মুফতি আরিফ খান সাদ
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩৬ এএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ইসলামে ভাষা ও ভাষাশহীদের মর্যাদা

ইসলামে ভাষা ও ভাষাশহীদের মর্যাদা

ফেব্রুয়ারিকে বলা হয় ভাষার মাস। এ মাসেই বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ে রাজপথে রক্ত ঝরাতে হয়েছিল। রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলা ভাষার অধিকার ও মর্যাদা। হৃদয়বিদারক ও স্মরণীয় সে ঘটনা সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী পালিত হয় ভাষা দিবস। আমাদের দেশেও ভাষা দিবসের পাশাপাশি মাসব্যাপী পালিত হয় ভাষাচর্চার অনন্য প্রকাশ বইমেলা। মানুষের মুখের ভাষাও মহান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি। পৃথিবীতে হাজারো প্রকার ভাষায় কথা বলে মানুষ। সুরয়ানি, হিব্রু, আরবি, ফারসি, সংস্কৃত, পালি, বাংলা, উর্দু, হিন্দি, ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ এমন অসংখ্য ভাষা উচ্চারিত হয়েছে ও হচ্ছে পৃথিবীর বুকে। প্রতিটি ভাষাই মহান আল্লাহর অনন্য দান। কোনো ভাষাকে ছোট করে দেখার বা তুচ্ছ ভাবার সুযোগ নেই। মহান আল্লাহ পৃথিবীতে কোটি কোটি মানুষ সৃষ্টি করেছেন এবং নিপুণতার সঙ্গে প্রত্যেক মানুষকে অন্য মানুষ থেকে আলাদাভাবে তৈরি করেছেন। পাশাপাশি দিয়েছেন রঙের ভিন্নতা, ভাষার ভিন্নতা, দিয়েছেন রুচির বৈচিত্র্য। এর মাধ্যমেই মহান আল্লাহর কুদরত ও অপরূপ মহিমা ফুটে উঠেছে। আর ভাষাবৈচিত্র্যের সাক্ষ্য মেলে খোদ পবিত্র কোরআনে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘আর তার নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্র্য। এতে জ্ঞানীদের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা রুম : ২২)।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানবজাতিকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্য যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। তাদের ওপর যেসব আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছিল, সেগুলোর ভাষা ছিল ওই নবী-রাসুলদের স্বজাতির ভাষা। নবী-রাসুলদের কাছে পাঠানো আসমানি কিতাবসমূহ মাতৃভাষায় অবতীর্ণ না হলে সেগুলো তাদের জাতি ও সম্প্রদায় বুঝতে পারত না। ফলে মানুষ বিভ্রান্তিতে পড়ত। মাতৃভাষার সঙ্গে প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর সভ্যতা ও সংস্কৃতি জড়িত। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য।’ (সুরা ইবরাহিম : ৪)

হজরত ইসা (আ.)-এর জাতির মাতৃভাষা ছিল সুরিয়ানি, তাই সুরিয়ানি ভাষায় তার প্রতি ইনজিল অবতীর্ণ হয়। হজরত মুসা (আ.)-এর জাতির ভাষা ছিল ইবরানি বা হিব্রু, তাই ইবরানি ভাষায় তাওরাত অবতীর্ণ হয়। হজরত দাউদ (আ.)-এর জাতির ভাষা ছিল ইউনানি, তাই ইউনানি বা আরামাইক ভাষায় জাবুর অবতীর্ণ হয়। অন্যদিকে মহান আল্লাহ হজরত দাউদ (আ.)-কে দান করেছিলেন সুমধুর কণ্ঠস্বর। ফলে তার ওপর নাজিলকৃত কিতাব পাঠ করার সময় তার কণ্ঠের মোহনীয় সুরের মূর্ছনায় আল্লাহর বাণী শোনার জন্য সাগরের মৎস্যপ্রজাতি কিনারে এসে ভিড় জমাত। আবার সোলায়মান (আ.)-কে মহান আল্লাহ পশুপাখির ভাষাসহ সব জীবের ভাষা বোঝার জ্ঞানদান করেছিলেন। যার মাধ্যমে আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.) তাদের শাসনও করেছেন এবং তাদের কথাবার্তা শুনে বিবদমান বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতেন অত্যন্ত সুচারুভাবে। আর সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তার আগমনাঞ্চলের ভাষা ছিল আরবি, তার প্রথম ও প্রত্যক্ষ শ্রোতা ছিলেন আরবরা, তাই সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কোরআনুল কারিম আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়। আসমানি কিতাবসমূহ যদি নবী-রাসুলদের নিজ নিজ মাতৃভাষায় না হয়ে ভিন্ন ভাষায় নাজিল হতো, তাহলে নিজেদের উম্মতদের দ্বীনের আলোর দিকে আহ্বান করা নবী-রাসুলদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যেত।

শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের সম্ভ্রান্ত কোরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। মাতৃভাষায় তার দক্ষতা ছিল অপরিসীম। তিনি ছিলেন ভাষা ও সাহিত্যে সর্বাধিক নৈপুণ্যের অধিকারী, আরবের সবচেয়ে স্পষ্ট ও বিশুদ্ধভাষী। তার বাচনভঙ্গি, মাতৃভাষায় বিশুদ্ধতা এবং উচ্চারণের সুস্পষ্টতা ছিল রাসুল চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি নিজেই ঘোষণা করেছেন, ‘আমি আরবদের মধ্যে সবচেয়ে বিশুদ্ধভাষী।’ তার মাতৃভাষা আরবি হওয়ায় মুসলমানদের অনুসৃত ধর্মগ্রন্থ কোরআনুল কারিম আল্লাহতায়ালা আরবি ভাষায় নাজিল করেছেন। যেন সুপথভ্রান্ত লোকেরা সহজেই তাওহিদ বা একত্ববাদ স্বীকার করে ইসলামী জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে এবং কিতাবপ্রাপ্ত নবী-রাসুলরা সহজেই দ্বীনের দাওয়াত দিতে পারেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এরপর আমি এ কোরআনকে আপনার মাতৃভাষায় সহজ করে দিয়েছি। যাতে মুত্তাকিদের এর (বেহেশতের) সুসংবাদ দিতে পারেন, আর এর সাহায্যে কলহে লিপ্ত জাতিকে (দোজখের) ভয় দেখাতে পারেন।’ (সুরা মারিয়াম : আয়াত ৯৭)। আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘এটা রুহুল আমিন জিবরাইলের মাধ্যমে আপনার অন্তঃকরণে সুস্পষ্ট আরবি ভাষায় নাজিল করা হয়েছে। যাতে সতর্ককারী হতে পারেন।’ (সুরা শুয়ারা : ১১৩-১১৫)

এসব আসমানি কিতাব মাতৃভাষায় নাজিল না হলে এগুলো নাজিলের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হতো। কারণ আসমানি কিতাব নাজিলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, পুণ্য অর্জনের জন্য এর মর্ম অনুধাবন করা এবং ব্যক্তি ও সমাজজীবনে এর আলোকে জীবনব্যবস্থা কায়েম করা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আর যদি আমি কোরআন অনারবদের ভাষায় নাজিল করতাম তবে অবশ্যই বলত, এর আয়াতসমূহ বিস্তারিতভাবে বিবৃত হয়নি কেন? এটা কেমন কথা, অনারবি কিতাব আর আরবিভাষী রাসুল! আপনি বলুন, এই কোরআন মুমিনদের জন্য হেদায়াতস্বরূপ এবং ব্যাধির প্রতিকারস্বরূপ। কিন্তু যারা ইমান আনে না, তাদের কাছে রয়েছে বধিরতা এবং কোরআন তাদের জন্য অন্ধত্বস্বরূপ।’ (সুরা হা মিম সাজদা : ৪৪)। আল্লাহতায়ালা অন্য একটি আয়াতে বলেন, ‘আমি তো কোরআন আরবিতে নাজিল করেছি এজন্য যে, তোমরা তা বুঝবে।’ (সুরা ইউসুফ : ২)। আল্লাহতায়ালা হজরত আদমকে (আ.) সৃষ্টি করে তাকে সব ভাষা শিখিয়ে দিয়েছিলেন। এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে শিক্ষা দিয়েছেন ভাব প্রকাশের উপযোগী ভাষা।’ (সুরা আর রাহমান : ২-৩)। হজরত মুসা (আ.) ফেরাউনের কাছে আল্লাহতায়ালার আদেশ-নিষেধ পৌঁছে দেওয়ার আগে আবেদন করেছিলেন, ‘হে আমার প্রভু! আমার জিহ্বা থেকে জড়তার সমাধান করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।’ (সুরা তোয়াহা : ২৭-২৮)

মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যে মানুষ যে ভাষা ব্যবহার করে সেটা মাতৃভাষা। মাতৃভাষা ছাড়া মানুষ পরিতৃপ্ত হয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না। মাতৃভাষা মহান আল্লাহর অনুপম নেয়ামত। মাতৃভাষা চর্চা বা বিশুদ্ধভাবে কথা বলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুপম সুন্নত। যেসব গুণ মানুষের ব্যক্তিত্বকে অর্থবহ এবং প্রশংসনীয় করে তোলে তার মধ্যে বিশুদ্ধ ভাষা ও সুস্পষ্ট উচ্চারণ অন্যতম। পৃথিবীতে ছয় হাজারের বেশি ভাষার অস্তিত্ব রয়েছে। সবার ভাষা এক নয়। জাতি ও মানচিত্রভেদে একেকজন একেক ভাষায় কথা বলে। বিচিত্র এসব ভাষায় বিভিন্ন জাতি-ধর্ম-বর্ণের মানুষ কথা বলে। এ ভাষাগুলোই প্রত্যেক জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের মাতৃভাষা। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমাকে দান করা হয়েছে সর্বমর্মী বচন।’ হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি আরবের শ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধভাষী; কোরাইশ গোত্রে আমার জন্ম।’ হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত—রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ প্রত্যেক নবীকে তার স্বজাতির ভাষায় প্রেরণ করেছেন’ (মুসনাদে আহমাদ)। তিনি আরও বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই কিছু কথা জাদুময়।’ (বোখারি শরিফ)

ইসলামে মাতৃভাষার মর্যাদার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ইসলাম ধর্মের নবী, আমাদের প্রিয় রাসুল (সা.) শুধু ধর্মীয় ব্যক্তিত্বই নন, জীবনের সবক্ষেত্রেই তিনি আমাদের অনুসরণীয়। মাতৃভাষায় তার প্রেম ও দক্ষতাও আমাদের জন্য অনুরণীয়। তিনি ছিলেন ভাষা ও সাহিত্যে সর্বোচ্চ নৈপুণ্যের অধিকারী। তার বাচনভঙ্গিও ছিল অতুলনীয়। তিনি মাতৃভাষায় কথা বলতে গর্ববোধ করে বলতেন, ‘আরবদের মধ্যে আমার ভাষা সর্বাধিক বিশুদ্ধ। তোমাদের চেয়েও আমার ভাষা অধিকতর মার্জিত ও পরিশুদ্ধ।’ (আল-মুজাম : ২৩৪৫)। এর কারণও তিনি নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে, ‘আরবের সবচেয়ে মার্জিত ভাষার অধিকারী সাদিয়া গোত্রে আমি মানুষ হয়েছি। তাদেরই কোলে আমার মুখ ফুটেছে। তাই আমি সর্বাধিক সাহিত্যসমৃদ্ধ ভাষা আত্মস্থ করেছি।’ (আল-বদরুল মুনির ফি তাখরিজিল আহাদিস : ৮/২৮১)। আল্লাহর রাসুলের রেখে যাওয়া হাদিসের ভান্ডার এবং মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের ভাষা আরবি সাহিত্যের সর্বোচ্চ স্থান দখল করে আছে। ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃভাষা ও সাহিত্যের চর্চা এবং তাতে দক্ষতা অর্জন করা নবীদের সুন্নত। আর ইসলামী শিক্ষা, ধর্মীয় অনুশাসন এবং জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রচার-প্রসার মাতৃভাষা চর্চার ওপরই নির্ভরশীল।

আল্লাহর সমগ্র নেয়ামতের মতো মাতৃভাষার জন্যও তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। আর কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ হবে বিশুদ্ধ মাতৃভাষা চর্চায় নৈপুণ্য আনয়ন, পারদর্শিতা ও বিশেষ দক্ষতা অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার মাধ্যমে। কারণ পৃথিবীর সব ভাষা আল্লাহতায়ালারই সৃষ্ট। আর মাতৃভাষা মানবজাতির জন্য আল্লাহর দেওয়া সুমহান নেয়ামত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই সৃষ্টি করেছেন মানুষ, তিনিই তাকে শিক্ষা দিয়েছেন ভাব প্রকাশের উপযোগী ভাষা।’ (সুরা রাহমান : ৩-৪)। এই আয়াতের তাফসিরে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেছেন, এখানে মানুষ বলতে হজরত আদম (আ.)-কে বোঝানো হয়েছে। আল্লাহ তাকে সব বস্তুর যথাযথ জ্ঞান শিক্ষা দিয়েছেন। সাত লাখ ভাষাও তার জানা ছিল। (তাফসিরে মাজহারি)। এ আয়াতে মানুষ সৃষ্টির সঙ্গে ভাষা শিক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করা হয়েছে এবং পৃথিবীর সব ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

পৃথিবী, মানুষ ও মানুষের মুখের ভাষা—সবই আল্লাহর সৃষ্টি। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য যেমন মাতৃভূমি দরকার, তেমনি মাতৃভাষাও দরকার। মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার অনিবার্য এ দুই অবলম্বন প্রসঙ্গে ইসলামের রয়েছে অকুণ্ঠ ঘোষণা, অত্যুচ্চ মর্যাদা। মাতৃভূমি ও মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা শ্রদ্ধা প্রকাশ মুসলমানদের নৈতিক ও ধর্মীয় কর্তব্য। বিশেষত আমাদের মাতৃভাষার রয়েছে একই সঙ্গে বেদনাদায়ক ও গৌরবময় ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রাজপথে রক্তে ঝরাতে হয়েছে এ ভাষার অধিকার অর্জন করতে। আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় যারা সংগ্রাম করেছেন, রক্ত ঝরিয়েছেন, যাদের মহান ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মাতৃভাষা অধিকার, আমাদের উচিত সেসব মহান বীরের জন্য সর্বদা দোয়া করা এবং তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয়, সে শহীদ।’ (নাসায়ি : ৪১০৪)। অন্য হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি নিজের অধিকার বা হক প্রতিষ্ঠা বা রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় তার মৃত্যু খুবই ভালো মৃত্যু।’ (মুসনাদে আহমদ : ১৫৯৮)। প্রিয় মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় শহীদদের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি। পাশাপাশি এ ভাষা যেন কল্যাণের বাহন হিসেবে, ইসলাম ও শান্তির পয়গাম প্রচার-প্রসারের মাধ্যম হিসেবে এর বিশুদ্ধতা সংরক্ষিত থাকে, সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায় সে চেষ্টা করা। মাতৃভাষার অধিকার রক্ষায় যারা প্রাণ দিয়েছেন, আল্লাহ তাদের ক্ষমা করুন। তাদের ত্যাগে অর্জিত ভাষার মর্যাদা যেন রক্ষা করতে পারি, দুনিয়া ও আখেরাতের অনন্ত জীবনের পাথেয় সংগ্রহে যেন সঠিক বাহন হিসেবে ব্যবহার করতে পারি—মহান আল্লাহর কাছে সে প্রার্থনা। আল্লাহ কবুল করুন।

লেখক: মুহাদ্দিস ও ইসলামী চিন্তাবিদ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টেকসই চামড়াশিল্প গড়ার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংলাপ

লজ্জাবতী বানর মাটিরাঙ্গায় অবমুক্ত

আগ্নেয়গিরির লাভার নিচে পড়ে ৫৭ জনের মৃত্যু

খাবারের মূল্যবৃদ্ধি, দুই বেলা খান নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

পাস করা শিক্ষার্থীদের মিষ্টি আনতে বিদ্যালয়ের নোটিশ

‘স্মরণশক্তিকে মেধা বলে চালানোর মানসিকতা থেকে বেরোতে হবে’

বিশ্বজুড়ে সংঘাতে উদ্বাস্তু সাড়ে ৭ কোটি মানুষ!

বিদ্যুৎস্পর্শে লাইনম্যানের মৃত্যু

ট্রেবল থেকে এক ম্যাচ দূরে কিংস

ইউএস-বাংলা গ্রুপে নিয়োগ, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

১০

৪২ জেলায় দাবদাহ, তাপমাত্রা বাড়বে

১১

আমরা রোজা আছি বলায় তারা কিছু করেননি : এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন

১২

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ডিবেট ফেস্ট 

১৩

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু

১৪

গবেষণা / সিজারিয়ানে জন্ম নেওয়া শিশুর শরীরে হামের টিকা কম কার্যকর

১৫

নাবিকদের বুকে টেনে নিলেন চসিক মেয়র

১৬

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল বুধবার

১৭

মোটরযান গতিসীমা প্রণয়নে সরকারকে অভিনন্দন জানাল রোড সেইফটি কোয়ালিশন

১৮

হেরোইনসহ মাদককারবারি আটক

১৯

কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ঘোষণায় হাইকোর্টকে আসক-এর সাধুবাদ 

২০
X