দেশজুড়ে শিশুদের দেওয়া হচ্ছে টাইফয়েডের টিকা। গতকাল বুধবার পর্যন্ত অন্তত এক কোটি ৭০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী চার কোটি ৯০ লাখ শিশুকে এই কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য ১২ অক্টোবর থেকে টিকাদান শুরু শুরু হয়েছে।
তবে টাইফয়েড টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। এই টিকা সৌদি আরবের হালাল সেন্টার কর্তৃক হালাল হিসেবে প্রত্যয়িত বলে একটি সভা থেকে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ইপিআই, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের যৌথ আয়োজনে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য এবং শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সভায় এ কথা বলা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, বিশ্ববিখ্যাত সায়েন্টিস্টদের দ্বারা স্বীকৃত এবং সমস্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় এই টিকার মান নির্ধারিত ও কার্যকারিতায় পরীক্ষিত। ইতোমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই টিকা ব্যবহৃত হয়েছে, যা নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের উচিত প্রতিটি শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ দীপিকা শর্মা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিম লিড (আইভিডি) ডা. সুধির যশি প্রমুখ।
সভায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি ও শক্তিশালীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ উপস্থাপন করেন ইপিআই অ্যান্ড সারভিলেন্স উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ।
সভায় বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার টিকাদান কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে টিকাদান কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বর্তমান সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ এর আওতায় নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (টিসিভি) প্রদান করছে।
এ ক্যাম্পেইনের আওতায় মাদ্রাসা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত সব ছাত্র-ছাত্রী (প্লে/নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন থেকে ৯ম শ্রেণি/সমমান শ্রেণি পর্যন্ত) এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা কমিউনিটির ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সীসহ প্রায় চার কোটি ৯০ লাখ শিশুকে এক ডোজ টিসিভি (টিসিভি) টিকা দেওয়ার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হয়।
তবে, ডিএইচআইএস২ মাইক্রোপ্ল্যান অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রা ৪৩,৭৯৬,৪৫৩ হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর থেকে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান থাকবে। অদ্যাবধি ১ কোটি ৫০ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫ জন শিশুকে এ টিকা প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন