মাহবুব সরকার
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ এএম
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণে নতুন নীতিমালা

থাকছে না এমপিদের প্রভাব

থাকছে না এমপিদের প্রভাব

‘কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই’—এ প্রবাদ শতভাগ খাটত ক্রীড়া পরিদপ্তরের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ইস্যুতে। প্রতি বছর এ খাতে বিপুল অর্থ বরাদ্দ থাকছে; কিন্তু বাস্তবে তৃণমূল পর্যায়ে ক্রীড়া সামগ্রী গিয়ে পৌঁছাচ্ছে না। নীতিমালা বদলালেও সে ধারার কি আদৌ পরিবর্তন হবে!

জাতীয় ক্রীড়া পরিদপ্তরের ক্রীড়া সামগ্রী ক্রয় ও বিতরণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়ে থাকে বটে; কিন্তু সেটা নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে দরপত্রে অংশগ্রহণ করা সিন্ডিকেট, ক্রীড়া পরিদপ্তরের কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে সব হতো—জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সম্প্রতি ক্রীড়া সামগ্রীর দরপত্রে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন এক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। নিজের অভিজ্ঞতার কথা এভাবে জানালেন ওই ব্যবসায়ী, ‘আমাদের বিভিন্ন সেক্টরে সাধারণত পুকুর চুরি হয়; কিন্তু ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ইস্যুতে রীতিমতো সাগর চুরি হচ্ছে! অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্রীড়া সামগ্রী শুধু কাগজ-কলমেই, বাস্তবে যার অস্তিত্ব নেই। তৃণমূলের বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থা ক্রীড়া সামগ্রী নিতে এলে তাদের অর্থ দিয়ে দেওয়া হতো। বরাদ্দকৃত অর্থের কিছু অংশে নামসর্বস্ব ক্রীড়া সামগ্রী কেনা হয় বটে, কিন্তু সেগুলো মানহীন।’ প্রশ্ন হচ্ছে, নীতিমালা পরিবর্তন করে কি ‘সাগর চুরি’ বন্ধ করা যাবে!

একটা বিষয় পরিষ্কার—নতুন নীতিমালায় ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণে রাজনৈতিক প্রভাব কমছে। ২০১৬ সালে প্রণয়ন করা পুরোনো নীতিমালায় ক্রীড়া সামগ্রীর ওপর ৬৫ শতাংশ কর্তৃত্ব ছিল সংসদ সদস্যদের। ক্রীড়া পরিদপ্তরের ২০ শতাংশ এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাকি ১৫ শতাংশ বিতরণের এখতিয়ার ছিল জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাদের। নতুন নীতিমালায় জেলা সদর এবং উপজেলা কমিটিগুলোর মাধ্যমে বিতরণের জন্য ক্রীড়া কর্মকর্তাদের অনুকূলে থাকবে ৭০ শতাংশ। ২০ শতাংশ বহাল রাখা হয়েছে ক্রীড়া পরিদপ্তরের। বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ও নানা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য বরাদ্দ থাকবে বাকি ১০ শতাংশ।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ক্রীড়া সামগ্রী কেনার সময়ই ক্রীড়া পরিদপ্তর বিভিন্ন জেলায় (৭০ + ১০) ৮০ শতাংশ পাঠিয়ে দেবে। বাকি ২০ শতাংশ ক্রীড়া পরিদপ্তর সংরক্ষণ করবে। ক্রীড়া পরিদপ্তর কোন প্রক্রিয়ায় ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করবে, নতুন নীতিমালায় সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক এ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। ক্রীড়া পরিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সংগঠন) সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিনিধি সদস্য হিসেবে থাকবেন। প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করে ওই কমিটি সংশ্লিষ্ট ক্লাব ও সংস্থার অনুকূলে ক্রীড়া সামগ্রী বরাদ্দ করবে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে ক্রীড়া সামগ্রী বরাদ্দের এখতিয়ার থাকবে সাত সদস্যের কমিটির।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

ছাত্র সংসদের দাবিতে ‘আমরণ অনশন’ ঘিরে বিভক্ত বেরোবির শিক্ষার্থীরা

বন্ধুত্ব চাইলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করুন : লায়ন ফারুক

গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর

১০

জাজিরা হাসপাতালে দুদকের অভিযান, অনিয়মে জর্জরিত স্বাস্থ্যসেবা

১১

ডেজার সভাপতি প্রকৌশলী রুহুল আলম, সম্পাদক প্রকৌশলী চুন্নু

১২

নানা আয়োজনে গাকৃবিতে মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন

১৩

বিপিএলের ফিক্সিং ইস্যুতে সতর্ক অবস্থানে তামিম

১৪

রাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু বুধবার

১৫

এবার সিলেটের উৎমাছড়া থেকে ২ লাখ ঘনফুট পাথর জব্দ

১৬

জমি রেকর্ড সংশোধনের মামলা দায়েরের শেষ সময় সেপ্টেম্বরে

১৭

পায়ের ফাঁকে বালিশ দিয়ে ঘুমালে কী হয়, জানেন কি?

১৮

জামায়াতের মুখে সংস্কার, হাস্যকর বিষয় : সোহেল

১৯

লবণ বেশি খেলে কী ঘটে শরীরে? জানালেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ

২০
X