প্রভাষ আমিন
প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৮ এএম
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রভাষ আমিনের নিবন্ধ

ধর্ম আর সংস্কৃতিকে মুখোমুখি করবেন না

ধর্ম আর সংস্কৃতিকে মুখোমুখি করবেন না

পরপর দুটি উৎসবে মাতোয়ারা ছিল গোটা দেশ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুদিন পরই ছিল বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। দুয়ে মিলে এবার লম্বা ছুটিতে উৎসবে মেতেছিল বাংলাদেশের মানুষ। ছুটির কারণে এবার উৎসব ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। ছুটি শেষ হয়েছে। তবে উৎসবের রেশ রয়ে গেছে এখনো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলেনি বলে রাস্তাঘাটে এখনো ছুটির আমেজ। উৎসবের রেশ যেমন রয়ে গেছে, সঙ্গে রয়ে গেছে বিতর্কের পাল্টাপাল্টিও।

বাঙালি উৎসবপ্রিয় জাতি। কিছু উৎসব ধর্মীয়, কিছু জাতীয়, কিছু আবার রাষ্ট্রীয়। শোকের দিন ২১ ফেব্রুয়ারিকেও আমরা উৎসব বানিয়ে ফেলেছি। ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর আমাদের রাষ্ট্রের জন্মোৎসব। ঈদ, পূজা, বড়দিন, প্রবারণা পূর্ণিমা—এই ধর্মীয় উৎসবগুলোতেও আমরা মেতে উঠি আনন্দে। ছেলেবেলায় আমরা সব উৎসবেই শামিল হতাম। মুসলমানদের দুই ঈদের উৎসব তো আছেই। আমরা শবেকদর, শবেমেরাজ, শবেবরাতকেও উৎসব বানিয়ে ফেলতাম। এ তিনটি উৎসবই রাতে। তাই আমরা অবধারিতভাবে রাতে ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানোর স্বাধীনতা পেয়ে যেতাম। ছুটিটা পেতাম আসলে মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য। কিন্তু মসজিদে একটু হাজিরা দিয়ে আমরা রাতভর ঘুরে বেড়াতাম। রাতে বাইরে থাকার আনন্দটাই অন্যরকম। আর হিন্দু সম্প্রদায়ের তো বারো মাসে তেরো পূজা। তার অনেকগুলোতে আমরা অংশ নিতাম। আমাদের ছেলেবেলা ছিল উৎসবময়। আমাদের এলাকায় অন্য ধর্মের মানুষ ছিল না বলে, বড়দিন বা প্রবারণা পূর্ণিমার আনন্দটা ছেলেবেলায় মিস করেছি। কিন্তু বড় হয়ে দেখেছি, বড়দিনের ক্রিসমাস ট্রি বা সান্তা ক্লজের উপহার আর প্রবারণা পূর্ণিমার ফানুস ওড়ানোও কম আনন্দের নয়। ধর্মীর প্রার্থনার অংশটুকু বাদ দিলে, সব ধর্মের সব উৎসবই আনন্দের, আমাদের সবার। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

তবে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ, নববর্ষ। এই একটি দিনে সব ধর্মের, সব শ্রেণির, সব পেশার মানুষ বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জে, আনাচেকানাচে উৎসবে মেতে ওঠে। শুধু বাঙালি নয়, আদিবাসীরাও বৈসাবি উৎসব নিয়ে শামিল হয় বাংলা বর্ষবরণে। এই একটি দিনে বাংলার ঘরে ঘরে আনন্দের বান ডাকে যেন। গ্রামে গ্রামে বৈশাখী মেলা, হরেক খাবার, হরেক খেলনা, নাগরদোলা; সত্যিই যেন আনন্দের মেলা বসে।

তবে ইদানীং একটা অপশক্তি উৎসব বিরোধিতায় নেমেছে। তাদের কাছে পহেলা বৈশাখ হিন্দুয়ানি, শবেবরাত বেদাত, মঙ্গল শোভাযাত্রা খারাপ। এ অপশক্তি শুধু বিরোধিতা করেই বসে থাকেনি। ছায়ানটের বর্ষবরণে, তাজিয়া মিছিলে হামলা করে তারা উৎসবে রাশ টানতে চেয়েছে। এই অপশক্তির ভয়ে সরকারও উৎসব নিয়ন্ত্রণ করতে মরিয়া। সন্ধ্যার পর উৎসব আয়োজন ঠেকাতে তাদের চেষ্টার কমতি নেই। পুলিশের ভিড়ে এখন আর মঙ্গল শোভযাত্রা বা তাজিয়া মিছিল দেখাই যায় না। উৎসব নিয়ন্ত্রণ করে নয়, এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে উৎসব আরও ছড়িয়ে দিয়ে। সন্ধ্যার পর উৎসব বন্ধ করে অপশক্তিকে মোকাবিলা করা যাবে না। কারণ অতীতে অধিকাংশ হামলা দিনেই হয়েছে।

বলছিলাম পহেলা বৈশাখের কথা। বাংলাদেশে আমরা তিনটি সাল ব্যবহার করি। আমাদের ধর্ম, জাতীয়তা বা সংস্কৃতির সঙ্গে যার কোনো মিল নেই, সম্পর্ক নেই; সেই খ্রিষ্টাব্দ ব্যবহার করি সবচেয়ে বেশি। অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বত্রই খ্রিষ্টাব্দের জয়জয়কার। আমরাও ইংরেজি মাসের তারিখ যতটা জানি, বাংলা বা হিজরি মাসের তারিখ ততটা জানি না। হিজরি সাল বা আরবি ক্যালেন্ডার প্রতিদিন না লাগলেও আমাদের নিয়মিতই লাগে। ইসলাম ধর্মের সব হিসাব-নিকাশ এই চান্দ্র মাস বা হিজরি সাল ধরেই হয়। তবে বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ আমাদের জীবনে আসে উৎসবের ডালি সাজিয়ে—গানে, মেলায়, উৎসবে, রঙে অনন্যতা নিয়ে।

মৌলবাদীদের কেউ কেউ পহেলা বৈশাখকে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতি বলেন, এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু বাংলা সনের সঙ্গে কোনো ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। কিছুটা সম্পর্ক থাকতে পারে ইসলাম ধর্মের সঙ্গে। কারণ বাংলা সন গণনা চালু করেছিলেন মোগল সম্রাট আকবর। বাংলা সনের সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই, সম্পর্ক হলো কৃষিকাজের, কৃষকের। শুরুতে এটাকে ফসলি সনও বলা হতো। ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্য শুরুর পর হিজরি সাল অনুসারে কৃষিপণ্যের খাজনা আদায় হতো। কিন্তু হিজরি সাল চাঁদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সঙ্গে মিলত না। প্রতি বছরই হিজরি সালে দিনের ওলটপালট হয়ে যায়। তাই কৃষকদের ওপর অসময়ে খাজনা দেওয়ার চাপ তৈরি হতো। এ ঝামেলা মেটাতেই সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। সম্রাট আকবরের নির্দেশে প্রাচীন বর্ষপঞ্জি সংস্কার করে ফসলি সন বা বাংলা সন চালু করা হয়। আর এ সংস্কারের কাজটি করেছিলেন তখনকার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি। তিনি সৌর সন এবং আরবি হিজরি সনের ওপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম চালু করেন। আকবরের সময় থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সব খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হতো। সব দেনা মিটিয়ে পহেলা বৈশাখ শুরু হতো নতুন আশা নিয়ে। ব্যবসায়ীরা নতুন বছর শুরু করতেন নতুন খাতা দিয়ে, যেটাকে বলা হয় হালখাতা। হালখাতা উৎসবও হয়। ব্যবসায়ীরা পাওনা আদায়ে উৎসব করতেন। পহেলা বৈশাখের সঙ্গে কোনো হিন্দুয়ানির সম্পর্ক নেই। যে দুজনের নাম আছে—একজন সম্রাট, একজন জ্যোতির্বিদ, দুজনই মুসলমান। পহেলা বৈশাখের উৎসবটা হিন্দুয়ানি যেমন নয়, ইসলামিকও নয়; পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতি, এই মাটির সংস্কৃতি।

বাঙালি মুসলমানরা যেমন অন্য বাঙালির সঙ্গে মিলে নববর্ষ পালন করে, অন্য দেশের মুসলমানরাও নিজ নিজ অঞ্চলের উৎসব পালন করে। ইরানের মুসলমানরা তাদের নববর্ষ ‘নওরোজ’ পালন করে বিপুল উৎসবে। ইসলাম প্রবর্তনের সময় পহেলা বৈশাখ ছিল না, তাই এর সঙ্গে ইসলামের কোনো বৈরিতা থাকার সুযোগই নেই। ফেসবুকে দেখলাম এক হুজুর গলা ফুলিয়ে আল্লাহর কসম কেটে বলছেন, পহেলা বৈশাখে যারা পাঞ্জাবি কিনবে; তারা জাহান্নামি, জাহান্নামি, জাহান্নামি। সেই কথাটিও কিন্তু তিনি বলছেন, পাঞ্জাবি পরেই। আমি যে পাঞ্জাবি পরে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করি, সেই পাঞ্জাবি পরেই ঈদের নামাজে যাই। পোশাক হলো মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য। পোশাকের কোনো ধর্ম নেই। দেশে দেশে, অঞ্চলে অঞ্চলে পোশাক বদলে যায়। বাঙালি মুসলমানরা জীবনযাপন করে এ অঞ্চলের পোশাক পরে। গরমের দেশ সৌদি আরবের মুসলমানরা যে পোশাক পরবে, শীতের দেশ রাশিয়ার মুসলমানরা নিশ্চয়ই সে পোশাক পরবে না। ধর্মকে যারা সংস্কৃতির মুখোমুখি করতে চান তাদের উদ্দেশ্য সৎ নয়। আদতে তারা ধর্মেরই অবমাননা করেন।

গ্রামে গ্রামে বৈশাখী মেলা বসলেও ঢাকায় বর্ষবরণের ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে পহেলা বৈশাখের ভোরে ছায়ানটের বর্ষবরণ। ষাটের দশকে পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের রবীন্দ্রনাথ ও বাঙালি সংস্কৃতিবিরোধী আগ্রাসনের প্রতিবাদে গড়ে ওঠে ছায়ানট। পাশাপাশি স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা, প্রথম আয়োজনে যার নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। সব অমঙ্গলকে দূর করার আকাঙ্ক্ষায় শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউএনডিপির বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান আমলের মতো গত কয়েক বছর ধরে ধর্মীয় বিবেচনায় বর্ষবরণ আর মঙ্গল শোভাযাত্রার বিরোধিতা করা হচ্ছে। সময় এসেছে আবারও রুখে দাঁড়ানোর।

বর্ষবরণ উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো রঙের ছটা। কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, জারুলের মতো উজ্জ্বল রঙের ফুলে ফুলে প্রকৃতি সাজে নতুন রূপে। এর ছোঁয়া লাগে মানুষের হৃদয়ে, যা ফুটে ওঠে উৎসবের ডালিতেও। পহেলা বৈশাখের সব আয়োজনে তাই রঙের বাহার। আঁকা বর্ণাঢ্য আলপনা। মঙ্গল শোভাযাত্রা, চারুকলা সর্বত্রই রঙের ছড়াছড়ি। কয়েক বছর ধরেই মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক রঙিন হয়ে যায় আলপনার রঙে। এবার গুলশানেও বসেছিল বৈশাখী আয়োজন, গুলশানের রাস্তায়ও লেগেছিল রঙের ছোঁয়া। তবে এবার প্রথমবারের মতো কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলায় হাওরের বুকে নির্মিত অলওয়েদার সড়কের মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে দৃষ্টিনন্দন আলপনা আঁকা হয়। এ আলপনা বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ তো বটেই, সম্ভবত বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনাও এটি। গিনেস বুকে অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদনও করা হবে। অলওয়েদার সড়ক নিয়ে বিতর্ক আছে। আমিও মনে করি এটি একটি অপ্রয়োজনীয় রাস্তা, যা হাওরের প্রবহমানতা রুদ্ধ করেছে। এটি একটি অপচয়। কিন্তু এই রাস্তাটি এখন বাস্তবতাও। রাস্তাটি যত অপ্রয়োজনীয়ই হোক, ১৪ কিলোমিটার লম্বা আলপনা দেখে আমার মন ভরে গেছে। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু পরিবেশবাদী এ আলপনা নিয়ে সমালোচনায় মেতেছেন। বৃষ্টি হলে এই রং হাওরে মিশবে, হাওরের পানি বিষাক্ত হবে, সেই বিষ মাছ ও ফসল হয়ে মানুষের শরীরে আসবে, তাতে ক্যান্সার হবে, মানুষ মারা যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। পরিবেশবাদীদের দাবির সঙ্গে আমি একমত। কিন্তু ভাই, বছরের এক দিনের একটা আলপনায় হাওর ধ্বংস হয়ে যাবে, মানুষ মরে সাফ হয়ে যাবে; এতটা ভাবা বাড়াবাড়ি। প্রতিদিন আমরা প্রকৃতি ধ্বংস করছি, নদী-নালা দখল করছি। ঢাকা পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরীর একটি। আমাদের চোখের সামনে বুড়িগঙ্গা ধ্বংস হয়ে গেছে। চামড়াশিল্প সরিয়ে ধলেশ্বরীর ধ্বংস অনিবার্য করে তুলেছি। এত কিছু বাদ দিয়ে আমরা এক দিনের উৎসব ঠেকাতে হঠাৎ পরিবেশবাদী হয়ে উঠছি; এটা সন্দেহজনক।

তবে আমি হতাশ নই। এবার লম্বা ছুটির কারণে ঢাকা প্রায় ফাঁকা ছিল। তারপরও পহেলা বৈশাখে চারুকলা, রমনা, শিশু পার্ক, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রবীন্দ্র সরোবর, গুলশানসহ নগরীর পথে পথে নতুন পোশাকে ঝলমলে মানুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতি আমাকে আশাবাদী করেছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে কোনো অপশক্তিই আমাদের হৃদয় থেকে উৎসব, আনন্দ কেড়ে নিতে পারবে না।

লেখক: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সমতায় শেষ বায়ার্ন-রিয়াল মহারণ

আ.লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা

টেকসই অভিযোজনের কৌশলগুলো জানানো গণমাধ‌্যমের দায়িত্ব

খাগড়াছড়িতে আগুনে পুড়ল ২০ দোকান

প্রত্যাশা মতো চান্স না পেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তরুণীর আত্মহত্যা

সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

দিনাজপুরে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড

১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে হাইটেক পার্কের চুক্তি

মেলায় আবেদন করে চাকরি পেলেন ৪১ তরুণ

ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছিল গৃহবধূর মরদেহ

১০

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সম্পাদক ড. আবু নোমান

১১

চট্টগ্রামে তীব্র দাবদাহে মুসল্লির মৃত্যু

১২

ছাত্রলীগের উদ্যোগে রাবিতে বৃক্ষরোপণ

১৩

তীব্র দাবদাহে নারীর মৃত্যু

১৪

পাবিপ্রবিতে ফ্রি শরবত বিতরণ

১৫

রশি দিয়ে টেনে রাখা হয়েছে ভাঙা বিদ্যুতের খুঁটি

১৬

চিরকুট লিখে মুয়াজ্জিনের আত্মহত্যা

১৭

ঢাবির জসীম উদদীন হলে ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ

১৮

টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

১৯

বৃষ্টি চান না ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃষকেরা

২০
*/ ?>
X