শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

অদৃশ্য খেলায় উত্তপ্ত মাঠ

যে কথা কেউ শোনে না
অদৃশ্য খেলায় উত্তপ্ত মাঠ

পটি করে তা নিয়ে খেলছে শিশুটি। ওর বাবা-মা বলছে, বড় হয়ে বিখ্যাত প্যাথোলজিস্ট হবে। আর প্রতিবেশী দম্পতি বলছে, বড় হলে নিশ্চিত মেথর হবে। যার যেমন দৃষ্টিভঙ্গী তার তেমন মন্তব্য। একই ঘটনার একাধিক মূল্যায়ন হতে পারে। কোনোটা কোনোটা হয়তো পরস্পরবিরোধী। তবে, রাজনীতিতে এমন উদাহরণ শুধু পরস্পরবিরোধী নয়; স্ববিরোধীও হয়ে থাকে। সম্প্রতি রাজনীতিবিদদের চাঁদাবাজি নিয়ে মশহুর আলোচনা চলছে চারদিকে। এমনকি চাঁদাবাজিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত লোকটিও লাইনে নতুনদের নিয়ে রসালো মন্তব্য করছেন। জন্ম থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থকদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার সংস্কৃতি চালু করেছে। চাদা, ডোনেশন, হাদিয়া, ইয়ানত, ক্রাউডি ফান্ড নানা নামে টাকা সংগ্রহ করে দলগুলো। এটা নতুন কিছু নয়। তবে, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জনপ্রত্যাশা নতুন এক আবেদনের নাম। টানা দেড় দশকজুড়ে ধর্ষিত দেশ, পবিত্র হয় তার দেড় হাজার সন্তানের রক্তস্নানে। ঘুড়ে দাড়ানোর আশা জাগে জনমনে। জীবন দান বৃথা যাবে না বলে পণ করে গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। সবাই মিলে প্রতিষ্ঠা করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু হায়, বছর না ঘুরতেই হাবেল-কাবেল দ্বন্দ্ব চরমে। অভিভাবকের প্রতি অন্ধবিশ্বাস প্রশ্নবিদ্ধ। অহেতুক কৌতুকে ব্যস্ত থাকা সরকারের সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা এখন সময়ের কাঠগড়ায়। মৃত্যুর কাছে নিজেকে সপে দেওয়া অভ্যুত্থানকারীরা এখন ব্যস্ত জীবন সাজাতে। এন্তার অভিযোগ তাদের ঘিরে। অথচ, নতুন বন্দোবস্তে বৈষম্যহীন দেশ গড়ার কথা বলছেন তারা।

নাহিদ, আখতার, উমামা, হাসনাত, সারজিস, সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ... কি সুন্দর থোকা থোকা নাম। হাসিনা রেজিমের এক একটি রক্তগোলাপ। রাজপথে ফুটেছিল মজলুম জনতাকে মুক্তির সুবাস দিতে। ভীত-কম্পিত-হতাশ জনগণ জেগে ওঠেছিল তাদের সাহসিকতায়। দেড় যুগ ধরে চলা হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলন নতুন করে দানা বাধে চব্বিশের জুলাই-আগস্টে। ফুসে ওঠে সব শ্রেণী পেশার মানুষ। উন্নয়নের একঘেয়ে রেকর্ড ফেলে পালাতে বাধ্য হয় স্বৈরাচারী সরকার। প্রতিদানে ঝরে পড়ে দেড় সহস্রাধিক তাজা প্রাণ। নাম না জানা অনেক কলি পিষ্ট হয় ট্যাংকের তলায়। সতীর্থ শহীদদের আত্মার ঋণ শোধিতে দেশ গড়ায় ব্রতী হন তরুণ তু্র্কিরা। কিন্তু, এ যে বড় কঠিন কাজ! বিশেষ করে রাজনৈতিক দল গঠন এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে সফলতার আশা। ফ্যাসিস্ট পতন আন্দোলনে সফল বিপ্লবী আর জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা এক বিষয় নয়। সম্প্রতি তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি... এনসিপি পড়েছে ব্যাপক সমালোচনার মুখে। কেউ কেউ বলছেন, বালক ভুল করে নেমেছে ভুল জলে। তাদের চাঁদাবাজির একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এনসিপি নেতাদের পরিবারের সদস্যদের নামেও রয়েছে তদ্বিরের অভিযোগ। সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে নতুন দলের নেতা-কর্মীরা তদ্বির বাণিজ্যে রীতিমতো সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে প্রচারণা আছে। এদিকে, দল থেকে পদত্যাগী উমামা ফাতেমা বলেছেন, চাঁদাবাজির শিকড় অনেক গভীরে। এসব টের পেয়েই তিনি অভ্যুত্থানকারীদের সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দল গঠনের বদনাম বারবার ফিরে আসে নানা ঘটনা-দুর্ঘটনায়। এর ফলে ইউনূস সরকার আর এনসিপির সম্পর্কটি ঠিক বৈধতায় ফেলা যাচ্ছে না। সরকারি দলের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও তা স্বীকার করে না এনসিপি। আবার, নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ায় ‘কূলহারা কলঙ্কিনী’র তকমার শিকার হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারের মনে কি আছে? কোটি কোটি লোকের মনে এখন এই প্রশ্ন। রাস্তা থেকে অবৈধ অটোরিক্সা তাড়াতে পারেনি। বিদেশিদের দীর্ঘস্থায়ী ব্যবসার দাবিও এড়াতে পারছে না। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরৎ পাঠানোর উদ্যোগে অগ্রগতি নেই। ইতিমধ্যে আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। এমনকি, ভারতও রোহিঙ্গা পুশইন করছে বাংলাদেশে। আম-ইলিশ পাঠিয়েও প্রতিবেশীর মান ভাঙ্গাতে পারেনি ইউনূস সরকার। অথচ, তার এবং তার নিয়োগ কর্তাদের অনলবর্ষী মন্তব্যে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব ক্রমাগত বাড়ছে। কূটনীতি নিয়ে কূটতর্ক না করে স্মার্টলি হ্যান্ডল করাই হলো যুক্তিযুক্ত। সে পথে না গিয়ে ‘সেভেন সিস্টার্স’ দেখিয়ে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার ভবিষ্যৎ মনে করিয়ে দিয়েছেন ইউনূস। বিষয়টি নি:সন্তান মোদী ভালোভাবে নেননি। যে কারণে উত্তর মেরু উষ্ণ হলেও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ না গলে আরও কঠিন হচ্ছে। এদিকে, মিয়ানমারের সঙ্গে কি হচ্ছে কেউ জানে না। করিডরের আলাপ আপতত ঘরবন্দী। কিন্তু, নাড়াচাড়া থামেনি। গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও সো মো। তার আগের দিন মিয়ানমারের উপপরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে সে দেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়। মিয়ানমারের গণমাধ্যম ‘ইরাবতী’ সংবাদ দুটি প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে কোনো খবর নেই। কোনো উচ্চবাচ্যও নেই। সেন্ট মার্টিন নিয়ে সরকারি রহস্য দিন দিন গুজবের ডালপালা ছড়াচ্ছে। স্থানীয়দের স্বাভাবিক জীবনে গজব নেমে আসছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা এখন আমলাদের ভাষায় কথা বলছেন। এক সময় জনপ্রিয় পরিবেশ আপা হিসাবে সমাদৃত ছিলেন। আরও কয়েকজন উপদেষ্টার ক্ষমতা উপভোগের শখ দিন দিন বাড়ছে বলে আচরণে প্রকাশ পাচ্ছে। এর মধ্যে যোগ হয়েছে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন অফিস নিয়ে প্রশ্ন, সন্দেহ।

তিন বছর মেয়াদি মিশন চালুর জন্য সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘ। শর্ত অনুযায়ী সইয়ের পর থেকেই মিশন চালু বলে গণ্য হবে। গত বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের যুক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সংস্কার এবং গণ-অভ্যুত্থানের নৃশংসতার বিরুদ্ধে একটি সমন্বিত তথ্যানুসন্ধান পরিচালনায় কাজ করছে তারা। এমওইউ অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের কূটনীতিকদের মতো দায়মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অবসরের পরও তাঁদের এ ধরনের দায়মুক্তি বলবৎ থাকবে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। তারা কি করবেন তাহলে? বর্তমানে ১৬টি দেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের এমন মিশন রয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, চাদ, কলম্বিয়া, গুয়াতেমালা, গিনি, হন্ডুরাস, লাইবেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মেক্সিকো, নাইজার, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া ও ইয়েমেন। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের ওই তালিকায় যুক্ত হওয়ার মতো নয়। এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি ইসলামী ও বামপন্থী দল। তারা মনে করে, ‘বাংলাদেশের জন্য এটা সম্মানজনক নয়। এখানে তাদের অফিস করতে চাওয়াটা রহস্যজনক’। এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা বলেছে, ‘জাতিসংঘ আমাদের সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় বাস্তবতার প্রতি পূর্ণ সম্মান রেখে বাংলাদেশে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সরকার এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার সার্বভৌম কর্তৃত্ব সংরক্ষণ করে। যদি জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন হয়।’

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার গণবিরোধী অনেক অকাজ করেছে। এখন সার্বভৌমত্বের গল্প শুনলেও ভয় পায় সাধারণ মানুষ। ঘরপোড়া গরু সিদুরে মেঘ দেখলে আৎকে ওঠে। আর, সুদূরের সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন বন্ধুত্ব থাকলে শত্রুর প্রয়োজন হয় না। এই প্রবাদ দুটি দুনিয়াজুড়ে জনপ্রিয়। ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্ত হয়ে নিশ্চয়ই কেউ ঈগলের থাবার শিকার হতে চাইবে না। কিন্তু, এনসিপির উচ্চাভিলাষী রাজনীতি আর সরকারের লাগামহীন ক্ষমতা বিলাস নতুন নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে জামাতের সিদ্ধান্তহীনতার সঙ্গে মিলে যায় সরকারি টালবাহানা। ফ্যাসিস্টের সহযোগী ইসলামী আন্দোলনের বড় বড় কথা অতীতের দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা সংযোগকে মনে করিয়ে দেয়। এসবের বিপরীতে বিএনপির সতর্ক পদক্ষেপে অস্বস্তিতে দলটির সুশীল সমর্থকরা। আর, উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীদের যেন তর সইছে না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো অঘটনের জন্ম দিচ্ছে তারা। দলের হাইকমান্ড প্রতিনিয়ত হুশিয়ারি দিলেও সাবধান হচ্ছে কম। এদের জন্য হয়তো বিএনপি আবারও ‘অপারেশন ক্লিন হার্টে’র কথা ভাববে। কিন্তু, তার জন্য তো ক্ষমতায় যেতে হবে। সে পথ তো দিন দিন কন্টকিত হয়ে ওঠছে। সংস্কারের আড়ালে এখন কোনো খেলা চলছে বলে মনে করেন অনেকে। আওয়ামী লীগের জামানায় দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অনেক নেতাই ‘খেলা হবে’ বলে হুংকার দিতেন। বিষয়টি দৃশ্যমান ছিল। হাস্যরসের ব্যাপারটি প্রায় অশ্লীলতার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা। তার পরিণতিও ভোগ করছে পলাতক আওয়ামী লীগ। মাঠ খালি রেখে হাওয়ায় মিশে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে এখন। রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, খেলা এখনো হচ্ছে। তবে, ঘোষণা ছাড়া। যে কারণে অস্বস্তিতে চিন্তিত দর্শক। খেলোয়াড় আড়ালে। কিন্তু, মাঠে আতঙ্ক। খেলা দেখা যাচ্ছে না। তবে, খেলার প্রতিক্রিয়ায় সমর্থকরা উন্মত্ত। এরকম পরিস্থিতিতে শেষ বাশি ভয়ংকর হতে পারে।

লেখক: হেড অব নিউজ, আরটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১০

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১১

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১২

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৩

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

১৪

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

১৫

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

১৬

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

১৭

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

১৮

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৯

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

২০
X