জাতীয় সংগীত পরিবর্তন, দেশের নাম পরিবর্তন, ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’-এর পরিবর্তে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানের প্রস্তাব, রিসেট বাটনের ধারণা, রাষ্ট্রপতি অপসারণ প্রক্রিয়া, সেকেন্ড রিপাবলিক ঘোষণা, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লব বা দ্বিতীয় স্বাধীনতার স্বীকৃতি না দেওয়া, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন, গণভোট ও গণপরিষদ নির্বাচন আয়োজন, ১৭ বছর বয়সে ভোটাধিকার প্রদান, সংবিধান পুনর্লিখনের উদ্যোগ, সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে চার বছরে নামিয়ে আনা, জুলাই সনদ অনুযায়ী রাষ্ট্রকাঠামোর মৌলিক রূপান্তরের আহ্বান, দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা হিসেবে একই ব্যক্তি না রাখার প্রস্তাব, সংবিধান সংশোধনে জাতীয় ঐকমত্যের শর্ত, সাংবিধানিক পদে নিয়োগে দলীয় সমঝোতা, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠন এবং রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে ‘বহুত্ববাদ’ যুক্ত করার মতো বিষয়গুলো নিয়ে যদি কোনো রাজনৈতিক দল বা মত দ্বিমত পোষণ করে, তাহলে কি তাকে ‘নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্র’ বজায় রাখতে চায় বলা যায়? প্রশ্নটি গভীরভাবে ভাবা দরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সংস্কার কমিশনগুলো’ যেসব সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে চার্টার প্রস্তুত করেছে, সেগুলোর অধিকাংশের সঙ্গেই বিএনপি নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছে। গণতন্ত্রে বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে মতের ভিন্নতা থাকা খুবই স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয়। প্রতিটি সংস্কার প্রস্তাব যাচাই-বাছাই, বিশ্লেষণ এবং জনমতের ভিত্তিতে গ্রহণ বা বর্জনের অধিকার একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মৌলিক চর্চা। ফলে ১৬৬টি সুপারিশের প্রতিটি নিয়ে ‘হ্যাঁ-না’ভিত্তিক মতামত প্রদান বা আলোচনায় অংশগ্রহণকারী কেউ যদি কিছু সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে, তাহলে তাকে স্বৈরতন্ত্রের পক্ষে বলা—তা শুধু গণতান্ত্রিক শিষ্টাচারেই আঘাত করে না, বরং গণতন্ত্রের মর্মবোধকেও সংকুচিত করে। গণতন্ত্রের সৌন্দর্য হলো মতের ভিন্নতার মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সত্যের দিকে অগ্রসর হওয়া। যে সমাজ বা রাষ্ট্রে মতভেদকে স্বৈরতন্ত্রের সমার্থক ধরে নেওয়া হয়, সেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বুদ্ধিবৃত্তিক পর্যালোচনা এবং ন্যায্য আপত্তির জায়গা সংকুচিত হয়, যা শেষ পর্যন্ত একটি একমুখী কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের জন্ম দেয়। আমাদের এ পথ পরিহার করে জনগণের অধিকারভিত্তিক গণতন্ত্রের পথে দৃঢ়ভাবে অগ্রসর হতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। তারপর থেকে রাষ্ট্র ও রাজনীতি সংস্কারের বিষয়টি জনগণের মধ্যে বিস্তৃত হতে থাকে, যেখানে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর আগে ২০১৭ সালে বিএনপি ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণা করে রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরে। পরে, ২০২২ সালে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা এবং ২০২৩ সালে রাষ্ট্রসংস্কার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ৩১ দফা রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়। শুধু সাম্প্রতিক সময়ে নয়, বিএনপি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যতবার রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, ততবারই রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে, যা দেশ ও জাতির অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংস্কারের সংস্কৃতি শুরুই হয় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে, যার ধারাবাহিকতা আজও চলমান।
সংস্কার আসলে কী?
সংস্কার একটি প্রস্তাবনার রূপরেখা, সনদ, নীতিমালা বা চার্টার, যা ‘সকল অংশীজনের’ মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার কমিশনগুলো তৈরি করেছে। এখন রাজনৈতিক দলগুলো এ চার্টারে প্রয়োজন অনুযায়ী টিক দেবে। যেসব বিষয়ে সব দলের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে উঠবে, শুধু সেসব ক্ষেত্রেই সংস্কার বাস্তবায়িত হবে—সরকারের পক্ষ থেকে এমনটিই বলা হয়েছে। আর এ সংস্কার বাস্তবায়ন করবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি বা সংসদ। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন—অন্তর্বর্তী সরকার তা সম্পন্ন করে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। এ প্রক্রিয়ায় যেসব সংস্কার অন্তর্বর্তী সময়ে গৃহীত হবে, সেগুলোর চূড়ান্ত বৈধতা প্রদান করবে পরবর্তী নির্বাচিত জাতীয় সংসদ।
আর নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনের আগে কম সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে। অন্যথায় নির্বাচন আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এই সংস্কারগুলোর কিছু অংশ বাস্তবায়ন করবে অন্তর্বর্তী সরকার এবং বাকিগুলো বাস্তবায়ন করবে পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার।’
সংস্কার বলতে বোঝায় বিদ্যমান নীতিমালা, কাঠামো বা ব্যবস্থার উন্নয়ন, যা সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে। এটি শুধু নতুন নীতির প্রবর্তন নয়, বরং পূর্বের সীমাবদ্ধতা সংশোধন করে ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলে। গণতন্ত্রে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা জনগণের চাহিদা, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সঙ্গে অগ্রসর হয়। এর মূল লক্ষ্য জনগণের ক্ষমতা, অধিকার ও স্বার্থরক্ষা করা; যা সুশাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার, সুষম উন্নয়ন, জবাবদিহি এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।
গণতান্ত্রিক সংস্কার জনগণের অংশগ্রহণ, স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে জনগণের মতামত ও প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন সম্ভব, তাই এটি সমষ্টিগত উন্নয়ন, ন্যায্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক শাসনের পথ প্রশস্ত করে। রাষ্ট্রের অধিকারের সুরক্ষা, নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক দলের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শাসনের ফলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পড়েছে, রাষ্ট্রে প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, কাঠামো, ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে—এ কথা সর্বজন স্বীকৃত। বিদ্যমান কঠিন বাস্তবতা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় গণতন্ত্র এবং গণতন্ত্র—রাষ্ট্র ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক চর্চার প্রয়োগ, বাস্তবায়ন, ধারণ ও অনবরত অনুশীলন। গোটা সমাজ পরিবর্তনের জন্য সংস্কার অপরিহার্য। তবে কাঠামোগত পরিবর্তনের বাইরে ব্যক্তির নৈতিকতা, দৃষ্টিভঙ্গি ও সাংস্কৃতিক চেতনা পরিবর্তন হওয়া জরুরি। এজন্য ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় স্তরে ন্যায্যতার চর্চা এবং নীতি ও আইন প্রণয়নই প্রকৃত পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি।
সাংবিধানিক সংস্কার ও বিএনপি
বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা-অভিপ্রায় অনুযায়ী এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের অঙ্গীকারের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে সংসদীয় একনায়কতন্ত্রের সৃষ্টি রোধ করা যায়। প্রস্তাবনায় প্রধান বিষয়গুলো হলো—একই ব্যক্তি পরপর দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না; সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনা; উপরাষ্ট্রপতি ও উপপ্রধানমন্ত্রী পদ সৃজন; দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রবর্তন; সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন; অধস্তন আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের অধীনে রাখা; গণভোটের বিধান পুনঃপ্রবর্তন এবং প্রজাতন্ত্র, নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে সংস্কার প্রস্তাব।
এ প্রস্তাবনাগুলোর মাধ্যমে সরকারের ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতার সুষ্ঠু সমন্বয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষত, ৪৮, ৫৬, ১৪২ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এবং গণভোটের বিধান পুনঃপ্রবর্তনের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিএনপি সংবিধান সংস্কারের জন্য ৬২টি যুগান্তকারী প্রস্তাবনা কমিশনের কাছে জমা দেয়, যার অধিকাংশই সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার মনোনয়ন এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের সময়সীমা নির্ধারণ বা ক্ষমতা হ্রাসের প্রস্তাবও বিএনপি উত্থাপন করেছে।
রাষ্ট্র ও রাজনীতির পুনর্গঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে একটি কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষা এবং জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সংবিধান সংস্কারের সাতটি লক্ষ্যের আলোকে প্রস্তাবিত ১৬৬টি সংস্কারের অধিকাংশের সঙ্গে বিএনপি একমত। তবে কিছু কিছু নির্দিষ্ট প্রস্তাবের ক্ষেত্রে দলটি যৌক্তিক ভিত্তিতে ভিন্নমত পোষণ করেছে। সর্বোপরি, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশের সঙ্গেও বিএনপি একমত পোষণ করেছে—যা প্রমাণ করে যে, দলটি শুধু নির্বাচন নয়, বরং রাষ্ট্রের কাঠামোগত সংস্কার ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের দিকেই মনোযোগী।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বিএনপি ভবিষ্যতে এ দেশে স্বৈরশাসনের কবর রচনা করতে চায়; আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতে চায়, রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের জ্ঞানী-গুণীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে দুই কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায়, তরুণ ও বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান আর কর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত যোগ্যতা অনুযায়ী ভাতা প্রবর্তন করতে চায়। নিশ্চিত করতে চায় সর্বস্তরে নারীর অংশগ্রহণ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, অর্থনীতি—সব ক্ষেত্রে আনতে চায় যুগোপযোগী আমূল পরিবর্তন। গড়তে চায় ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-গোষ্ঠী-সমতল-পাহাড়ি নির্বিশেষে এক সুষম সমঅধিকারের আধুনিক বাংলাদেশ।’
অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্রের চর্চা
অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক দর্শন বিশ্বব্যাপী বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গবেষকদের আলোচনায় এলেও এটি নির্দিষ্ট পলিটিক্যাল টার্ম বা মুভমেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তবে বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনের আলোকে, তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির মাধ্যমে ‘সবার বাংলাদেশ’ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বিশ্বাস করেন, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র সফল হবে না। তার ভাষায়, ‘সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় একটি গণতান্ত্রিক, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তোলা বিএনপির লক্ষ্য।’ এ লক্ষ্য থেকে গণতন্ত্রের নতুন, উন্নত ও সামগ্রিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
৩১ দফা ও ভিশন-২০৩০-এ অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র, সমাজ ও দেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, যা Inclusive Bangladesh গড়ার মূল ভিত্তি। অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক দর্শন শুধু একটি রাজনৈতিক কাঠামো বা উন্নয়ন মডেল নয়, এটি একটি সামাজিক এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান প্রদান করে। বর্তমান বিশ্বে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক অস্থিতিশীলতা, বৈষম্য, পরিবেশগত সংকট এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন মোকাবিলায় এটি মৌলিক ভূমিকা পালন করতে পারে। এর মূল বিষয় হলো—নিরাপদ পৃথিবী ও বিশ্ব মানবতা দর্শন, যা মানুষের সার্বিক কল্যাণে নিবেদিত।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
সাংগঠনিক সম্পাদক, ডিইউজে
মন্তব্য করুন