সিলেটের সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে ফেসবুক লাইভে একাধিকবার সাংবাদিকদের নিয়ে কটূক্তি ও সাদাপাথর লুট হয়নি বলে দাবি করে ভাইরাল হওয়া মোকাররিম আহমদ এখন সাদাপাথর লুটের সঙ্গে জড়িত বলে চিহ্নিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের তালিকায় নাম আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
মোকাররিম আহমেদ সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ছাত্র জমিয়তের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামেয়া ইসলামিয়া হোসাইনিয়া নয়া সড়ক মাদ্রাসার শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়াও তিনি নিজেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বলে দাবি করে থাকেন।
সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনে সম্পৃক্ত থাকার দাবি করা মোকাররিম আহমেদ শুরু থেকেই সাদাপাথর লুটের অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে আখ্যায়িত করেন। কিন্তু দুদকের তালিকায় নাম আসার পর তার এ বক্তব্য ঘিরে দেখা দিয়েছে নানা রহস্য।
দুদকের তালিকায় নাম দেখে জনমনে প্রশ্ন উঠছে- তাহলে কি তিনি শুধু ‘ভাইরাল’ হতে চেয়েছিলেন, নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনো গোপন উদ্দেশ্য?
এ বিষয়ে মাকাররিম আহমেদ বলেন, দুদক তালিকায় আমার নাম দেখে আমি হতবাক, বিস্মিত হয়েছি। যেখানে পাথর সম্বন্ধে আমার ন্যূনতম ধারণা নেই সেখানে আমাকে জড়িত করা হয়েছে। আমি একজন মাদ্রাসার শিক্ষক। পাশাপাশি আমি বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িত রয়েছি। সাদাপাথর গিয়ে আমি একটা ভিডিও আপলোড করি এবং সাদাপাথর পর্যটন স্পটে পাথর লুট হয়নি বলে ভিডিওতে উল্লেখ করি। সেই ভিডিও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন