ইসলামভীতি বা ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় নরওয়েতে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানী অসলোতে অনুষ্ঠিত ‘স্টপ ইসলামোফোবিয়া’ সম্মেলনে এ উদ্যোগের উদ্বোধন করেন শহরের মেয়র অ্যান লিনবো।
নতুন এই উদ্যোগে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বৈষম্যমূলক ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এতে মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন ও তথ্যভিত্তিক উপাত্ত সংরক্ষণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ ডেটাবেজ গড়ে তোলা হবে, যা পরবর্তীতে কার্যকর বৈষম্যবিরোধী নীতিমালা প্রণয়নে সহায়তা করবে।
সম্মেলনটির আয়োজন করে ‘ইসলামিক ডায়ালগ নেটওয়ার্ক’। এতে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের ইমাম, গবেষক, রাজনীতিক, তরুণ নেতারা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি অংশ নেন।
আয়োজকদের মতে, ইসলামোফোবিয়া কেবল মুসলিম সম্প্রদায়ের সমস্যা নয়; এটি নরওয়ের সামগ্রিক সামাজিক আস্থা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্যও হুমকি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র অ্যান লিনবো বলেন, ‘ন্যায়ভিত্তিক ও ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়তে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সংগঠন ও সরকারি কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা অপরিহার্য। ইসলামিক ডায়ালগ নেটওয়ার্ক এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।’
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দৈনন্দিন জীবনে, কর্মক্ষেত্রে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুসলিমদের নিয়ে প্রচলিত নেতিবাচক ধারণা সমাজে ভয় ও বিভাজন আরও বাড়াচ্ছে। এসব স্টেরিওটাইপ দূর করা না গেলে পারস্পরিক সহাবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে।
আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই প্ল্যাটফর্ম চালুর মাধ্যমে ইসলামভীতির বিরুদ্ধে নরওয়ের লড়াই নতুন মাত্রা পেল। শিক্ষা, সচেতনতা, সংলাপ ও প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রতিরোধই এখন প্রধান লক্ষ্য।
সংস্থাটি আরও জানায়, মসজিদ, সরকারি সংস্থা ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করাই পরবর্তী ধাপ হিসেবে নেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নরওয়ে সরকার ও নাগরিক সমাজের এই যৌথ উদ্যোগ দেশটিতে ধর্মীয় বৈষম্য মোকাবিলায় তথ্যনির্ভর ও প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
সূত্র : দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন
মন্তব্য করুন