ঘুম মানুষের শরীর ও মনের জন্য ভীষণ জরুরি। তবে সবার ঘুমানোর ভঙ্গি এক নয়। কেউ একটিমাত্র বালিশে ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, কেউ বা মাথার নিচে উঁচু বালিশ ছাড়া ঘুমোতে পারেন না। আবার অনেকের অভ্যাস, ঘুমের সময় পায়ের ফাঁকে বালিশ রাখতে হয়। অনেকের কাছে এটি নিছক আরামদায়ক ভঙ্গি মনে হলেও চিকিৎসকরা বলছেন, আসলে এই অভ্যাসের রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাত হয়ে ঘুমালে পায়ের ফাঁকে বালিশ রাখলে শিরদাড়া সোজা থাকে এবং দেহভঙ্গি ঠিক থাকে। এতে করে কোমর ও পেলভিস অঞ্চলে বাড়তি চাপ পড়ে না। ফলে দীর্ঘমেয়াদে শিরদাড়ার বেঁকে যাওয়া বা পেশিতে অতিরিক্ত টান লাগার ঝুঁকি কমে যায়।
ভারতের পারস হেলথের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. আর আর দত্ত বলেন, ‘স্পাইনে চাপ পড়লে এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। কিন্তু পায়ের ফাঁকে বালিশ রেখে ঘুমালে শিরদাড়া সোজা থাকে এবং পেশির ওপর চাপ কমে। এতে কোমর ও গাঁটের ব্যথাও অনেকটা লাঘব হয়।’
অন্যদিকে, ডা. দীপক কুমার মহারানা জানান, স্পাইন জার্নাল অব ভাসকুলার সার্জারি ও দ্য স্পাইন জার্নাল-এর গবেষণায়ও বলা হয়েছে, পায়ের ফাঁকে বালিশ রেখে ঘুমালে শরীরের সঠিক ভঙ্গি বজায় থাকে এবং ঘুম হয় আরামদায়ক।
চিকিৎসকেরা বলছেন, যাদের কোমরের ব্যথা, আর্থারাইটিস বা শিরদাড়ার সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এই অভ্যাস বিশেষভাবে উপকারী। তাই অভ্যাসে থাকলে ভালো, না থাকলেও চাইলে সহজেই শুরু করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন : সকালে এক কাপ কফি বাড়াতে পারে আয়ু
আরও পড়ুন : ছবিতে প্রথমে কী দেখতে পাচ্ছেন, উত্তরই বলে দেবে কেমন মানুষ
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
মন্তব্য করুন