খায়রুল আনোয়ার
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অনিচ্ছুক ৮৩ শতাংশ...

অনিচ্ছুক ৮৩ শতাংশ...

দেশের রাজনীতির জন্য অশনি বার্তাই বলতে হবে, তরুণরা রাজনীতিতে যোগ দিতে আগ্রহী নন। প্রচলিত রাজনীতি ও শাসনকাঠামো বদলে দেওয়ার লক্ষ্যে যখন সনদ-সংস্কার নিয়ে সংলাপ চলমান, নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের উত্তাপ বিরাজ করছে, তখন একটি জরিপের ফল সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়েছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তরুণদের ভাবনা সম্পর্কে এ জরিপ পরিচালিত হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছেন। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ঘোষণা দিয়ে তরুণরা একটি দলও গঠন করেছেন। তবু জরিপে অংশ নিয়ে ৮৩ শতাংশ তরুণ বলেছেন, তারা রাজনীতিতে যোগ দিতে চান না। এর কারণ হিসেবে তারা তিনটি বিষয় উল্লেখ করেছেন। প্রথমটি হলো— রাজনৈতিক সহিংসতা; দ্বিতীয় কারণ—রাজনীতিতে দুর্নীতি ও নৈতিকতার ঘাটতি; শেষ কারণ হচ্ছে—পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নিরুৎসাহিত করা। জরিপে এর বিপরীতে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে, তা হলো—রাজনীতিতে অনাগ্রহী তরুণরা পেশাজীবনে সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে আগ্রহী। অর্থাৎ বিষয়টি দাঁড়িয়েছে যে, দেশ বা সমাজ বদলের পথ হিসেবে রাজনীতিকে বেছে না নিয়ে তরুণরা সরকারি চাকরি নিয়ে নিশ্চিত জীবন বেছে নিতে চান। গণঅভ্যুত্থানের এক বছরের পূর্তির প্রাক্কালে দাঁড়িয়ে রাজনীতির প্রতি তরুণদের অনীহা হতাশা জাগায় বৈকি।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও অ্যাকশন এইড এ জরিপ পরিচালনা করে। দেশের আট বিভাগের ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী দুই হাজার তরুণের (নারী ও পুরুষ) ওপর জরিপটি করা হয়। এতে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের তরুণরা অংশ নেন। সানেমের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে যে, জরিপে যে মতামত এসেছে তা শুধু বাছাই করা তরুণদের। এ জরিপের ফল পুরো জনগোষ্ঠীর বা অন্যান্য বয়সের মানুষের মতামত হিসেবে বিবেচনা করা উচিত হবে না। জরিপে ‘মব’ ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তরুণদের উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে। তরুণরা চান, সাধ্যের মধ্যে আধুনিক শিক্ষা ও উন্নত স্বাস্থ্যসেবা। সংস্কারের ক্ষেত্রে তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শ্রমবাজারকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। তরুণরা অন্যায্য ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট গ্রেপ্তার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছেন। তরুণদের প্রত্যাশার মধ্যে রয়েছে, শক্তিশালী বিচার ব্যবস্থা, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া ও প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতি, ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ, জনপরিসর ও অনলাইনে নিরাপত্তা। আগামী নির্বাচনে কোন দল সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে, এরপর কোন দল এবং অন্যান্য দল কত ভোট পাবে, তরুণরা সে বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। জরিপে অংশ নেওয়া ৭০ শতাংশ তরুণ আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে জানান। অথচ তারা রাজনীতিতে যোগ দিতে আগ্রহী নন। বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখার মতো।

রাজনীতির প্রতি তরুণদের এই অনীহা কেন? জুলাই অভ্যুত্থানের তরুণদের নেতৃত্ব, মিছিল-সমাবেশে তরুণদের প্রাধান্য, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটানো সফল অভ্যুত্থানের পর এই হাজার হাজার তরুণ কোথায় চলে গেলেন? তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মকাণ্ডেও তাদের উপস্থিতি নেই। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আগেও রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন। জুলাইয়ের অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানও তাদের রাজনীতিমুখী করতে পারেনি। তবে রাজনীতির প্রতি তরুণদের অনীহা শুধু এই সময়ের প্রেক্ষাপট দিয়ে বিবেচনা করা যাবে না। একদিনে এ অবস্থা তৈরি হয়নি। স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময়ে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে ছাত্র রাজনীতিতে মেধার সমাবেশ ঘটেছিল। কৃতী ছাত্ররা রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন। শুধু লেখাপড়ায় নয়, সাহিত্যচর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা রীতিমতো প্রতিযোগিতার মনোভাব নিয়ে অংশ নিতেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্র সংসদ নির্বাচন তাদের মধ্যে আলোড়ন তুলত। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং নব্বইয়ের গণআন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরিতেও ছাত্রসমাজ সাড়াজাগানো আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল। এ দেশের সব বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামে ছাত্রসমাজ ইতিহাস রচনা করে। তবে স্বাধীনতার পর এক ভিন্ন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। ছাত্র সংগঠনের মধ্যে দেখা যায় বিভক্তি-বিভাজন। স্বাধীনতার পর ‘ডাকসু’ নির্বাচনের ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়। সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের রায় ছিনতাই করে। মহসিন হলে চাঞ্চল্যকর ‘সেভেন মার্ডার’ ছাত্ররাজনীতিতে কলঙ্ক তৈরি করে দেয়। শুরু হয় শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি। একদলীয় শাসন, সামরিক শাসন, সেনাসমর্থিত শাসন, নির্বাচিত সরকারের শাসন—কোনো সরকারের আমলেই ছাত্ররাজনীতি নিরবচ্ছিন্নভাবে সুস্থধারায় প্রবাহিত হতে পারেনি। ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার, হলে হলে সিট দখল কেন্দ্র করে প্রধান প্রধান ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ যেন নিয়মে পরিণত হয়। এর ফলে রক্তপাত, প্রাণহানি, অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হতো। এরশাদের শাসন আমলে বারবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার ফলে সেশনজট তৈরি হয়। সে সময় তিন বছরের অনার্স কোর্স শেষ করতে পাঁচ বছর, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়েও বেশি সময় লেগেছে। ছাত্ররাজনীতি এক অসুস্থ ধারায় প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনিয়মিত হয়ে পড়ে। সুস্থ ছাত্ররাজনীতির চর্চা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ক্যাম্পাস থেকে বিদায় নেয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের চোখের সামনে ছাত্ররাজনীতির নামে রাজনীতির এক ভয়ংকর রূপ দেখতে পান। রাজনীতির প্রতি উৎসাহিত যারা, তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসন আমলে আবাসিক হলে তৈরি হয় ‘টর্চার সেল’। ছাত্রলীগের মিছিলে যেতে না চাইলে এই ‘টর্চার সেলে’ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন চালানো হতো। হল থেকে অনেক ছাত্রকে উৎখাত করা হয়েছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে আবাসিক হলে নির্মমভাবে হত্যা করে ছাত্রলীগ। আবির্ভাব ঘটে ‘হেলমেট বাহিনী’র। এ বাহিনী বিভিন্ন ইস্যুতে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমনে মিছিলে-সমাবেশে ঝাঁপিয়ে পড়ত।

শুধু ছাত্ররাজনীতি নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও বিরাজ করছে হতাশার চিত্র। তবে এ প্রসঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে যে, এ দেশের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা লাখো প্রাণের বিনিময়ে রাজনৈতিক নেতাদের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গঠিত প্রবাসী সরকার ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়। যে যুদ্ধে ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, নারীসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল, স্বাধীনতাবিরোধী কতিপয় রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি ছাড়া। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারের মেয়াদে দেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে অনেক যথেষ্ট। তবে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বরং জনগণ একদলীয় শাসন, দুজন রাষ্ট্রপতি হত্যাকাণ্ড, ক্যু, সামরিক শাসন, রাষ্ট্রপতির শাসন, সংসদীয় ব্যবস্থা, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক শাসন, জোটের শাসন, সর্বশেষ সাড়ে ১৫ বছর ধরে কর্তৃত্ববাদী প্রধানমন্ত্রীর ভারতে পালিয়ে যাওয়া দেখেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত চারটি নির্বাচনে গঠিত সংসদও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। ১৯৯১-২০০৬ সময়কালে তিনটি সংসদই বিরোধী দলের দ্বারা বেশিরভাগ সময় বয়কটে ছিল। তিনটি সংসদের প্রতিটিই বিরোধী দলের বর্জনের মাধ্যমে অধিবেশন শুরু করেছিল। সংসদীয় অধিবেশন বর্জন সংসদীয় গণতন্ত্র একটি অনুসরণ হিসেবে স্বীকৃত। তবে বাংলাদেশের সংসদে বিরোধী দলগুলো এ পদ্ধতিটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে। বয়কটের রাজনীতি শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা রাজপথে নিয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় হরতাল ও অবরোধ রাজনৈতিক সহিংসতায় পরিণত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ফল পরাজিত দলের মেনে নিতে নারাজ হওয়ার কারণে সংসদীয় রাজনীতির চর্চা গড়ে ওঠেনি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও স্থায়ী হয়নি।

গত সাড়ে ১৫ বছরে তিনটি একতরফা ও কলঙ্কিত নির্বাচন কর্তৃত্ববাদী শাসনের জন্ম দেয়। এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হয়। উন্নয়ন না গণতন্ত্র—এ স্লোগান তুলে ‘উন্নয়নের জোয়ার’ বইয়ে দেওয়ার প্রচার চলতে থাকে। বিপরীতে চলে হত্যা, গুম, বিরোধী দল ও বিরোধী মতের ওপর দমনপীড়ন। আইনের শাসন ও মানবাধিকারকে নির্বাসনে পাঠানো হয়। প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়। পুলিশকে বিরোধী দলের রাজনীতি দমনের হাতিয়ারে পরিণত করা হয়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতি, দলীয় অনুগত ব্যবসায়ীদের ব্যাংক দখল করে ব্যাংকের অর্থ লুটপাট ও বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার যেন রূপকথাকেও হার মানায়। সংসদে রাজনীতিকের বদলে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য বাড়তে থাকে। অবশ্য এর অনেক আগে থেকেই রাজনীতিতে অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও সামরিক কর্মকর্তাদের প্রবেশ ঘটে। মন্ত্রী-এমপি এবং সরকারি দলের নেতাদের একটি বড় অংশ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বড় দুটি রাজনৈতিক দলের কমিটি গঠন নিয়ে বাণিজ্য, তৃণমূলে চাঁদাবাজি, বাস টার্মিনাল-বালুমহাল ও নদী দখল এখন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এসব ক্ষেত্রে হাত বদল হয় মাত্র। দলগুলোর মধ্যে সহিংসতার কারণে শত্রুতা বিরাজ করে। রাজনীতিতে সুস্থ প্রতিযোগিতা যেন নিষিদ্ধ বিষয়।

জরিপে তরুণরা রাজনীতিতে যোগদান না দেওয়ার কারণ হিসেবে রাজনৈতিক সহিংসতা, রাজনীতিতে দুর্নীতি ও নৈতিকতার অভাবের যে কথা উল্লেখ করেছেন, ওপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো তার সমর্থনে সাক্ষ্য দেয়। সম্ভবত তরুণরা মনে করেন, রাজনীতি এখন তার আদর্শ ও নীতিনৈতিকতার জায়গায় নেই। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের নিয়ে গঠিত রাজনৈতিক দলের প্রতি এক ধরনের আশাবাদ তৈরি হয়েছিল। তবে তাদের সরকারের অংশ হওয়া (উপদেষ্টা পরিষদে) সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না। তারা নতুন বন্দোবস্তের কথা বললেও রাজনীতির পুরোনো পথেই হাঁটছেন। এনসিপি তরুণদের তাদের রাজনীতিতে টানতে এখনো সফলতা দেখাতে পারেনি।

দেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রার যে কর্মসূচি এখন পালন করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দল গঠনের আগে তা করা গেলে হয়তো ভিন্ন ফল পেতে পারত দলটি। এ ছাড়া দলের কোনো কোনো নেতার বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনসিপিকে যাত্রাপথের শুরুতেই বিতর্কে ঠেলে দেয়। তরুণদের রাজনীতিবিমুখতার কারণগুলো গভীরভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের দাবি রাখে। একই সঙ্গে দরকার রাজনৈতিক দলগুলোর আত্মোপলব্ধির। এর সঙ্গে রাজনীতির বারবার সংকটে পড়ার বিষয়টিও জড়িয়ে আছে। অভ্যুত্থানের পর নতুন করে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো তা পুরোপুরিভাবে কাজে লাগাতে না পারলে আবারও রাজনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কিউবার প্রেসিডেন্ট ও বিলাসবহুল হোটেলগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

‘ফেনীতে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প সেনাবাহিনীকে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পাল্টা প্রশ্ন / আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর না হলে পাঁচজনকে কীভাবে গ্রেপ্তার করল

মিটফোর্ডের ঘটনায় সরকারের নীরবতা নিয়ে বাঁধনের ক্ষোভ

সৌদিতে অবৈধভাবে মাছ ধরায় বাংলাদেশি আটক

টেস্ট ক্রিকেটে ডিউক বল নিয়ে কেন এত বিতর্ক?

নড়াইলে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ১

বিতর্কিত কিছু বলে ম্যাচ ফি হারাতে চান না বুমরাহ

মেসিকে সম্মান জানিয়েই ক্যাম্প ন্যু উদ্বোধনের পরিকল্পনা বার্সার

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বলেন, ‘বিমানে বোমা’

১০

বাংলাদেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ‘AI & Security’ সেমিনার অনুষ্ঠিত

১১

জোতার ‘২০’ নম্বর জার্সিকে অবসরে পাঠাচ্ছে লিভারপুল

১২

প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিপর্যস্ত : যুবদল সভাপতি

১৩

চুয়েট ছাত্রদলের খসড়া কমিটি, ৯ শিক্ষার্থীকে শোকজ

১৪

টিভিতে প্রেসিডেন্টকে দেখতে না চাওয়ায় ছয় মাসের জেল

১৫

যুবদল নেতা মাহাবুব হত্যা, পুলিশ হেফাজতে ভ্যানচালক 

১৬

প্রথমে আপনি যা দেখেছেন, তা প্রকাশ করে আপনার লুকানো মানসিক শক্তি

১৭

প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ আকিজ বাশির গ্রুপে চাকরি

১৮

ডব্লিউএইচও থেকে পুতুলের ছুটি, প্রেস সচিবের স্ট্যাটাস 

১৯

লেবাননে ১০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র

২০
X