মাহমুদুর রহমান মমিন, খাজা ইউসুফ রেজা, আব্দুস সালাম ও বশির আহমেদের পর হকি ব্যক্তিত্ব হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছিলেন আব্দুস সাদেক। ১৯৯৬ সালে ক্রীড়াঙ্গণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি প্রাপ্তির ২৭ বছর পর আরেকটি স্বীকৃতি পেলেন জীবন্ত কিংবদন্তি। এবার শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে সাবেক এই তারকা হকি খেলোয়াড়কে। দুই পুরস্কারের মধ্যে পরেরটা এগিয়ে রাখছেন আব্দুস সাদেক। পুরস্কারের সঙ্গে শেখ কামালের নাম জুড়ে আছে, এ কারণেই পুরস্কারটা আব্দুস সাদেকের কাছে বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছে। ‘শেখ কামাল আমাকে আবাহনীর অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সংগঠক, ক্রীড়াবিদ ও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসাধারণ। তার সঙ্গে আমার অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। এ কারণে জাতীয় পুরস্কারের চেয়ে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কারটা আমার কাছে বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছে। শেখ কামাল সংক্রান্ত আবেগের কারণেই সেটা’— বলছিলেন আব্দুস সাদেক। পুরস্কার পেয়ে আপ্লুত ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদও, ‘প্রথমবারের মতো জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার পেলাম, সেটিও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে। যেটা আমার জন্য খুবই গর্বের বিষয়। আমার আসলে খুবই ভালো লাগছে।’
গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন আব্দুস সাদেক। শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকীর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেরা ক্রীড়া ফেডারেশনের স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশন ও সেরা পৃষ্ঠপোষকের পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, জাতীয় ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ এবং এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ভারোত্তোলক জিয়ারুল ইসলাম। ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান। টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিম আহমেদ হৃদয় এবং হকি খেলোয়াড় আমিরুল ইসলাম উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছেন। তৃণমূল হকি সংগঠক ফজলুল ইসলাম এবং কাসিন্দুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মালা রানী সরকারকে ক্রীড়া সংগঠক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দুজনই তৃনমূলে খেলোয়াড় সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। খন্দকার তারেক মো. নুরুল্লাহ সেরা ক্রীড়া সাংবাদিকের স্বীকৃতি পেয়েছেন।
‘পরিবারের সবাই গর্ব করছে। এত অল্প বয়সে এমন একটা পুরস্কার পেয়েছি। এটা অবশ্যই আগামী দিনে আমাকে আরও ভালো করতে উৎসাহিত করবে। ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’—পুরস্কার প্রাপ্তির পর বলছিলেন টেবিল টেনিস খেলোয়াড় মুহতাসিম হৃদয়। হকি অঙ্গনে যার ফজলু ওস্তাদ নামেই ব্যাপক পরিচিতি, সেই ফজলুল ইসলামকে ভূষিত করা হয়েছে তৃনমূলের সংগঠক হিসেবে। ব্যক্তি পর্যায়ে হকি খেলোয়াড় তৈরিতে অনবদ্য ভূমিকা রাখা ওস্তাদ ফজলু প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত। কামাল, জিমি, পিন্টু, প্রিন্সদের প্রথম ওস্তাদ পুরস্কার হাতে সংশ্লিষ্টদের কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না। বললেন, ‘নিজের কাজটা আমি আগের মতো করে যেতে চাই। আমি গর্বিত। অতীতের মতো আগামী দিনেও কাজ করার জন্য আমি সবার দোয়া প্রার্থনা করছি।
মন্তব্য করুন