দুই-চারজন করে ভোটার এসে ভোট দিচ্ছেন। ভোটার উপস্থিতি কম জানিয়ে এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার দিবেন্দু রায় বলেন, এই কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৮৩৪, প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৩৪টি। নগরের ১৫নং ওয়ার্ডের দুর্গাকুমার পাঠশালায় ভোট দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার সেলিম আহমদ কালবেলাকে জানান, তিন ঘণ্টায় ৩২০০ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৩০০ জন ভোট দিয়েছেন। নগরের সুবিদবাজার এলাকার আনন্দনিকেতন স্কুলে ভোট দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। এ কেন্দ্রেও তেমন ভোটার দেখা যায়নি। পুরোনো ওয়ার্ডগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম জানিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, পুরোনো ওয়ার্ডগুলোতে ভোটাররা কেন্দ্রে দেরিতে আসছেন। তবে নতুন ওয়ার্ডগুলোতে প্রচুর ভোটার কেন্দ্রে আসছেন, সিটিতে তারা নতুন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এ কারণে তাদের আগ্রহ বেশি। তাছাড়া নতুন ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যাও বেশি।
তবে ইভিএম জটিলতায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় ভোটারদের। মেশিনের ধীরগতির কারণে অনেক ভোটারই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। এমনকি একটি কেন্দ্রে ইভিএম বিকল হয়ে পড়ায় ৪০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমের ভোগান্তির কারণে সকাল থেকে ভোট গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এ অবস্থা দেখা গেছে। ৩৪নং ওয়ার্ডের শাহপরাণ উচ্চ বিদ্যালয় ও কৃষ্ণ গোবিন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কৃষ্ণ গোবিন্দ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে এসে অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান লিটন বলেন, এ কেন্দ্রের একটি মেশিন কিছু সময়ের জন্য বিকল ছিল। এ কারণে ভোট দিতে দেরি হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। ভোট গ্রহণে ধীরগতির কথা স্বীকার করে নির্বাচনী কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটাররা ইভিএমে অভ্যস্ত না হওয়ায় ভোট গ্রহণে দেরি হচ্ছে।
সিলেট নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। মেয়র পদে ৮ জন প্রার্থী থাকলেও বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় সেদিন রাতে সিলেটের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এ ছাড়া সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
মন্তব্য করুন