

সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বর্তমানে পাকিস্তানিদের ভিসা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সিনেটের মানবাধিকার বিষয়ক কার্যকরী কমিটিকে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তানি পাসপোর্ট খুব অল্পের জন্যই ইউএই ও সৌদি আরবের নিষিদ্ধ তালিকায় পড়া থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব সালমান চৌধুরী ব্রিফিংয়ে বলেন, পাকিস্তানি পাসপোর্ট অল্পের জন্যই নিষেধাজ্ঞা থেকে বেঁচে গেছে। যদি এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হতো, তা তুলে নেওয়া খুবই কঠিন হতো।
তিনি জানান, বর্তমানে ইউএই কেবল ব্লু পাসপোর্ট ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী পাকিস্তানিদের ভিসা দিচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, কয়েক মাস আগে বিভিন্ন আইনি ও ইমিগ্রেশন লঙ্ঘনের কারণে বেশ সংখ্যক পাকিস্তানিকে সৌদি আরব থেকে বহিষ্কার করা হয়।
একই সঙ্গে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রকাশ করেন অতিরিক্ত সচিব। তিনি বলেন, অনেক আফগান নাগরিক পাকিস্তানির পরিচয় দিয়ে সেখানে বসবাস করছে এবং কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তানি পাসপোর্টও সংগ্রহ করেছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তানের পক্ষেও দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
সিনেট কমিটিকে তিনি জানান, নাগরিকদের পাসপোর্ট দেবে এমন অনিয়ম বন্ধে ১৮ থেকে ২০ কোটি পাকিস্তানির তথ্য ডিজিটালি সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন সব নাগরিকের রেকর্ড হাতে আছে এবং দ্রুত যাচাই-বাছাই করা সম্ভব।
বিদেশে আটক পাকিস্তানিদের আইনি সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন রয়েছে; তাই প্রতিটি দেশে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আইনজীবী নিয়োগ সম্ভব নয়। বিদেশে আটক অধিকাংশ পাকিস্তানির অপরাধই সামান্য ধরনের বলেও জানান তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে সালমান চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নির্দেশে তিনি মানব পাচার রোধে বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। প্রতি বছরই পাকিস্তান থেকে শত শত মানুষ অবৈধ পথে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে যায়, যাদের অনেকেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়।
অতিরিক্ত স্বরাষ্ট্র সচিব জানান, গুজরাট, ওয়াজিরাবাদ, শেখুপুরা ও লাহোর থেকে সুসংগঠিত মানবপাচার চক্র পরিচালিত হয়। দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে এসব পাচারকারী সক্রিয় রয়েছে। প্রত্যেক তরুণকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতি জনের কাছ থেকে ৫০ লাখ রুপি পর্যন্ত নেওয়া হয়। এই পাচারকারীরা যুবকদের ইউরোপে পৌঁছে দেওয়ার নামে অবৈধ পথে বিপজ্জনক যাত্রায় ঠেলে দেয়।
মন্তব্য করুন