বৈশ্বিকভাবে অনলাইনে বা ই-কমার্সে যেসব পণ্য বিক্রি বেশি হয়, তার শীর্ষে রয়েছে ইলেকট্রনিক পণ্য। পরের দুটি অবস্থান দখল করে আছে ফ্যাশন আইটেম ও খেলনা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, বিউটি ও পারসোনাল কেয়ার, খাবার, ফার্নিচার, পানীয় ও মাল্টিমিডিয়া পণ্য ই-কমার্স থেকে গ্রাহকের কেনা পণ্যের তালিকায় শীর্ষে আছে। আর এই অনলাইন কেনাকাটায় বিশ্বের শীর্ষ তিন বাজার হচ্ছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।
সম্প্রতি ই-কমার্স বাজারবিষয়ক এক জরিপে এমন তথ্যই দেয় জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টা। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ই-কমার্স থেকে গ্রাহকরা যে ধরনের পণ্য কেনেন, তার মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ শতাংশই ইলেকট্রনিক পণ্য। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ দশমিক ১ শতাংশ হচ্ছে ফ্যাশন আইটেম।
খেলনা, শখের জিনিস এবং নিজের কাজ নিজে করার জন্য প্রয়োজন হয় এমন পণ্য কেনা হয় ১৯ দশমিক ৭ শতাংশ। স্বাস্থ্যবিষয়ক, বিউটি কেয়ার এবং হেলথ কেয়ার পণ্য কেনা হয় ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। অনলাইনের মাধ্যমে খাবার কেনাকাটা হয় ৯ শতাংশ। ফার্নিচার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ, পানীয় ৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং মিডিয়া (গান, চলচিত্র ইত্যাদি) পণ্য অনলাইনে কেনাবেচা হয় ৫ শতাংশ।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়, অদূর ভবিষ্যতে অনলাইনে ফুড বা খাবার কেনার প্রবণতা গ্রাহকের মধ্যে আরও বৃদ্ধি পাবে। চলতি ২০২৩ সালে অনলাইন ফুডের বাজার ৩৩০ বিলিয়ন ডলার হলেও ২০২৭ সাল নাগাদ সেটি দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। ২০২৭ সাল নাগাদ ই-কমার্সের বৈশ্বিক বাজারও উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পাবে বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২০২৭ সাল নাগাদ চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানে ই-কমার্সের বাজার হবে যথাক্রমে ২ ট্রিলিয়ন, ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন এবং ২২৪ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে শুধু ইলেকট্রনিক, খেলনা এবং নিজের কাজ নিজের করার জন্য প্রয়োজন হয় এমন দরকারি পণ্যের বাজারই হবে অন্তত ১ ট্রিলিয়ন ডলারের।
গ্রন্থণা : শাওন সোলায়মান
মন্তব্য করুন