ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় বার্ষিক ওরসে আসা চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। গত বৃহস্পতিবার রাতে আখাউড়া-সিলেট বাইপাস রেলপথের খরমপুর মাজার শরিফ এলাকায় তিতাস নদীর ওপরে রেলসেতু পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন শুকুর মিয়া, মোজাম্মেল ও মতি ভূঁইয়া। অরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে রাতেই আখাউড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে তার স্বজন এসে তাকে নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে আখাউড়া পৌর শহরের খড়মপুর কল্লা শহীদ (র.) মাজারে ৭ দিনব্যাপী বার্ষিক ওরস শুরু হয়। এ উপলক্ষে ওই এলাকায় কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। তাদের কয়েকজন ঝুঁকি নিয়ে রেলসেতু পারাপার হচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে ঢাকাগামী পারাবত ট্রেন আসার সময় হলে সেতুর দুই পাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাঁশি বাজিয়ে ট্রেন আসার সংকেত দেন। এ সময় জীবন বাঁচাতে অনেকে নদীতে লাফ দেন। অনেকে ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন। খবর পেয়ে আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাতেই নদী থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে এবং শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত আরও দুটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শুক্কর আলীর ছোট ভাই সামসুল হক বলেন, হঠাৎ ট্রেন চলে আসায় ভাই ট্রেনের ধাক্কায় পানিতে পড়ে যান। পরে তার মরদেহ দেখে শনাক্ত করি।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, মাজার শরিফে আসা লোকজন রেলসেতু পারাপার হচ্ছিলেন। এ সময় ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন এলে লোকজন তাড়াহুড়া করে সেতু পার হতে যান। পরে ট্রেনের ধাক্কায় নদীতে ছিটকে পড়েন। আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নদী থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে দুজনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মুনিম সারোয়ার জানান, ঘটনার সময় রেলব্রিজ থেকে কতজন ছিটকে পড়েছেন তা সঠিক করে কেউ বলতে পারছেন না। নদীতে উদ্ধার অভিযান চলছে। চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন