

লালন ফকিরের মানবতাবাদী দর্শন ও অসাম্প্রদায়িক চিন্তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো ‘লালন স্মরণোৎসব ১৪৩২’।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’। এ আয়োজনের উদ্যোগ নেয় স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ড্রামা সোসাইটি।
লালন ফকিরের ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অতিথিরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ট্রেজারার জিয়াউল হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মতিন রহমান, ফ্যাকাল্টি সদস্য ড. ভাস্বর ব্যানার্জি, শাহানারা এফ. চৌধুরী, সাকিরা পারভীন, তানিয়া সুলতানা ও রীপা রয়।
জিয়াউল হাসান লালনের জীবন, কর্ম ও মানবতাবাদী দর্শন নিয়ে বক্তব্য রাখেন। ড. মতিন রহমান, ড. ভাস্বর ব্যানার্জি ও কবি সাকিরা পারভীন তাদের আলোচনায় লালনের অসাম্প্রদায়িক বিশ্বাস, মানবতত্ত্ব ও বাণীর চিরকালীন আবেদন তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে লালনের গান, নৃত্য ও নাট্য পরিবেশনার মাধ্যমে তার জীবনদর্শন ও মানবপ্রেমকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়। গানের সুর ও নাটকের সংলাপে প্রতিফলিত হয় লালনের চিরন্তন বাণী— ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।’
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মুরসালিন সরকার। নান্দনিক শিল্প নির্দেশনায় ছিলেন আফরা রুবাবা, অলিভ, সৌম্য, রিমন, তৌকির, মাহবুব ও তাহসিন।
সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে গান পরিবেশন করেন হামিদ হাসান, স্বস্তিকা দত্ত মাম্পি, নুজহাত নাওয়ার ইসলাম রায়া, রেজাউল হাসান ও জয়। সঙ্গীতে সহযোগিতা করেন সাদি, মালেক মিঠু ও জোনায়েদ। নৃত্য পরিবেশন করেন রুপালি বাহাদুর রুপা ও সুখী আক্তার নদী।
এ সময় নাটক ‘অচিন পাখি’ মঞ্চস্থ করা হয়। যার রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন আফরা রুবাবা। অভিনয়ে ছিলেন রিমন মিয়া, তৌকির আহমেদ, তাসিন নিষাদ ও আফরা রুবাবা। অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিকল্পনায় ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ড্রামা সোসাইটির কোঅর্ডিনেটর আসিফ মাহমুদ ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন কনভেনর রীপা রয়।
মন্তব্য করুন