ইলিয়াস হোসেন
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১২ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
যে কথা কেউ শোনে না

সামাজিকমাধ্যমে রাজনীতি

সামাজিকমাধ্যমে রাজনীতি

পদার্থবিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান কিংবা রকেট সায়েন্স; যে কোনো বিজ্ঞানের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রবিজ্ঞান। উদ্ভাবক, ভাবুক, ধার্মিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, শিল্পী, আমলা, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, সৈনিক, শ্রমজীবী সবাই রাষ্ট্রের বাসিন্দা। রাষ্ট্রের আইনকানুন মেনেই নাগরিক অধিকার ভোগ করেন তারা। মেধাবীদের যে কোনো যুগান্তকারী সৃষ্টি বাস্তবায়নে লাগে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। সৃষ্টিশীল মানুষগুলো অনেক সময় খেয়ালি বা সৃষ্টিছাড়া স্বভাবের হয়ে থাকে। অগ্রগামী মানুষ হিসেবে নিয়ম ভাঙার গান গেয়ে থাকেন তারা। কিন্তু তার সৃষ্টির মূল্যায়নে কাঠামোবদ্ধ সরকার ও রাষ্ট্রের দরকার পড়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান মূলত রাষ্ট্র, সরকার এবং রাজনীতির কার্যাবলি, কাঠামো ও নীতি নিয়ে আলোচনা করে। অ্যারিস্টটলকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হিসেবে ধরা হয়। যিনি ‘পলিটিকস’ নামক গ্রন্থে রাষ্ট্র ও রাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানের প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে রাজনীতি। আর এ নীতিকে এগিয়ে নিয়ে যান রাজনীতিবিদ। নানা পেশার প্রথিতযশা ব্যক্তিরা সর্বজনীন সম্মান পেলেও রাষ্ট্রের কাছে শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদরা গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ মহান পেশায় আদিকাল থেকেই যোগ্য ব্যক্তির পাশাপাশি অনেক দুষ্টু লোক অপরাজনীতি করে আসছে। তারা রাজনীতিকে লাভজনক বাণিজ্যে রূপ দিয়েছে। যে কারণে দুনিয়াজুড়ে রাজনীতি ও রাজনীতিবিদ নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক গল্প চালু আছে। কোনো ভদ্র পরিবারই চায় না তার সন্তান ছাত্রজীবনে রাজনীতি করুক। এমনকি রাজনীতিবিদরাও চান না। তাদের বিশ্বাস করাও কঠিন। অবিশ্বাসকে কৌশল হিসেবে দেখেন নেতারা। সমাজের উন্নত থেকে ইতর শ্রেণির সব জনতাই রাজনীতিবিদের কাছে ভোটার। সবার সঙ্গে তাল মেলাতে হয় বলে মিশ্র চরিত্রের অধিকারী হন তারা। নানা অজুহাতে অসততা ও ভণ্ডামি থেকেও রেহাই পান রাজনীতিবিদরা।

রাজনীতির এমন যথেচ্ছার ব্যবহারে দেশের অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ। একটু খেয়াল করলেই চোখে পড়বে এ জাতীয় সতর্কবার্তা—‘রাজনৈতিক আলাপ নিষেধ’, ‘রাজনীতিমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান’, ‘ইহা একটি সামাজিক সংগঠন, এখানে রাজনৈতিক আলোচনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’। স্কুল-কলেজ, হোটেল-রেস্তোরাঁ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্লাবে এ ধরনের নির্দেশিকা দেখা যায়। ঝামেলামুক্ত জীবনযাপনে অভ্যস্ত নাগরিকরা এরকম প্রতিষ্ঠান চান। জলে বাস করলেও ভিজতে চান না তারা। অপরাজনীতির অশান্তি থেকে মুক্ত থাকতেই এমন প্রত্যাশা করেন। কিন্তু রাজনীতি ছাড়া রাষ্ট্র, সমাজ অসম্ভব ব্যাপার। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ভার্চুয়াল দুনিয়ায় এ চ্যালেঞ্জ আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভয়ংকরভাবে ঢুকেছে রাজনীতি। এমনকি রাষ্ট্র ও সরকারও এখন নিমজ্জিত সামাজিক তথ্য প্রবাহে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির আগাম ঘোষণা সরকারি গেজেটের আগে চলে আসে দায়িত্বশীলদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে। রাজনৈতিক দলগুলোর কাদা ছোড়াছুড়িতে পুঁতিগন্ধময় হয়ে উঠছে ভার্চুয়াল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এ ক্ষেত্রে আশঙ্কাজনকহারে এগিয়ে আছে তরুণদের নতুন দল এনসিপি। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের পাশাপাশি নিজ দলের প্রতিযোগী নেতার বিরুদ্ধেও হরদম বিষোদগার করছেন তারা। তাদের কোনো কোনো স্ট্যাটাস অসামাজিকতার সীমা ছাড়িয়ে অশ্লীলতার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং শিবির নেতা আবু সাদিক কায়েমের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। পাল্টা জবাবে কায়েমও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন। বরাবরের মতোই গণমাধ্যমের কাছে মির্জা ফখরুল জানান, নাহিদ ইসলামের দাবি সঠিক নয়। এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে নাহিদ রাজি হননি, যা বলার তা ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলে দিয়েছেন বলে জানান। তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম আরেক কাঠি সরস। তিনি বলতে গেলে ফেসবুকেই অফিস করেন। গুরুত্বপূর্ণ স্ট্যাটাসে অস্তিত্ব জানান দেন। বিতর্ক তৈরি হলে তা আবার মুছে ফেলেন।

বাংলাদেশে এখন ১১ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এর মধ্যে ৪ কোটির বেশি লোক ফেসবুকে যুক্ত। প্রযুক্তি ব্যবহারে এই উন্নতির পাশাপাশি বিপদও ধেয়ে আসছে। মিথ্যা তথ্যের লাগামহীন বিস্তার ঘটছে। পুরোনো দিনের মুখরোচক গুজব থেকে শুরু করে এখনকার অত্যাধুনিক ‘ডিপফেক’—সবকিছুই সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলার জন্য হুমকি তৈরি করছে। ‘কানে হাত না দিয়ে চিলের পেছনে ছোটা’ জাতীয় চরিত্র। মিথ্যাকে বিশ্বাস করা একটি ঐতিহ্যগত স্বভাব। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিজের কীর্তিগাথাতে মিথ্যা তথ্য যোগ করেছিলেন। ১৯ শতকে আমেরিকায়, পরে অনেক দেশে ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ শুরু হয়। যেখানে তথ্যের চেয়ে মানুষের আবেগকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। সোশ্যাল মিডিয়ার বর্তমান যুগে এ মিথ্যা খবরগুলো আরও দ্রুত এবং অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে। বারবার মিথ্যা খবর ছড়ানোর ফলে মানুষের মন অসাড় হয়ে যায়। সত্য-মিথ্যা যাচাই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ভুল তথ্যকেই সঠিক বলে বিশ্বাস করতে শুরু করে। সত্য কঠিন। সত্যকে জানতে হয়, বুঝতে হয়। এজন্য জ্ঞান, ধৈর্য ও সময় দরকার। এই যান্ত্রিক ব্যস্ততা ও লোকদেখানোর যুগে জিনিস তিনটির অভাব দিন দিন প্রকট হচ্ছে। জার্মান দার্শনিক আর্তুয়া শোপেনহাওয়ার বলেছেন, সব সত্যকেই তিনটি ধাপ পেরোতে হয়। প্রথমটা হলো উপহাস। দ্বিতীয়ত প্রবল বিরোধিতা। তৃতীয় ধাপে গিয়ে এটি নিজগুণেই গ্রহণযোগ্যতা পায়।

সত্য-মিথ্যা নিরূপণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন রীতিমতো কুরুক্ষেত্র। বিশেষ করে রাজনৈতিক ময়দান জেঁকে বসায়, স্ক্রিনে চোখ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে দিনকে দিন। খোলা মাঠে জনসমক্ষে দেওয়া বক্তব্যে শালীনতা বজায় রাখার চেষ্টা করেন রাজনীতিবিদরা। কিন্তু তার অনুসারীরা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় আঙুল দিয়ে বেলেল্লাপনা ও অশ্লীল আক্রমণের প্রতিযোগিতা করে। ভাষা ব্যবহারে শিক্ষা-রুচি-বংশ প্রকাশ পায়। এই আপ্ত বাক্যের সত্যতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। কট্টর রাজনৈতিক বিশ্বাস থেকে যা তা লিখে বাহাদুরি ফলানোর মৌসুম চলছে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিতের মাঝে খুব একটা পার্থক্য নেই। তাদের মা-বাপ-ভাইবোন-আত্মীয়স্বজন যুক্ত থাকতে পারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে তারা কী মনে করেন, এর কোনো উত্তর পাওয়া যায় না। ‘ব্যবহারে বংশের পরিচয়’—এ প্রবাদের সঙ্গে মিলিয়ে বলা যায় ‘স্ট্যাটাসে বংশের পরিচয়’। উন্নত জীবনযাপনের অগ্রগতির মাঝে মানুষের মননের ক্রমাবনতি ঘটছে। এ বিষয়ে গবেষণা জরুরি হয়ে পড়েছে।

গত দেড় দশকে বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনা মধ্যযুগীয় বর্বরতা প্রয়োগ করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি ঝগড়াটে বস্তিবাসীর মতো নিজের জিহ্বা ব্যবহার করেছেন। জ্ঞানী, প্রবীণ, জনপ্রিয় কোনো ব্যক্তিকেই ছাড় দেননি তিনি। নিজের মতের বাইরে গেলেই ধারালো জিহ্বা দিয়ে ফালা-ফালা করে ছেড়েছেন বিভিন্নজনকে। মুখরা রমণীর বাক্যবাণে আতঙ্কিত ছিল ভদ্রসমাজ। বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়মতান্ত্রিক সরকারবিরোধী আন্দোলনকে সবসময় উপহাস করেছেন হাসিনা ও তার পারিষদবর্গ। নিজস্ব বাহিনীর প্রযোজনায় আন্দোলনকে সহিংস তকমা দিয়েছেন। নাগরিক আন্দোলনের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের মানহানিকর মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন দিনের পর দিন। এরকম জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা স্বৈরাচারীকে হঠাতে বিভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলেন বিপ্লবীরা। এর মধ্যে অন্যতম প্ল্যাটফর্ম অনলাইন। দলীয় ও নির্দলীয় অ্যাকটিভিস্টরা দিন-রাত হাসিনা সরকারের দুর্নীতি, অনিয়ম তুলে ধরতেন। তির্যক ভাষায় সমালোচনা করতেন ভোটবিহীন সরকারের। এসব প্রচারণায় অনেক সময় একমুখী অশ্লীল গালমন্দও থাকত। প্রবাসী অ্যাকটিভিস্টরা এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারীর মতো স্বাধীনতা উপভোগ করেছেন। কোনো কোনো সময় তাদের বয়ানে অশ্লীলতাও স্থান পেয়েছে। দেশের বিক্ষুব্ধ, হতাশ জনগণ এসব দেখে আমোদিত হয়েছে। ফ্যাসিস্টের পতন হবেই ভেবে আশায় বুক বেঁধেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় শব্দসৈনিক এম আর আখতার মুকুলের চরমপত্রের মতো স্বাধীন ইউটিউবাররা হাসিনাবিরোধী কথিকা পাঠ করেছেন।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনে ইউটিউবারদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু ‘বাণিজ্যে বসতি লক্ষ্মী’ নীতি ধারণ করায় তারা এখন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। নিজের মতো প্রতিষ্ঠায় মব সৃষ্টিতেও কসুর করে না। নানান আপত্তিকর কর্মকাণ্ডে অনবরত উসকানি দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের আবেগকে পুঁজি করে তৌহিদী জনতার ব্যানারে হামলে পড়ছে সুযোগসন্ধানী একটি চক্র। কোনো কোনো ইউটিউবার পীরের মর্যাদায় গদিনসীন হয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কোনো কিছুতেই থামতে জানেন না তারা। অশ্লীল কথা ও অঙ্গভঙ্গি দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন জাতিকে। তাদের মুরিদরা স্বাভাবিক সামাজিক সম্পর্ক ভুলে ভয়ংকর আদর্শবাদী কট্টর হয়ে উঠছেন দিনকে দিন। চার্লস পিকারিংয়ের মতে, একটি সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য দরকার একটি শালীন সমাজ। আমাদের সম্মানজনক, উদার, সহনশীল এবং শ্রদ্ধাশীল হওয়াও দরকার।

আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে নাগরিকদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের বিকল্প নেই। রক্তস্নাত বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে মানুষকে ভালোবাসতে হবে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার সবই জনগণের জন্য। মানুষ ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে। বিদেশনির্ভর আর্থিক সচ্ছলতাই শেষ কথা নয়। আত্মসম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মানুষ তার সর্বস্ব বাজি রাখতে পারে। স্বাধীনতা তার আজন্ম অধিকার। বাসযোগ্য নিরাপদ দেশ গঠন হোক প্রতিটি দেশপ্রেমিকের প্রথম অঙ্গীকার।

লেখক: হেড অব নিউজ, আরটিভি

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শাহরুখ-দীপিকার বিরুদ্ধে এফআইআর

বিদ্যুতায়িত মাকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল মেয়েরও

শান্তিরক্ষা মিশনে যোগ দিতে কঙ্গো গেলেন পুলিশের ১৮০ সদস্য

স্কিন ক্যান্সারে আক্রান্ত সাবেক তারকা ক্রিকেটারের আবেগঘন বার্তা

সবুজের আঁচলে পাহাড়ি জীবনের ভরসা জুম চাষ

আর্জেন্টিনাকে যে শাস্তি দিল ফিফা

আমান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা

আসছে বাহুবলি: দ্য এপিক

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নিজের সেরা ইনিংস কোনটি, শচীনের উত্তর শুনে অবাক সবাই

নদীপাড়ের ফসলি জমিতে মাটি কাটার মহোৎসব

১০

ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কেঁপে উঠল দামেস্ক, ৬ সেনা নিহত

১১

জেনে নিন যে ৫ ভুলে ফ্রিজ বারবার নষ্ট হচ্ছে

১২

পাশের ঘরে বরকে অপেক্ষায় রেখে নববধূর কাণ্ড

১৩

ইসরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

১৪

বাগদান সারলেন টেইলর সুইফট

১৫

ফের চটলেন আলিয়া

১৬

সৌম্যের ব্যাটে তাণ্ডব, কিপটে মুস্তাফিজ : প্রস্তুতি ম্যাচে কে কেমন করলেন

১৭

সুহানার ছবিতে শাহরুখের মন্তব্য, সরগরম নেটদুনিয়া

১৮

জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল ফুলবাড়িয়ার লাল চিনি

১৯

‘নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ’

২০
X