ভারত-ইংল্যান্ডের চলমান টেস্ট সিরিজে মাঠের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি সবচেয়ে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছে বলের মান। ডিউকস ব্র্যান্ডের এই বল নিয়ে দুই দলের খেলোয়াড়রাই বারবার অভিযোগ তুলছেন, বল খুব দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে এবং আকার হারিয়ে ফেলছে। এমনকি গতকাল (১১ জুলাই) বল নিয়ে আম্পায়ার শরফদৌল্লার সঙ্গে রীতিমতো তর্ক শুরু করে দেন ভারতীয় অধিনায়ক গিল।
টেস্টের মতো দীর্ঘ ফরম্যাটে বলের স্থায়িত্ব এবং সিমের ধার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই সিরিজে দেখা যাচ্ছে, মাত্র কয়েক ওভার পরই বলের গুণমান ধরে রাখা যাচ্ছে না। ফলস্বরূপ, আম্পায়ারদের কাছে বারবার বল বদলের দাবি উঠছে। মাঠের আম্পায়াররা ‘গেজ টেস্ট’ বা বিশেষ রিং ব্যবহার করে বলের আকার যাচাই করেন। যদি বল সেই মানদণ্ডে না পাস করে, তখন সেটি বদলানো হয়।
ভারতের টেস্ট অধিনায়ক শুভমান গিল জানিয়েছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বোলারদের জন্য কাজটা খুব কঠিন। উইকেটের চেয়ে বলের অবস্থা বেশি সমস্যার। বল দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে, আকার হারাচ্ছে। এতে উইকেট পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।’
ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকসও একই সুরে কথা বলেছেন, ‘যখন কোনো দল ইংল্যান্ড সফরে আসে, প্রায়ই এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। বল দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে, আকার হারাচ্ছে। এটা আদর্শ নয়, কিন্তু আমাদের মেনে নিতে হয়।’
ভারতের সহ-অধিনায়ক ঋষভ পান্ত বলেন, ‘এই সিরিজে বলের আকার খুব দ্রুত বিকৃত হচ্ছে। প্রতিটি বলের আচরণ আলাদা হয়ে যাচ্ছে। বল নরম হলে তেমন সুইং বা বাউন্স থাকে না, কিন্তু হঠাৎ বল বদলালে আবার আচরণ বদলে যায়। ব্যাটারদের জন্যও এটি বড় চ্যালেঞ্জ।’
ডিউকস বলের নির্মাতা দিলীপ জাগজোদিয়া এ বিষয়ে বলেছেন, ‘সবাই বলের দোষ দিচ্ছে। কেউ রান না করলে পিচের দোষ, কেউ উইকেট না পেলে বলের দোষ। বল তো পাথর নয়, এটি সময়ের সঙ্গে ক্ষয় হবে। তবে বর্তমান খেলায় শক্তিশালী ব্যাট এবং খেলোয়াড়দের ফিটনেসের কারণে বলের ক্ষয় দ্রুত হচ্ছে।’
তিনি আরও যুক্ত করেন, ‘সম্ভব হলে ৬০-৭০ ওভারের মধ্যে নতুন বল নেওয়ার নিয়ম বিবেচনা করা উচিত।’
বল বিতর্কের কারণে খেলার গতি ব্যাহত হচ্ছে এবং ম্যাচের মোমেন্টাম বদলে যাচ্ছে। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি মাঠের নাটকীয়তায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
মন্তব্য করুন