হাসিনা সরকারের কিছু প্রাথমিক ‘ভুল’ ছিল বলে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তবে বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস দমন-পীড়নে অভিযুক্ত সরকারের বিষয়ে তিনি জাতিসংঘের প্রতিবেদনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জয় বিষয়টি স্বীকার করেন।
জয় জানান, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আন্দোলনে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হতে পারে। যেখানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার তথ্যানুসারে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৮০০।
তিনি বলেন, সব মৃত্যুই ‘দুঃখজনক’ এবং প্রতিটি ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত। তবে গত বছরের সহিংসতায় জড়িত আন্দোলনকারীদের দায়মুক্তি দেওয়ায় ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। জয় আরও অভিযোগ করেন, ড. ইউনূসের সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘উইচ-হান্ট’ বা রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করেছে, যার অংশ হিসেবে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হলে ইসলামপন্থিরা লাভবান হতে পারে বলে সতর্ক করে জয় অভিযোগ করেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে একটি ‘কারসাজিপূর্ণ নির্বাচন’ আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। কোনো দলকে বাদ দেওয়া হলে সেটি হবে এক প্রহসনমূলক নির্বাচন।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়, তবে বাংলাদেশ দীর্ঘ সময় রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল থাকবে। আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু হতে হবে।
জয় অভিযোগ করেন, এখন যা ঘটছে তা মূলত আমার মা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা। এটি ন্যায়বিচারের আড়ালে রাজনৈতিক কারসাজি। আওয়ামী লীগকে যথেষ্ট সময় না দিলে নির্বাচনের ফলাফল জনগণ মেনে নেবে না। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরাও সেটিকে স্বীকৃতি দেবে না।
মন্তব্য করুন