সাদা বলের দুই সংস্করণের সিরিজের একটিতে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা, অন্যটি বাংলাদেশ। এবার লঙ্কানদের বিপক্ষে আজ থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে লাল বলের সিরিজ। সাদা বলের দুই সংস্করণের পর চোটগ্রস্ত বাংলাদেশ। চোটে লাল বলে খেলা হচ্ছে না দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের। বোলিংয়েও তাসকিন আহমেদের শূন্যতা থেকে যাচ্ছে, সঙ্গে যোগ হয়েছে শরিফুল ইসলামের ওয়ার্কলোড—এতে সুযোগ হতে যাচ্ছে নতুনদের। সব মিলিয়ে প্রথম টেস্টে অনেকটা তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে মাঠে নামবে স্বাগতিকরা। ম্যাচের আগে দলের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
সিরিজ নিয়ে প্রত্যাশা
দলে নতুন অনেক খেলোয়াড় আছে, তারা দলে অনেক এনার্জি নিয়ে আসছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের চক্রে আমাদের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা ঘরের মাঠে একটা সিরিজ খেলেছি। দেশে যদি বেশিরভাগ ম্যাচই জিততে পারি, তাহলে শেষদিকের লড়াইয়ে টিকে থাকার সুযোগ পাব। সামনের কিছু ম্যাচ অনেক চ্যালেঞ্জিং, বড় দলের বিপক্ষে। শ্রীলঙ্কাও অনেক ভালো দল, অভিজ্ঞ দল। এই সিরিজও বড় চ্যালেঞ্জ, তবে আমরা এই চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত।
লিটনের দলে ফেরা
আমি আশা করছি, লাল বলে সে অনেক রান এনে দেবে। ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। এটা ভিন্ন বলের খেলা। সে তাই নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছে। তার মেধা সম্পর্কে আমাদের কারও সন্দেহ নেই। সাদা বলের ক্রিকেটে একটু খারাপ সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। লাল বলের ক্রিকেট সম্পূর্ণ ভিন্ন।
মুশফিকুর রহিমের না থাকা
মুশফিকের অভিজ্ঞতা আমরা মিস করব। সে দারুণ ফর্মে ছিল। তার মতো খেলোয়াড়ের বিকল্প পাওয়া কঠিন। তবে আমরা আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে চাই। হৃদয় দলে এসেছে, দলে দিপু ও সাদমানও আছে। তারা অনেকদিন ধরেই আমাদের সঙ্গে আছে। নতুনদের দেখে নেওয়ার জন্য দারুণ একটা সময়। সুযোগ পেলে দুহাতে কাজে লাগানো প্রয়োজন।
শরিফুলকে নিয়ে শঙ্কা
শরিফুল ঠিক আছে। সে অনেক বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমরা তাকে ছুটি দিয়েছি। তার বোলিং করার দরকার নেই। কারণ, সে অনেক বোলিং করেছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত। একাদশে কয়জন পেসার থাকতে পারেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি যোগ করেন, ‘যারা আছে তাদের মধ্যে হয়তো ৩ জন বা ২ জন খেলতে পারে।
প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবনা
শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনআপ অনেক অভিজ্ঞ। অনেকেই আছে একশর মতো ম্যাচ খেলেছে। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে। তবে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমরা। তারা খুবই অভিজ্ঞ দল। দলে অনেক ভালো ক্রিকেটার আছে। আমি নিশ্চিত, তারা দারুণ লড়াই করবে।
মুশফিক ও রানাকে কেমন দেখলেন
দুজনই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। দুজনই ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারে। আমরা দেখেছি ওরা কত জোরে বল করতে পারে। দুজনই তরুণ ও শক্তিশালী। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দুজনেরই শুরুটা ভালো হয়েছে। হ্যাঁ, আমি খুবই রোমাঞ্চিত। দুজনের একজনের এই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা দেখছি, হতে পারে দুজনই খেলবে।
সিলেটের উইকেট কেমন
নিউজিল্যান্ড (গত নভেম্বরের) টেস্টের তুলনায় উইকেট কিছুটা ভিন্ন। নিউজিল্যান্ড টেস্টে এত ঘাস ছিল না। এই টেস্টে আছে। আবহাওয়ারও একটা ভূমিকা থাকবে। প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে এই টেস্টের চ্যালেঞ্জকে বড় মনে হবে। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের ওদের হারাতে হলে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।