টিপু সুলতান জাহাঙ্গীর, বাহুবল (হবিগঞ্জ)
প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৩ এএম
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ধূপকাঠি ও আতরের ঘ্রাণ এক আঙিনায়

ধর্মীয় সম্প্রীতি
ধূপকাঠি ও আতরের ঘ্রাণ এক আঙিনায়

একপাশে ধূপকাঠি, অন্যপাশে আতরের সুঘ্রাণ। একপাশে উলুধ্বনি, অন্যপাশে ভেসে আসছে আজান। এভাবেই ধর্মীয় সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শতবছর ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির।

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের কামাইছড়া বাজার এলাকায় এভাবেই দুটি ধর্মীয় সম্প্রীতি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুটি পৃথক ধর্মীয় উপাসনালয়।

স্থানীয়রা জানান, একই আঙিনায় ৫০ বছর ধরে কোনো প্রকার সাম্প্রতিক কলহ ও দাঙ্গা ছাড়াই দুটি ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম পালন করে আসছেন নির্দ্বিধায়।

১৯৫৯ সালে প্রথমে দুর্গামন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়, পরবর্তী সময়ে ১৯৭৮ সালে বাজার এলাকার মুসল্লিরা তাদের নামাজ আদায় করার জন্য ছোট মসজিদ ঘর নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে ওই মসজিদের নামকরণ করা হয় কামাইছড়া বাজার জামে মসজিদ।

হিন্দু সম্প্রদায়ের যখন পূজা বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান আসে, তখন দুই কমিটি একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নেয় নামাজ বা আজানের সময়সূচির আগে তাদের ধর্মীয় কাজকর্ম বন্ধ থাকে। আবার যখন নামাজ শেষ হয়, তখন তাদের পূজার কার্যক্রম ফের শুরু করেন।

মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুর রহিম জানান, কামাইছড়া বাজার মসজিদের পাশেই রয়েছে মন্দির। মসজিদের আগে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তবু এখানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ যার যার ধর্ম পালন করেন। এখানে কোনো বিশৃঙ্খলা হয় না।

কামাইছড়া দুর্গা মন্দিরের সভাপতি নির্মল তাঁতী জানান, ১৮৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এলাকার নামকরণও করা হয় কামাইছড়া বাজার। পরে এখানে বাজার গড়ে উঠলে বাজারের ব্যবসায়ী ও চা বাগানের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মন্দিরের দেওয়াল ঘেঁষে প্রতিষ্ঠা করেন কামাইছড়া বাজার জামে মসজিদ। সেই থেকে একই আঙিনায় চলছে দুই ধর্মের দুই উপাসনালয়ের কার্যক্রম। সামান্য বিশৃঙ্খলাও হয় না এখানে।

বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুর আহসান কালবেলাকে বলেন, কামাইছড়া একই আঙিনায় মসজিদ ও মন্দির এটি একটি বিরল দৃষ্টান্ত। এখানকার মানুষ সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থানে বিশ্বাস করেন। যার প্রমাণ একপাশে দুর্গা মন্দির ও অন্যপাশে কামাইছড়া বাজার জামে মসজিদ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ক্যানসারের কথা জানতে পেরে ৩ ঘণ্টা কেঁদেছিলেন সঞ্জয় দত্ত

গণিতে বিশ্বসেরা হলেন বাংলাদেশের এক প্রতিষ্ঠানের ৫ শিক্ষার্থী

সুমনের বিশ্বাসঘাতকতায় চরম মূল্য দিলেন রুমি

আমেরিকার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভেনেজুয়েলা!

উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল হক বাধ্যতামূলক অবসরে

‘নুরাল পাগলার ঘটনায় কোনো গণগ্রেপ্তার হবে না’

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব শহীদ খান কারাগারে

সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা / শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে আইন শক্তিশালীকরণ জরুরি

২৫ সেকেন্ডে হাতুড়ির দিয়ে ২৩ বার আঘাত করা হয় ইকবালকে

জেন-জিদের বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি

১০

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

১১

রাকসু নির্বাচনে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নাঈম / সীমাবদ্ধতা নয়, অনুপ্রেরণার নাম

১২

সংখ্যালঘু নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া রোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি ঐক্য পরিষদের

১৩

যুক্তরাষ্ট্রে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়লেন ভারতীয় নারী

১৪

৫ বছর পর দেশে ফিরলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী শাবানা

১৫

কুমিল্লায় মা-মেয়ের মৃত্যু, সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল

১৬

ভিসা নিয়ে কঠোর বার্তা দিল ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

১৭

ম্যাচ চলাকালে মাঠেই প্রাণ হারালেন খেলোয়াড়

১৮

খেলাধুলা নয়, রিলেশনশিপ কৌশলের নাম বেঞ্চিং

১৯

চোখের নীরব বিপদ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি

২০
X