মেজর (অব.) ড. নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ
প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৩০ এএম
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

যুদ্ধ ও বিপ্লবকালে সাংবাদিকতা

যুদ্ধ ও বিপ্লবকালে সাংবাদিকতা

পৃথিবীর সাংবাদিকতার ইতিহাসে ২০২৪ সালটি নানাবিধ মর্মস্পর্শী ঘটনাবলির সাক্ষী হয়ে থাকল। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা, অধিকার ও সার্বিক কল্যাণ নিয়ে ১৯৮১ সাল থেকে কাজ করা আমেরিকাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস’(পিসিজি)তে ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে সংবাদ সংগ্রহকালে কমপক্ষে ১২৪ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, যা সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ড। পিসিজি প্রতিবেদন অনুসারে কর্তব্য পালনকালে প্রাণ হারানো এসব হতভাগ্য সাংবাদিকের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই ছিলেন ফিলিস্তিনি, যারা গাজা অঞ্চলে ইসরায়েলিদের হামাসবিরোধী যুদ্ধের সময় মৃত্যুবরণ করেন। গাজা অঞ্চল ছাড়াও সুদান, পাকিস্তান, মেক্সিকো ও সিরিয়ায় বহু সাংবাদিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে বিবদমান সেনাদের উত্তপ্ত বুলেটের আঘাতে।

সাংবাদিকতার জগতে বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক সমাজ, যারা কোনো প্রচারমাধ্যমের পরিচয়ে বেতনভুক্ত হয়ে কোনো কাজ করে না। এর বদলে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকরা বিশেষ কোনো আয়োজন, ঘটনা, দুর্ঘটনা বা যুদ্ধের সংবাদ, চিত্র বা ভিডিওচিত্র বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রেরণ করেন। নিজের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি ও পেশাগত স্তরের উন্নতির জন্য এমন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের মাঝে চলে তীব্র প্রতিযোগিতা। ফলে সুরক্ষা সরঞ্জাম (প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট), নিরাপত্তা প্রহরী, বীমা ও চিকিৎসাসেবার নিশ্চয়তা ও পারিবারিক নিরাপত্তার বিষয় উপেক্ষা করে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকরা দিনরাত ছুটে চলে। ফলে মূল গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের তুলনায় ফ্রিল্যান্স সংবাদকর্মীদের হতাহত হওয়ার ঘটনাই বেশি ঘটে। ২০২৪ সালের সুনির্দিষ্ট একটি মেয়াদে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে প্রাণ হারানো ৪৩ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে ৩১ জনই ফ্রিল্যান্সার ছিলেন বলে সিপিজি সূত্রে প্রকাশিত তথ্যে উঠে এসেছে। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনার পর করুণ চিত্র ফুটে ওঠে ফ্রিল্যান্সারদের পরিবারে। কারণ কোনো প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় না থাকায় তারা কোনো সংবাদ প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে কোনো সহায়তা পান না। ২০২৪ সালে এমন ১১৪ জন হতভাগ্য পরিবারের পাশে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে দাঁড়িয়েছে সিপিজি। এসব পরিবার থেকে যুদ্ধ বা সংঘাতময় এলাকায় সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সংবাদকর্মীরা প্রাণহানি, অঙ্গহানি, গুরুতর জখম, নিরুদ্দেশ, বন্দি ও আইনগত জটিলতাসহ নানাবিধ বিপদে পড়ে এক অমানবিক পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করছিল।

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর সময় থেকেই যুদ্ধক্ষেত্রে অকুতোভয় সাংবাদিকদের দুর্দান্ত সব প্রতিবেদন সারা বিশ্বের কাছে সাংবাদিকতার নতুন এক পর্ব উপস্থাপন করে চলেছে। বিশেষত সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ার সৈন্যরা যখন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছে যায়, তখন মূলধারার সংবাদকর্মীরা কিছুটা পেছনে থাকলেও কতিপয় যুদ্ধ সাংবাদিক (ওয়ার করেসপন্ডেন্ট) ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জীবনের মায়া ত্যাগ করে মূল যুদ্ধক্ষেত্রের অগ্রভাগে থাকতে মোটেও বিলম্ব করেনি।

যুদ্ধ ঘটনাবলি নিয়ে গণমাধ্যমের তথ্য সংগ্রহ ও তা প্রচারণার গুরুত্ব বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্পেনের ইউনিভার্সিটি অব নাভারা। এই প্রতিবেদন মতে, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বা চতুর্থ শক্তি হিসেবে গণমাধ্যমের গুরুত্ব যুদ্ধকালে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। কারণ ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, সাধারণ জনগণ যুদ্ধের সময় সরকারি বা সামরিক প্রচার যন্ত্রগুলো জনগণ ও নিম্নপদসহ সেনাদের মনোবল উঁচু রাখতে তথ্যের হেরফের করে, তথ্য গোপন করে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তথ্য বিকৃত করার প্রচেষ্টা চালায়। সরকার ও সামরিক কর্তৃপক্ষের এমন প্রবণতা হ্রাসকল্পে তখন যুদ্ধ সাংবাদিক ও ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ইউনিভার্সিটি অব নাভারার প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রের সব তথ্য, ‘কেবল একটি অবহিত বা জ্ঞানসমৃদ্ধ ও মুক্ত সমাজ গঠনের জন্যই অত্যাবশ্যকীয় নয়, বরং যুদ্ধের কুশীলব বা যুদ্ধবাজদের কানে জনগণের কণ্ঠস্বর পৌঁছে দেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যা গোলাবারুদ ও বিস্ফোরণের তীব্র শব্দের নিচে চাপা পড়ে যায়।’ বর্তমানে কোনো দেশের গৃহযুদ্ধ বা দুটি দেশের মধ্যে আঞ্চলিক সংঘাতের প্রভাব কেবল স্থানীয় পর্যায়ে সীমিত থাকে না, বরং এ প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বের নানা প্রান্তে।

উদাহরণ হিসেবে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের প্রসঙ্গ টানা যায়, যার প্রভাব এই দুটি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হাজার মাইল দূরে অবস্থিত বাংলাদেশসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে অনুভূত হয়। ইউনিভার্সিটি অব নাভারার দৃষ্টিতে যুদ্ধক্ষেত্রের একটি তথ্যের প্রতিক্রিয়া বিশেষায়িত এই পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রে একই সঙ্গে প্রতিফলিত হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব তথ্য জনগণকে প্রকৃত সত্য জানার সুযোগ করে দেয়, সেসব সত্যের প্রেক্ষাপট, ঘটনাক্রম ও পরিণতি প্রকাশ করে এবং স্থানীয়, আঞ্চলিক ও বিশ্ব জনমত গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

গণমাধ্যমের এ সক্ষমতাকে ইতিবাচক কাজে লাগানোর লক্ষ্যে পশ্চিমাবিশ্বের একদল সমাজবিজ্ঞানীর গবেষণা থেকে চালু হয়েছে ‘পিস জার্নালিজম’ বা শান্তির লক্ষ্যে সাংবাদিকতা শীর্ষক চিন্তাধারা। এ ধরনের সাংবাদিকতা ক্রমাগত আলোচনা, সংলাপ, গোলটেবিল বৈঠক, সেমিনার প্রভৃতির আয়োজন করে এবং চলমান সংঘাতের খুঁটিনাটি বিষয় বিশ্লেষণ করে সমাধানের পথ নিয়ে বিজ্ঞজনের চিন্তা ও পরামর্শ বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দেয়। ফলে বিবদমান পক্ষ সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ হয়।

শান্তির লক্ষ্যে সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ঝুঁকিও রয়েছে। প্রতিটি সংঘাতের নেপথ্যে কিছু মানুষের স্বার্থপরতা ও ভুল সিদ্ধান্ত লুকিয়ে থাকে। পেশার প্রতি সততা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অঙ্গীকার গণমাধ্যমকে সে স্বার্থপরতা ও ভুল সিদ্ধান্তের স্বরূপ তুলে ধরতে বাধ্য করে। এতে মিডিয়ার প্রচার বাড়ে। কিন্তু সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়, তখন গণমাধ্যমকেই কোনো কোনো মহল সংঘাত সৃষ্টি ও সংঘাত টিকিয়ে রাখা বা সংঘাতে বেগমান করার কারণ বিবেচনা করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কোনো একটি মিডিয়া যদি তাদের সম্পাদকীয় কলাম বা বর্ণনায় কিংবা কোনো ভিডিওচিত্রে কোনো পক্ষের দাবির যৌক্তিকতা বা অসারত্ব তুলে ধরে, তখন দেশ-বিদেশে তা চাপ সৃষ্টি করে এবং বিবাদ নিরসনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমের এ অকুতোভয় সত্য প্রকাশ সংঘাতময় এক বা একাধিক গোষ্ঠীর পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে বাধ্য। আর যখনই গণমাধ্যমের কোনো ভূমিকা কারও স্বার্থের বিপক্ষে যায়, তখনই ঝুঁকির মাত্রা বাড়তে থাকে।

জুলাই বিপ্লবের কারণে ২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাস পরিবর্তনের বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই বিপ্লব কোনো অংশে একটি যুদ্ধের চেয়ে কম ছিল না। কিন্তু এ সময়ের সাংবাদিকতা কেমন ছিল—এ নিয়ে নানা বিতর্ক, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে এক শ্রেণির সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা নামের স্বার্থান্বেষীমহল নিজেরা লাভবান হয়েছে, যা সম্প্রতি প্রকাশিত তাদের ব্যাংক হিসাব ও সম্পদের তালিকাই প্রমাণ করে। অন্যদিকে কিছু সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, কার্টুন আকার ক্ষেত্রে বাধা, কিছু সংবাদপত্র প্রকাশনায় নিষেধাজ্ঞা ও টিভি সম্প্রচারে বাধা নিয়েও সাংবাদিকরা অনেকাংশে নীরব ছিলেন, যা জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। এমনকি এক পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই বিল্পবের ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তন ও ক্ষমতার পালাবদল ঘটে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির উদ্যোগে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও পরবর্তী প্রত্যাশা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারের প্রধান আলোচক বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিপ্লবকালে গণমাধ্যমের ভূমিকার একটি মূল্যায়ন তুলে ধরেন। তার মতে, ‘জুলাই বিপ্লবে গণমাধ্যম শুধু প্রতিবাদমুখর ছিল না, বরং এটি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।’ একই সেমিনারের প্রধান অতিথি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম তুলে ধরেন ভিন্ন চিত্রও। তার মতে, ‘গণমাধ্যমের ভূমিকা অনেক, কিন্তু অনেক নেতিবাচক ভূমিকাও দেখেছিল বিভিন্ন গণমাধ্যমের স্বৈরাচারীদের বিষয়ে সংবাদ দেখতে পাই, কিন্তু তার বাইরে বর্তমান সময়ের অনেক ভালো সংবাদ কম দেখতে পাই।’ আর গণমাধ্যমকর্মীদের যুদ্ধ ও বিপ্লবকালীন ঝুঁকির দিক তুলে ধরে প্রেস ইনস্টিটিউট তার বাংলাদেশের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘একাত্তরে দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধে আমাদের ১৩ জন সাংবাদিক শহীদ হয়েছিলেন অথচ জুলাই বিপ্লবের শেষ কয়েকদিনে আমরা ৫ জন সাংবাদিক হারিয়েছি।’ এ থেকে বোঝা যায় ফ্যাসিবাদী দোসররা আর কিছুদিন সময় পেলে হয়তো আমরা ২৫ মার্চের মতো আরেকটা কালো রাত পেতাম আর সেটা অবশ্যই শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধেই হতো। ফ্যাসিবাদীদের সময়ে শিক্ষক, সাংস্কৃতিক সমাজ তাদের দোসর হিসেবে আবির্ভূত হয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের মৃত্যু ঘটিয়েছিল। সাংবাদিকরা লোভের মধ্যে গিয়ে ধ্বংস হয়েছিল। এ ঘটনা যেন ফের আর না ঘটে। সাংবাদিকদের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সঠিক তথ্য বের করে নিয়ে আসতে হবে।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন সাংবাদিকতার আড়ালে অপরাধ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘৭১ এর স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাকশালের মাধ্যমে যেভাবে জনগণের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। যে সব সাংবাদিক ফ্যাসিবাদকে টেকানোর চেষ্টা করেছিল তাদের প্রত্যেকের মুখোশ উন্মোচন করা উচিত। ফ্যাসিবাদের দোসরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় না আনতে পারলে আমাদের ঐক্যের মধ্যে তারা ফাটল ধরাবে।

জুলাই বিপ্লবে একদল সাংবাদিক ও হাতেগোনা কিছু মিডিয়া হাউস বিপ্লবী ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও আস্থার প্রতি সুবিচার করে সমীহ আদায় করেছে। কোনো কোনো সংবাদকর্মীদের কাঁধে তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ ও মিডিয়া হাউসের সামনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে জড়ো হয়ে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের দৃশ্য জুলাই বিপ্লবের পর দেশ-বিদেশে সংবাদকর্মীদের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করেছে। সম্প্রতি মাস্তল ফাউন্ডেশন ১৩ জন মিডিয়াকর্মীকে জুলাই বিপ্লবের ‘সাহসী যোদ্ধা’ হিসেবে সম্মাননা দিয়েছে, যা একটি নতুন ও ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে নানা ধরনের কলঙ্কের বোঝা মাথায় নিয়ে আরেক দল সাংবাদিক দেশ ছাড়া, বন্দি, আত্মগোপনে কিংবা চাকরিহারা। তাদের কারও কারও ব্যাংক হিসাব জব্দ হয়েছে অস্বাভাবিক লেনদেনের কারণে। সার্বিক বিচারে বলা যায়, জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে সাংবাদিকতার দুটি দিক তুলে ধরেছে, যা থেকে শিক্ষা নিতে পারলে গণমাধ্যমও গণমাধ্যমকর্মীরা উপকৃত হবেন।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত মেজর। গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজনীতিতে মন নেই কঙ্গনার, ফিরতে চান অভিনয়ে

তিন মাসে মোবাইল উদ্ধার ১০৮, টাকা ফেরত সাড়ে ৩ লাখ

এইচএসসির ফল প্রকাশ বৃহস্পতিবার, জানা যাবে যেভাবে

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর মামলায় ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের হানা, ৭ দালালের দণ্ড

রাফা ক্রসিং খোলা হবে কি না, সিদ্ধান্ত জানাল ইসরায়েল

সন্তান ধারণে সমস্যার সমাধান খাবারেই

বিপিএল নিলামের তারিখ চূড়ান্ত, দলগুলোর জন্য আছে সুখবর

চাকসু নির্বাচন : নারী ভোটারদের উপস্থিতি নজরকাড়া

অভিযোগ আসছে ভোটারদের আঙুলের কালি মুছে যাচ্ছে : ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী

১০

‘কীভাবে পরের সিরিজে ভালো করা যায় এটা নিয়ে ভাবছি’

১১

ছাত্রীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চাই : সাইদ বিন হাবিব

১২

৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হলো চাকসুর ভোট

১৩

‘নির্বাচনে কারচুপি করলে কে গ্রহণ করবে’

১৪

ভোট দিয়ে শিক্ষার্থী বললেন, ‘ঈদের আনন্দ লাগছে’

১৫

বাংলাদেশে অভিবাসন ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে ‘অভিবাসন ম্যানুয়াল’ প্রকাশ করল আইওএম 

১৬

নিখোঁজের ১৫ দিন পর মরুভূমিতে মিলল সবুজের মরদেহ

১৭

মাইলস্টোনে নিহত পরিবারের পাশে থাকবেন তারেক রহমান : আমিনুল হক 

১৮

গণতন্ত্রের পথে নতুন যাত্রা শুরু করতে চাই : ব্যারিস্টার অসীম

১৯

ইলিশ রক্ষা অভিযানে গিয়ে অস্ত্র খোয়ালেন আনসার সদস্য

২০
X