জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আকমল হোসেন আজাদসহ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবের অপসারণ এবং শাস্তির দাবিতে ঘোষিত কর্মসূচি সায়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আজ রোববার বিএনপিপন্থি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এ কর্মসূচি করার কথা ছিল।
সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করা হলেও ৫ দফা দাবিতে অনঢ় থাকার কথা জানিয়েছেন ফোরামের সমন্বয়ক এ বি এম আব্দুস সাত্তার। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আকমল হোসেন আজাদসহ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিবের দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের অপসারণের দাবিতে ৬ অক্টোবর সকাল ৯টায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ‘শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি’ করার কথা ছিল। আমাদের দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে সরকার ইতোমধ্যে তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে। যেটিকে সাধুবাদ জানাই। কমিটির ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে দায়ী কর্মকর্তাদের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, জনপ্রশাসনের ঐতিহ্য ও সুনাম রক্ষার্থে কোনো কর্মকর্তার দুর্নীতি, অসদাচারণ বা স্বেচ্ছাচারিতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
কর্মচারীদের দাবি, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত সব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ এবং বর্তমান সরকার কর্তৃক কিছু বিতর্কিত ব্যক্তির চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল; ৫ আগস্টের আগে নিয়োগপ্রাপ্ত সব সচিব, বিভাগীয় প্রধানকে অবিলম্বে প্রত্যাহার; সম্প্রতি নিয়োগকৃত ৪২ বিতর্কিত জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুনরায়
ফিটলিস্ট তৈরি করে নতুন করে নিয়োগ দিতে হবে।