মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৫, ০৮:০৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এ কথা সে কথা

নীরজা থেকে মাহেরীন

নীরজা থেকে মাহেরীন

ভারতের হিন্দি ফিল্ম ‘নীরজা’ অনেকেই দেখে থাকবেন। সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল ২০১৬ সালে। বক্স অফিস হিট করা এ সিনেমাটিতে একজন বিমানবালার দুঃসাহসিক কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রাম মাধবানি। নীরজা চরিত্রের রূপায়ণ করেছেন মুম্বাই ফিল্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোনম কাপুর। একটি সত্য ঘটনা উপজীব্য করে বেড়ে উঠেছে নীরজা সিনেমার কাহিনি। ১৯৮৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর লিবিয়ান একটি সংগঠন সমর্থিত আবু নাইদাল অর্গানাইজেশন প্যানএমের একটি ফ্লাইট হাইজ্যাক করে পাকিস্তানের করাচিতে। উড়োজাহাজটির হেড পার্সার ‘নীরজা ভানোটা’ পাইলটদের সতর্ক করে দিয়ে সে হাইজ্যাক-প্রচেষ্টা বানচাল করে দেন। এজন্য তাকে জীবন দিতে হয় হাইজ্যাকারদের হাতে। তবে নিজে জীবন দিলেও ফ্লাইটের ৩৭৯ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৫৯ জনের জীবন রক্ষা পেয়েছিল নীরজার সাহসিকতার কারণে। বাকিরা ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হন। চলচ্চিত্রটিতে দেখানো হয়, নীরজাকে ভারতের ‘জাতীয় বীর’ উপাধি দিয়ে ‘অশোক চক্র’ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। সিনেমাটি বিপুল দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। বিশেষ করে নীরজার নাম ভূমিকায় সোনম কাপুরের অভিনয় এতটাই নিখুঁত ছিল যে, তা অভিনয় মনে হয়নি। মুভিটি যখন প্রথম দেখি (ইউটিউবে), তখন ভেবেছি বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটে কি না। পরে জানলাম, একটি সত্য ঘটনা নিয়েই নির্মিত হয়েছে নীরজা সিনেমটি। তখন মনে হয়েছে, এ পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে মানুষের জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, নীরজা ভানোটা তাদের একজন। তিনি শুধু জীবনই দেননি, কর্তব্যপরায়ণতা ও দায়িত্বশীলতারও নজির স্থাপন করে গেছেন।

তেমনি আরেকটি নজির স্থাপিত হয়েছে গত ২১ জুলাই আমাদের দেশে। উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একজন শিক্ষিকা তার শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছেন। মাহেরীন চৌধুরী নামের এ শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা ও শিশুদের প্রতি মমত্ববোধের কথা এখন সবার মুখে মুখে। প্রশিক্ষণ-যুদ্ধবিমানটি যখন মাইলস্টোন কলেজের ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়, মাহেরীন তখন কিছুটা দূরেই ছিলেন। চোখের সামনে দেখেন তার প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা আটকা পড়েছে জ্বলন্ত কলেজ ভবনে। অন্য অনেকে যখন নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে আগুনের তাণ্ডবলীলা দেখছিল, কেউবা নিজের সেলফোনে দৃশ্য ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ‘মহৎ কর্মে’ ব্যস্ত ছিল, মাহেরীন চৌধুরী তখন ছুটে গিয়েছিলেন সে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডের ভেতর। জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য বিবেচনা করে প্রবেশ করেন ক্লাসরুমে। দুই হাতে টেনে বের করে আনতে থাকেন তার প্রিয় শিক্ষার্থীদের। কাউকে নিয়ে আসেন পরম মমতায় বুকে আগলে। একে একে তিনি আগুনের হাত থেকে রক্ষা করেন অন্তত ২০ শিক্ষার্থীকে। এরই মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা তাকেও স্পর্শ করেছে। কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক মাহেরীন চৌধুরীর। তারপর একসময় তিনি হারালেন চলৎশক্তি। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হলো জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে। ভর্তি করা হলো আইসিইউতে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। কর্তব্যপরায়ণতা ও মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে পরলোকে চলে গেলেন মাহেরীন।

মাহেরীনকে আমরা কেউ চিনতাম না। অথচ আজ মনে হচ্ছে তিনি আমাদের কত আপন, কত চেনা! একজন মানুষ তার কাজের দ্বারাই মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা অর্জন করে। আবার কাজের কারণেই হন সমালোচিত, কখনো কখনো ঘৃণিত। মাহেরীন চৌধুরী তার আত্মদানের জন্য আজ শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে এক অনন্য নাম। তিনি যদি আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ে শিশুদের উদ্ধার করতে না যেতেন, তাহলে কেউ তাকে দোষারোপ করত না। কিংবা স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে পদাবনতি দিত না। তারপরও কেন তিনি এত বড় ঝুঁকি নিলেন? আসলে এরকম ঝুঁকি সবাই নেয় না, নিতে সাহস করে না। যারা নিতে পারে, তারাই ইতিহাস রচনা করেন। নিজেরাও পরিণত হন ইতিহাসে। আজকাল মাহেরীনদের মতো মানবদরদি ও সাহসী মানুষ পাওয়া দুষ্কর। যেখানে সবাই আপন স্বার্থ নিয়ে ব্যতিব্যস্ত, সেখানে অন্যের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর সময় কোথায়? একটি কথা ভেবে আমি অবাক হয়েছি, মাহেরীনের তো স্বামী-সংসার, সন্তান-সন্ততি রয়েছে। আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে কি তার একবারও তাদের কথা মনে হয়নি? মনে পড়েনি সন্তানদের মায়াবী মুখগুলো? এর জবার পেয়ে গেছি আমরা। হাসপাতালের আইসিইউর বেডে শুয়ে মৃত্যুর প্রতীক্ষারত মাহেরীন তার স্বামীকে বলে গেছেন সে কথা। আগুনে দগ্ধ স্ত্রীকে স্বামী মনসুর হেলাল জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না?’ সে বলল, ‘ওরাও তো আমার সন্তান। ওদের রেখে আমি কী করে চলে আসি?’ মনসুর হেলাল বলেছেন, ‘আমি আমার সবকিছু দিয়ে চেষ্টা করেছি ওকে বাঁচাতে। কিন্তু পারিনি। আমার দুইটা ছোট ছোট বাচ্চা এতিম হয়ে গেল।’ (কালবেলা, ২৩ জুলাই, ২০২৫)।

একজন মানুষ পরিবার-পরিজনের কথা চিন্তা না করে অন্যের বিপদে কখন ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, তা বলে বোঝানোর দরকার পড়ে না। যখন সে আপনজনের পাশাপাশি তার চারপাশের মানুষকে স্বজন হিসেবে গ্রহণ করে, তখনই তা করতে পারে। মাহেরীন তার ছাত্রছাত্রীদের নিজের সন্তান বলে গ্রহণ করেছিলেন। তাই মৃত্যুর মুখ থেকে তাদের উদ্ধার করতে নিজের জীবনের পরোয়া করেননি। মানবপ্রেমে হৃদয় যাদের থাকে পরিপূর্ণ, তারাই পারেন অন্যের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে। তারা ভুলে যান আপন পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের কথা। তাদের সামনে তখন বড় হয়ে দেখা দেয় ‘মানুষ’।

শহীদ মাহেরীন নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ি চৌধুরীপাড়া গ্রামের সন্তান। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের ভাতিজি তিনি। অথচ এ দেশের কেউ জানত না মাহেরীন নামে রাষ্ট্রপতি জিয়ার একজন ভাতিজি আছেন। তাও লতাপাতায় ভাতিজি নন। মাহেরীনের বাবা ও জিয়াউর রহমান ছিলেন আপন খালাতো ভাই। আজকাল যোজন যোজন দূরের সম্পর্কীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে একশ্রেণির মানুষকে ফায়দা লুটতে দেখা যায়। অথচ যার চাচা ছিলেন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, চাচি ছিলেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তার নামটিও আমরা কখনো শুনিনি। এখানেই পারিবারিক শিক্ষার প্রসঙ্গ এসে যায়। চীনা দার্শনিক কনফুসিয়াসের একটি অমর উক্তি হলো, ‘পরিবার হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।’ বাস্তবিক পরিবারের শিক্ষাই একজন মানুষকে সত্যিকার মানুষ হয়ে উঠতে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। মাহেরীন চৌধুরী নিশ্চয়ই তার পরিবার থেকে শিষ্টাচার, কর্তব্যবোধ ও মানুষকে ভালোবাসার শিক্ষা পেয়েছিলেন। সবারই জানা, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার আত্মীয়স্বজনকে সবসময় ক্ষমতার বলয় থেকে দূরে রেখেছিলেন। কেউ তার সঙ্গে আত্মীয়তার পরিচয়ে কোনো সুবিধা নিক, এটা তিনি চাইতেন না। তিনি এ বিষয়ে ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। চাচা জিয়াউর রহমানের এ নৈতিকতা সম্বন্ধে মাহেরীন নিশ্চয়ই অবগত ছিলেন। তাই তার সে পরিচয়টি এতদিন কেউ জানতে পারেনি।

মাহেরীন কি তার চাচা জিয়াউর রহমানের মতোই সাহসী ও কর্তব্যপরায়ণ ছিলেন? জ্বলন্ত ক্লাসরুম থেকে শিক্ষার্থী-শিশুদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মদান থেকে তাই মনে হয়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যার মুখে বাঙালি জাতি যখন বাংলাদেশ নামে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে হাঁসফাঁস করছিল, তখন মেজর জিয়াও ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের উদ্ধার করতে। সেদিন তিনিও তার স্ত্রী ও দুটি শিশুপুত্রের কথা ভাবেননি। জিয়াউর রহমান যখন বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা ও সূচনা করেন, তখন তার ছায়াসঙ্গী ছিলেন ক্যাপ্টেন মীর শওকত আলী (পরে লে. জেনারেল ও মন্ত্রী)। সম্ভবত ১৯৮৯ সালে তৎকালীন বিএনপি নেতা (পরে রাষ্ট্রপতি) ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মগবাজারের বাসায় আলাপচারিতায় শওকত ভাইয়ের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নের কথা জানতে চেয়েছিলাম। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বিদ্রোহ করে মেজর জিয়া যখন চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে সৈন্যদল নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন মীর শওকত আলী বলেছিলেন, ‘স্যার, বাসায় ভাবিকে একটু বলে গেলে হতো না?’ জিয়াউর রহমান গম্ভীর গলায় বলেছিলেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধে যাচ্ছি। যুদ্ধের সময় দেশ আর জাতি ছাড়া অন্য কারও কথা ভাবার সুযোগ নেই।’ চিন্তা করা যায়, বুকে কতটা দেশপ্রেম থাকলে একজন মানুষ তার স্ত্রী-সন্তানদের ভাবনা তুচ্ছজ্ঞান করে দৃঢ় পদক্ষেপে যুদ্ধের ময়দানে চলে যেতে পারেন?

ধমনিতে রক্তপ্রবাহের ধারায় কিছু কিছু গুণাবলি ও চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য পূর্বপুরুষ থেকে উত্তর-পুরুষের কারও কারও মধ্যে দেখা যায়। মাহেরীন চৌধুরী রাষ্ট্রপতি জিয়ার রক্ত-সম্পর্কীয় উত্তর-পুরুষ হিসেবে তার কিছু গুণাবলি যে পেয়েছিলেন, এখন তা পরিষ্কার। একাত্তরে জিয়াউর রহমান যেভাবে জাতিকে রক্ষার জন্য নিজের এবং পরিবারের কথা চিন্তা না করে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, মাহেরীনও তার শিশু ছাত্রছাত্রীদের রক্ষার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। দুটোই যুদ্ধ। জিয়াউর রহমানের যুদ্ধটা ছিল বড়, গোটা দেশে বিস্তৃত। আর মাহেরীনের যুদ্ধটা ছিল একটি ছোট গণ্ডির মধ্যে। তবে সে যুদ্ধের মহিমাও কম নয়।

যে শিক্ষার্থীদের মাহেরীন উদ্ধার করেছেন, তারা তাদের এই মহৎপ্রাণ শিক্ষিকাকে কখনোই বিস্মৃত হতে পারবে না। ছোঁয়া নামের এক ছাত্রীর বাবা বলেছেন, ‘ম্যাডাম (মাহেরীন) না থাকলে আমাদের ছোঁয়া বাঁচত না।’ আর ছাত্রীটি বলেছে, ‘ম্যাডাম বারবার বলছিলেন, ‘দৌড়াও, দৌড়াও, ভয় পেও না। আমি আছি।’ তিনি শুধু সেদিনই ছিলেন না, থাকবেন চিরদিন। যেমন থাকবেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্মৃতিতে। তেমনি বেঁচে থাকবেন এ দেশের মানুষের কাছে সাহসী ও মানবদরদি মানুষ হিসেবে।

বিরল এ আত্মদানের জন্য মাহেরীন চৌধুরীকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানো হবে সরকার ঘোষণা করেছে। এজন্য সরকার অবশ্যই ধন্যবাদার্হ। অন্যদিকে তার এ দুঃসাহসিক আত্মদানের কাহিনি যাতে পরবর্তী প্রজন্মকে মানবসেবায় প্রেরণা জোগায়, সেজন্য স্কুল পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করা উচিত।

লেখক: সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

দেশের ওষুধ শিল্পে সংকট-ঝুঁকি নিয়ে মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ

পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ে যেসব রেকর্ড গড়ল ক্যারিবীয়রা

‘কাচ্চি ভাই’কে লাখ টাকা জরিমানা

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রীও গ্রেপ্তার

খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়ার কর্মসূচি বিএনপির 

রেলপথ অবরোধে আটকা ৬টি ট্রেন

শুটিং চলাকালীন স্টাফের ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু

ঘরে বসে নাগরিক সনদপত্রের জন্য আবেদন করবেন যেভাবে

ধমক দিয়ে দেশের জনগণকে দাবিয়ে রাখা যায় না : ডা. জাহিদ

১০

ক্ষুব্ধ বিবৃতিতে পিএসজি ছাড়ার ঘোষণা দোন্নারুমার

১১

চার বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস

১২

অটোরিকশা চালককে গুলি করে হত্যা

১৩

মারা গেলেন ‘দেবদাস’ খ্যাত অভিনেত্রী নাজিমা

১৪

এক সপ্তাহ রাতে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখলে কী হয় জেনে নিন

১৫

অনুমতি ছাড়া অন্যের ঘরে প্রবেশ করা কি জায়েজ আছে?

১৬

আবারও বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি

১৭

চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল

১৮

আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানো মামলায় দ্বিতীয় দিনের শুনানি আজ

১৯

বিলুপ্তির পথে সুস্বাদু বৈরালি

২০
X