সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২
মহিউদ্দিন খান মোহন
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
এ কথা সে কথা

বিএনপির জন্য সতর্কবার্তা

বিএনপির জন্য সতর্কবার্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অবিশ্বাস্য পরাজয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসে আরও বিস্ময়কর সংবাদ। সেখানে গত ১১ সেপ্টেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল। এ দুটি ঘটনার পর জনমনে সংগত কারণেই এর অন্তর্নিহিত কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলের শোচনীয় পরাজয়ের নানারকম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ পাওয়া গেলেও জাহাঙ্গীরনগরে তাদের শেষ মুহূর্তে নির্বাচন বর্জনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে কি ছাত্রদলের অবস্থান এতই দুর্বল যে, তারা বিতর্কিত ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে কুলিয়ে উঠেতে পারল না? এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবির কখনোই স্বাভাবিক তৎপরতা চালাতে পারেনি। অন্যদিকে জাহাঙ্গীরনগরে তাদের কিছুটা সাংগঠনিক তৎপরতা থাকলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রাধান্য বিস্তারের অবস্থা কখনোই ছিল না। তাহলে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর কী এমন ঘটল যে, দেশসেরা ছাত্র সংগঠনের তকমা আঁটা ছাত্রদলকে শিবিরের সামনে একেবারে মিইয়ে যেতে হলো? তা ছাড়া তলে তলে শিবির যদি এমন বিপুল শক্তি অর্জন করে থাকে, সে ক্ষেত্রে ছাত্রদল বা তাদের অভিভাবক সংগঠন বিএনপি এতদিন কী করেছে? তারা কি তাদের ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক অবস্থার কোনো খবরই রাখেনি? প্রশ্ন আরও আছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে অনেকগুলো সম্পাদকীয় পদের সঙ্গে ‘ছাত্রবিষয়ক’ সম্পাদকের একটি পদও আছে। অনুমান করা যায়, দলটির ছাত্র সংগঠন ও দেশের ছাত্রসমাজের বিষয়ে খোঁজখবর রাখা ও তদানুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সময়ে সময়ে অবহিত করা তার প্রধান কাজ। দেশের দুটি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের এমন লেজেগোবরে অবস্থার পর কেউ যদি ছাত্রবিষয়ক সম্পাদকের দক্ষতা-যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাহলে তা খুব একটা অযৌক্তিক হবে বলে মনে হয় না। বলাবাহুল্য, ছাত্রদলের মতো বিশাল ছাত্র সংগঠনের এমন দুরবস্থা কারও পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কেননা, এই ছাত্র সংগঠনটির রয়েছে একটি গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।

বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অভ্যুদয় ঘটেছিল এক ক্রান্তিকালে। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিষ্ঠার চার মাস পর ১৯৭৯ সালের ১ জানুয়ারি এ ছাত্র সংগঠনটি জন্মলাভ করে। তারপর থেকে ছাত্রদল ধারাবাহিক সফলতার স্বাক্ষর রেখে আসছিল। যদিও প্রতিষ্ঠার পরের বছর অর্থাৎ ১৯৮০ সালের ডাকসু নির্বাচনে মিলন-কামাল পরিষদ তেমন কোনো সফলতা পায়নি। তবে বেশ কয়েকটি হল সংসদে ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীদের কেউ কেউ জয়লাভ করেছিলেন। এরপর যতই দিন গেছে, ছাত্রদলের সাংগঠনিক ভিত্তি ততই মজবুত হয়েছে। বিস্তার ঘটেছে সারা দেশে। এর চূড়ান্ত বিকাশ ঘটে আশির দশকের মধ্যভাগে স্বৈরশাসক এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথের আন্দোলনে। সে সময় দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল শক্ত ভিত রচনা করতে সমর্থ হয়। যে কারণে ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আমান-খোকন প্যানেল ভূমিধস বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়।

একসময় ছাত্রদলকে বলা হতো বিএনপির নেতৃত্ব তৈরির কারখানা। ৪৬ বছর বয়সী এ ছাত্র সংগঠনটি থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেক মেধাবী রাজনৈতিক নেতা। তাদের অনেকই আজ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত। কেউ কেউ এরই মধ্যে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আছেন, অনেকে এমপি-মন্ত্রীও হয়েছেন। এই ৪৬ বছরে ছাত্রদলকে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে। শীর্ষপর্যায়ের অনেক নেতা দল থেকে চলে গেছেন ভিন্ন দলে। স্বৈরশাসকরা চেষ্টা করেছে এ সংগঠনটি ভেঙে-মুচড়ে দিতে। কিন্তু শত ঝড়ঝাপ্টা সত্ত্বেও ছাত্রদল দাঁড়িয়ে থেকেছে হিমালয়ের মতো। এমনকি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বর্বর শাসনকাল, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের শত জুলুম-নির্যাতনের পরেও এ ছাত্র সংগঠনটির নির্ভীক কর্মীরা শির উঁচিয়ে রেখেছিল।

দুর্ভাগ্যজনক হলো, সেই উন্নত শির ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে শুধু অবনমিতই নয়, একেবারে ভূলুণ্ঠিত হওয়ার জোগাড় হয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বলে যে অহংকার ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এতকাল করত, ফ্যাসিস্টমুক্ত পরিবেশে তা একেবারে ধূলিসাৎ হতে বসেছে। সবচেয়ে বড় কথা, ছাত্রদলের এ চরম বিপর্যয় বিএনপির সমর্থক-শুভানুধ্যায়ীদের স্বপ্নকে ফিকে করে দিয়েছে। হতাশা তাদের গ্রাস করেছে। বিষয়টি রাজনৈতিক সচেতন মহলে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আওয়ামী লীগের পতনের পর সবাই ধরে নিয়েছিলেন, পরবর্তী নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। আর সে বিজয় হবে নিরঙ্কুশ। কিন্তু নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখের মাত্র ছয় মাস আগে তাদের ছাত্রফ্রন্টের এহেন গ্লানিকর পরাজয় আগামী সংসদ নির্বাচনের বিপদ সংকেত কি না, তাও উঠে এসেছে আলোচনায়। গত ১০ সেপ্টেম্বর কালবেলার প্রধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধায় সেখানে যে ছাত্র সংগঠন জয়ী হয়, সে ছাত্র সংগঠনের মূল দলের জনপ্রিয়তা ও জনভিত্তির একটি প্রতিফলন হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। সে হিসেবে এবারের ডাকসু নির্বাচনের ফলাফলের একটি প্রভাব আগামী সংসদ নির্বাচনে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। ১১ সেপ্টেম্বরের কালবেলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিবিরের এ ভূমিধস বিজয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা হতভম্ব ও বিস্মিত। তারা এখন এই শোচনীয় পরাজয়ের কারণ অনুসন্ধান করছেন বলেও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেছেন, ‘ছাত্রশিবির সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব সুশৃঙ্খলভাবে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছে। সেইসঙ্গে তাদের আচরণের দ্বারা সাধারণ ভোটারদের অন্তরকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে। সম্ভবত তাদের সব প্যানেলের প্রার্থীরা পড়াশোনার দিক দিয়ে বেশ ক্যালিবারেট’ (কালবেলা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫)।

অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ একসময় ডাকসাইটে ছাত্রনেতা ছিলেন। বামপন্থি ছাত্র সংগঠন পূর্ববাংলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে পালন করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষীয়ান শিক্ষক। ফলে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব অনুধাবন করা তার পক্ষে অনেকটাই সহজ। তিনি শিবিরের বিজয়ের যে দুটি বিশেষ কারণ উল্লেখ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্ববহ। প্রথমত. শিবির সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে প্রচারণা চালিয়েছে, দ্বিতীয়ত. তারা তাদের আচরণের দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থী-ভোটারদের মন জয় করে নিয়েছে। আমরা যদি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভেতরে এ দুটি বিষয় অনুসন্ধান করি, তাহলে হতাশই হতে হবে। কারণ, ছাত্রদলের প্রচারণা সীমাবদ্ধ ছিল সমাবেশ ও মিছিল-স্লোগানে। তারা ভোটারদের মন জয় করার কোনো চেষ্টাই করেনি। তদুপরি অভ্যন্তরীণ কোন্দল তাদের বিপর্যয়ের জন্য অনেকাংশে দায়ী, এমন মন্তব্যও করছেন অনেকে। প্যানেল মনোনয়ন নিয়ে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদকের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন তত্ত্বাবধান কমিটির মতদ্বৈধতা বিভক্তির পর্যায়ে উপনীত হয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে। যার প্রতিফলন ঘটেছে ভোটের আগের দিন ঢাবি ছাত্রদলের ছয়জন নেতাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের(?) অভিযোগে ‘চিরতরে’ বহিষ্কারের ঘটনায়। এ অবিমৃশ্যকারী সিদ্ধান্তও ডাকসুতে ছাত্রদল প্যানেলের ভরাডুবিতে অবদান রেখেছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে উল্লেখযোগ্য অবদান সত্ত্বেও ছাত্রদল তার বেনিফিশিয়ারি হতে পারেনি। বরং ‘বড় সংগঠনের’ অহমিকায় গণঅভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির বলয় থেকে অবচেতন মনেই দূরে সরে গিয়েছে। যে কারণে একপর্যায়ে এসে শিবিরসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষশক্তি ছাত্রদলকে ‘ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা’র অপবাদে অভিযুক্ত করার সুযোগ পেয়েছে। ছাত্রদল শিবিরকে অজনপ্রিয় করতে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তাদের অভিভাবক সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর কদর্য ভূমিকার কথা এমনভাবে উল্লেখ করেছে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার পরিবর্তে বিরক্তি উৎপাদন করেছে। স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলা আর কোনো একটি সংগঠনকে আক্রমণ করা যে এক নয়, এটা ছাত্রদল বা বিএনপি বুঝতে পারেনি। অবশ্য এটা ঠিক, বড়ত্বের অহংকারে তারা কাউকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি। যে ছাত্র সংগঠনের অভিভাবকদের কেউ কেউ ‘মূত্রবানে’ অন্যদের ভাসিয়ে দিতে চান, সে সংগঠনের কর্মীরা অন্যদের গোনায় ধরবে না; এটাই স্বাভাবিক। পরিণামে দেখা গেল, তারা ‘পেশাব’ করে অন্যদের ভাসিয়ে দিতে না পারলেও ভোটের প্লাবনে নিজেরাই ভেসে গেলেন। রাজনীতিতে বড়ত্বের অহমিকা ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস যে কতটা আত্মঘাতী হতে পারে, তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ পতিত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। অনেকেরই স্মরণ থাকার কথা, ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন, ‘বিএনপি দশটির বেশি আসন পাবে না।’ শেখ হাসিনার সে দম্ভোক্তিকে বাংলাদেশের জনগণ ‘ব্যালট-বোমায়’ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। তারা বিএনপিকেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজয়ী করেছিল।

তার চেয়ে বড় কথা, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি কিংবা তাদের অঙ্গ সংগঠনগুলো জনগণের সামনে ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পারেনি। শিক্ষার্থী বা জনগণের মনস্তুষ্টির পরিবর্তে চাঁদাবাজি, দখল, টেন্ডারবাজি, থানা-পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই, সরকারি অফিসে-থানায় খবরদারি ইত্যাদি নেতিবাচক কাজের দ্বারা বরং বিরক্তি উৎপাদন করেছে। এ অভিযোগ যে ভিত্তিহীন নয, তা এই ১৪ মাসে দলটির প্রায় চার হাজার নেতাকর্মীর বহিষ্কারেই প্রমাণিত। অনেকেই বলছেন, ওইসব অপকর্মের বিষক্রিয়ার ফল ডাকসু-জাকসুতে ছাত্রদলের বিপর্যয়।

ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর বিএনপির উচিত হবে এর কারণ অনুসন্ধানে মনোনিবেশ করা। তা না করে যদি পুরনো ধাঁচের ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ আবিষ্কারের রাজনীতিতেই নিমগ্ন থাকে, তাহলে সামনে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যেসব কারণে শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল প্যানেলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সেসব কারণ দূর না হলে জনগণও যে একই পথ অবলম্বন করবে না, তার নিশ্চয়তা কী? মনে রাখতে হবে, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান শুধু একটি ফ্যাসিস্ট সরকারকেই বিতাড়িত করেনি, জনগণের চোখও খুলে দিয়েছে। তারা যদি কোনো দলের কর্মকাণ্ডে পতিত ফ্যাসিস্টদের ছায়া দেখতে পায়, সিদ্ধান্ত নিতে বিলম্ব করবে না। সে ক্ষেত্রে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন বিএনপির জন্য সতর্কবার্তা। মঞ্জিলে-মকসুদে পৌঁছতে হলে তাদের এ বার্তার মর্মার্থ অনুধাবন করে আগামীর পথে হাঁটতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ডাকসুর প্রতিবাদ

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

রাজধানীতে বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৪

সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম সংবাদ সম্মেলন

‘৯০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব’

নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে যে বার্তা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে লঘুচাপ, ৪ দিনের পূর্বাভাসে নতুন তথ্য

হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মাদ্রাসাছাত্র উদ্ধার

আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা কারাগারে

সালিশ বৈঠকের স্থান নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

১০

সড়কের ১২ কিমি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

১১

বড়শিতে ধরা পড়ল ১৬ কেজির বিশাল পাঙাস

১২

সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু সোমবার

১৩

যে কারণে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়লেন কুলদীপ

১৪

‘সোরিয়াসিস কেবল ত্বকের রোগ নয়, জটিল নানা রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়’

১৫

আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান

১৬

ভারতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১৫

১৭

পুনরায় সচল বৈছাআ, অসম্পূর্ণ কাজ বাস্তবায়নের ঘোষণা আরাফাতের

১৮

এমন তো হবার কথা ছিল না : তারেক রহমান

১৯

সোমবার টানা ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

২০
X